London ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ মে ২০২৫, ২৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা ঘিরে বিএনপিতে উচ্ছ্বাস, প্রস্তুতি

অনলাইন ডেস্ক:

চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে সিলেট হয়ে তিনি সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

রোববার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে রওয়ানা হবেন খালেদা জিয়া। প্রায় ১০ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সোমবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখানে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর একই ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.)-এর পুণ্যভূমিতে আমাদের নেত্রী পা রাখবেন, এ ভাবনাতেই সিলেটের নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত। তবে নেত্রীর সঙ্গে দেখা হবে কি না, তা নির্ভর করছে তার অনুমতির ওপর।

তারা জানান, ওসমানি বিমানবন্দরের বাইরে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন এবং নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

ঢাকায় অভ্যর্থনা ও নিরাপত্তায় প্রস্তুতি

ঢাকায় খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে গুলশানে তার কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর যৌথ সভা আহ্বান করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের টারমাকে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে গাড়িবহর রওয়ানা হলে পথে বিমানবন্দর মোড় থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস, তবে দেখা নিয়ে অনিশ্চয়তা

বিএনপি নেতাদের একাংশ মনে করছে, নেত্রী দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাই শারীরিক দিক বিবেচনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এখনই নাও হতে পারে। তবে উপস্থিতি আর শুভেচ্ছার মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করাই হবে বড় ঘটনা।

নিরাপত্তা সমন্বয়

বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা ও অভ্যর্থনার সমন্বয় করছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুল ইসলাম শামস। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

চার মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন। তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে ছিলেন অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস।

এবারের ফিরতি যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৫০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫
Translate »

খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা ঘিরে বিএনপিতে উচ্ছ্বাস, প্রস্তুতি

আপডেট : ০১:৫০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ মে ২০২৫

চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বাংলাদেশ বিমানের নিয়মিত ফ্লাইটে সিলেট হয়ে তিনি সোমবার সকালে ঢাকায় পৌঁছাবেন। তার আগমনকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকা ও সিলেটে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি ও উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে।

রোববার লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে রওয়ানা হবেন খালেদা জিয়া। প্রায় ১০ ঘণ্টার যাত্রা শেষে সোমবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে তিনি সিলেট ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন। সেখানে এক ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর একই ফ্লাইট ঢাকায় পৌঁছাবে সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে।

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ও মহানগর সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী জানান, শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.)-এর পুণ্যভূমিতে আমাদের নেত্রী পা রাখবেন, এ ভাবনাতেই সিলেটের নেতাকর্মীরা আবেগাপ্লুত। তবে নেত্রীর সঙ্গে দেখা হবে কি না, তা নির্ভর করছে তার অনুমতির ওপর।

তারা জানান, ওসমানি বিমানবন্দরের বাইরে মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করবেন এবং নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

ঢাকায় অভ্যর্থনা ও নিরাপত্তায় প্রস্তুতি

ঢাকায় খালেদা জিয়ার আগমন উপলক্ষে গুলশানে তার কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনগুলোর যৌথ সভা আহ্বান করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিমানবন্দরের টারমাকে মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত থেকে খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাবেন।

বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’র উদ্দেশ্যে গাড়িবহর রওয়ানা হলে পথে বিমানবন্দর মোড় থেকে গুলশান পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীরা নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাবেন।

নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস, তবে দেখা নিয়ে অনিশ্চয়তা

বিএনপি নেতাদের একাংশ মনে করছে, নেত্রী দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। তাই শারীরিক দিক বিবেচনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এখনই নাও হতে পারে। তবে উপস্থিতি আর শুভেচ্ছার মাধ্যমে আবেগ প্রকাশ করাই হবে বড় ঘটনা।

নিরাপত্তা সমন্বয়

বিএনপি চেয়ারপারসনের নিরাপত্তা ও অভ্যর্থনার সমন্বয় করছেন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবর ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) একেএম শামসুল ইসলাম শামস। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।

চার মাসের চিকিৎসা শেষে দেশে ফেরা

গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হয়। সেখানে টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি তারেক রহমানের বাসায় ফেরেন। তার চিকিৎসা তত্ত্বাবধানে ছিলেন অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রস।

এবারের ফিরতি যাত্রায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে থাকছেন তার দুই পুত্রবধূ—তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান।