কৃষির অগ্রগতিতে সরকারের সহায়তামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজ শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ। কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামিউল ইসলাম-এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম সরেজমিনে বিভিন্ন কৃষি জমি পরিদর্শন করেন।
ধান কাটা কার্যক্রমে সরাসরি অংশগ্রহণ ও সহায়তা
সৈয়দাবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ ধানক্ষেতে ঘুরে দেখেন প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। সেখানে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের ধান কাটা কার্যক্রমে কোনো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখেন। চলমান বৈরী আবহাওয়ার কারণে ফসলের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি, যন্ত্রপাতির সংকট কিংবা শ্রমিকের অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন কৃষকরা। এসব বিষয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “কৃষকদের কষ্ট আমরা বুঝি। ধান কাটায় যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য প্রশাসন ও কৃষি বিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। প্রয়োজনে শ্রমিক, যন্ত্রপাতি বা আর্থিক সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।”
লিচু চাষে প্রযুক্তি সহায়তা ও ফলন বৃদ্ধির উদ্যোগ
এদিন গোপীনাথপুর ইউনিয়নে লিচু বাগান পরিদর্শন করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। সেখানে তিনি লিচু চাষিদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং উচ্চফলন নিশ্চিত করতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি, সঠিক সেচ ও সার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
চাষিদের উদ্বুদ্ধ করতে তিনি বলেন, “লিচু আমাদের অর্থনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। বাজারজাতকরণ, সংরক্ষণ ও রোগবালাই দমন বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে নিয়মিত পরিদর্শন করবে।”
এ সময় তিনি উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতিটি লিচু বাগানে সপ্তাহে অন্তত একবার করে পরিদর্শনের নির্দেশ দেন এবং চাষিদের যেকোনো সমস্যায় পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জনস্বার্থে চলবে নিয়মিত অভিযান
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কৃষকদের পাশে থেকে তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো এবং যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে প্রশাসনের এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে। কৃষিই বাংলাদেশের প্রাণ—এই বিশ্বাস থেকেই মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থেকে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।