London ০৬:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর এলাকায় চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে ছাই কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন কালিয়া হরিপুরে নারীদের ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে তৃণমূল নারীদের জাগরণে ইব্রাহিম মোল্লা রাণীনগরে মৌসুমীর উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বিএনপির নতুন সদস্য সংহের ফরম বিতরন ও নবায়ন কমসুচি ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার সিরাজগঞ্জে চুরির মহামারি: সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি, নাগরিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন

শাকিল হোসেন,গাজীপুর কালিয়াকৈর প্রতিনিধিঃ

গাজীপুর কালিয়াকৈর চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ ১ সমিতির আওতাধীন হরতকিতলা ৫ নং ওয়ার্ডের সকল পেশাজীবী মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে অতিরিক্ত লোডশেডিং এর এবং অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন জনজীবন।

বিশেষ করে এই হরতকিতলা ডাইনকিনি এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের ভাড়াটিয়ারা অতিরিক্ত বিলের চাপে দিশাহারা।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হলেও, তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য।
বারবার লোডশেডিং, বাড়ছে ভোগান্তি: স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ নং ওয়ার্ড হরতকিতলা ও ডাইনকিনি আশেপাশে এলাকায় লোডশেডিং এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

দিনে ও রাতে ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় এখানকার বিভিন্ন পোশাক শ্রমিক নিম্ন শ্রেণির মানুষ, বিশেষ করে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা চরম ভোগান্তিতে সময় পার করছেন। অসহনীয় গরমে বৈদ্যুতিক পাখার সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

ভাড়াটিয়াদের কাঁধে অস্বাভাবিক ডিজিটাল মিটারের বিলের বোঝা:
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার ভাড়াটিয়াদের। যারা মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে থাকেন, তাদের বিদ্যুৎ ডিজিটাল মিটারের বিল গুনতে হচ্ছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি। সাধারণ ব্যবহারের পরেও বিলের পরিমাণ কখনো ১০০০, কখনো ১২০০, আবার কখনো ১৫০০ টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভাড়াটিয়াদের ডিজিটাল মিটার তৈরির প্রক্রিয়ায় কোথাও বড় ধরনের গরমিল রয়েছে, যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভাড়াটিয়া জানান, “আমরা যা ভাড়া দেই, তার প্রায় অর্ধেক টাকা চলে যায় বিদ্যুৎ ডিজিটাল মিটারে টাকা লোড করতে হয়।তার পরও কেনো এতো লোডশেডিংয়ের পরেও কেন এতো বিল আসবে? বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।”
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা:
এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সাধারণ কর্মীদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় না।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা ডিজিটাল মিটারের লোড অসঙ্গতি বা লোডশেডিংয়ের কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত কর্মীরা কেবল অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে এড়িয়ে যান। এতে করে সমস্যা সমাধানের পথ আরও কঠিন হচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ ১ সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যার দিকে নজর দিক। ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধ করা এবং বিদ্যুৎ বিলের অসঙ্গতি দূর করে সাধারণ ভাড়াটিয়াদের এই আর্থিক ও দৈহিক ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তারা জোর আবেদন জানিয়েছেন।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
Translate »

কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন

আপডেট : ০৩:৪৫:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

গাজীপুর কালিয়াকৈর চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ ১ সমিতির আওতাধীন হরতকিতলা ৫ নং ওয়ার্ডের সকল পেশাজীবী মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে অতিরিক্ত লোডশেডিং এর এবং অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারন জনজীবন।

বিশেষ করে এই হরতকিতলা ডাইনকিনি এলাকার নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের ভাড়াটিয়ারা অতিরিক্ত বিলের চাপে দিশাহারা।

ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে দৈনন্দিন জীবনযাত্রা ব্যাহত হলেও, তার চেয়েও বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের অস্বাভাবিক মূল্য।
বারবার লোডশেডিং, বাড়ছে ভোগান্তি: স্থানীয়দের অভিযোগ, ৫ নং ওয়ার্ড হরতকিতলা ও ডাইনকিনি আশেপাশে এলাকায় লোডশেডিং এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

দিনে ও রাতে ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় এখানকার বিভিন্ন পোশাক শ্রমিক নিম্ন শ্রেণির মানুষ, বিশেষ করে ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীরা চরম ভোগান্তিতে সময় পার করছেন। অসহনীয় গরমে বৈদ্যুতিক পাখার সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

ভাড়াটিয়াদের কাঁধে অস্বাভাবিক ডিজিটাল মিটারের বিলের বোঝা:
সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার ভাড়াটিয়াদের। যারা মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ঘর ভাড়া দিয়ে থাকেন, তাদের বিদ্যুৎ ডিজিটাল মিটারের বিল গুনতে হচ্ছে প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বা তারও বেশি। সাধারণ ব্যবহারের পরেও বিলের পরিমাণ কখনো ১০০০, কখনো ১২০০, আবার কখনো ১৫০০ টাকা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।

ভাড়াটিয়াদের ডিজিটাল মিটার তৈরির প্রক্রিয়ায় কোথাও বড় ধরনের গরমিল রয়েছে, যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে তাদের।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভাড়াটিয়া জানান, “আমরা যা ভাড়া দেই, তার প্রায় অর্ধেক টাকা চলে যায় বিদ্যুৎ ডিজিটাল মিটারে টাকা লোড করতে হয়।তার পরও কেনো এতো লোডশেডিংয়ের পরেও কেন এতো বিল আসবে? বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার।”
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা:
এই বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সাধারণ কর্মীদের কাছ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় না।

ভুক্তভোগীরা বলছেন, তারা ডিজিটাল মিটারের লোড অসঙ্গতি বা লোডশেডিংয়ের কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বরত কর্মীরা কেবল অফিসে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়ে এড়িয়ে যান। এতে করে সমস্যা সমাধানের পথ আরও কঠিন হচ্ছে।

এলাকাবাসীর দাবি, কালিয়াকৈর পল্লী বিদ্যুৎ ১ সমিতির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যার দিকে নজর দিক। ঘন ঘন লোডশেডিং বন্ধ করা এবং বিদ্যুৎ বিলের অসঙ্গতি দূর করে সাধারণ ভাড়াটিয়াদের এই আর্থিক ও দৈহিক ভোগান্তি থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তারা জোর আবেদন জানিয়েছেন।