কাপাসিয়ায় প্রভাবশালী মহলের অবৈধ বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত বলগেটের আঘাতে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার টোক এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বলগেটের আঘাতে বানার নদীতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রের লাশ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। নিহতের নাম জুনায়েদ (১৫)। তিনি টোক ইউনিয়নের আব্দুল হামিদ চৌধুরী হাফিজিয়া ফোরকানিয়া মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন।
জানা যায়, শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে জুনায়েদ সহপাঠীদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে বানার নদীর ধারে যায়। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কাজে ব্যবহৃত একটি বলগেটের ধাক্কায় সে নদীতে পড়ে যায়। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পাওয়ায় স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।
পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টার পর নিখোঁজ জুনায়েদের মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহত জুনায়েদ খুলনা বিভাগের বাগেরহাট জেলার শরনখোলা উপজেলার আমরাগাছি গ্রামের বিল্লাল হাওলাদারের ছেলে। তিনি অর্ধেক কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেছিলেন এবং মাদ্রাসার কিতাবখানার ছাত্র ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহার করা বলগেটগুলো দীর্ঘদিন ধরে কাপাসিয়া থানার টোক তদন্ত কেন্দ্র (ক্যাম্প) সংলগ্ন ঘাঁটে নোঙর করে থাকে। বালু উত্তোলন শেষে ওই ঘাঁটিতেই বলগেটগুলো অবস্থান করে। স্থানীয়ভাবে এবং মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও কোনো প্রকার তোয়াক্কা না করে বলগেটগুলো টোক ক্যাম্পের ঘাটে অবস্থান চালিয়ে আসছিল।
এলাকাবাসীর দাবি, এখানে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থাকা সত্ত্বেও কিভাবে অবৈধ বলগেট এসে নোঙর করে মাসের পর মাস বালু উত্তোলন চালাচ্ছে—এ প্রশ্নের জবাব কেউ দিতে পারছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় এই অবৈধ বালু ব্যবসা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং অবৈধ বালু উত্তোলন স্থায়ীভাবে বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।