যাত্রাবাড়ী থানার অটোরিকশার চালক হত্যা মামলায় সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে ৪ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেন।
বিচারকের রিমান্ডের আদেশের পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে সবার উদ্দেশে পলক বলেন ‘ঈদ মোবারক’।
সকালে কড়া নিরাপত্তায় পলককে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
তিনি বলেন, এই আসামি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। তার সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। সাতদিনই রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।
পলকের পক্ষে তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে বিচারক পলককে চারদিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
এরপর সবাইকে ঈদ মোবারক জানানোর পর পুলিশি পাহাড়ায় পলককে আদালত থেকে হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তখন তিনি চুপচাপ ছিলেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সরকার পতনের দিন গত বছরের ৫ অগাস্টে যাত্রাবাড়ী থানার কাজলা ফ্লাইওভারের কাছে গুলিবিদ্ধ হন সিএনজি চালিত অটোরিকশা চালক চালক ওবায়দুল ইসলাম। এরপর তাকে পুরান ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় তার স্ত্রী মরিয়ম গত ৮ সেপ্টেম্বর যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন; ওই মামলার আসামি হলেন সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকেন্দ্রিক যাত্রাবাড়ী থানার আরো দুই মামলায় পলককে গ্রেপ্তার দেখান হয়েছে। এছাড়া কাফরুল থানার একটি মামলায় সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং ঢাকা উত্তরের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে আদালত।
তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি.এম. ফারহান ইশতিয়াকের আদালত এ আদেশ দেন।