London ১০:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর এলাকায় চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে ছাই কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন কালিয়া হরিপুরে নারীদের ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে তৃণমূল নারীদের জাগরণে ইব্রাহিম মোল্লা রাণীনগরে মৌসুমীর উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বিএনপির নতুন সদস্য সংহের ফরম বিতরন ও নবায়ন কমসুচি ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার সিরাজগঞ্জে চুরির মহামারি: সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি, নাগরিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ

মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

রাজশাহীর কাঁকনহাটে, ন্যায্য দামে সার না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহীর কাঁকনহাটের কৃষকেরা। সমাবেশ থেকে কাঁকনহাটের বিসিআইসি ডিলার ‘মেসার্স জি কে ট্রেডার্সের’ লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানানো হয়। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার বেশি টাকা না দিলে সার দিচ্ছেন না। ওই সার তিনি অন্য উপজেলায় পাচার করছেন।

বৃহস্পতিবার কৃষকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এদিকে অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করেছে। তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের কথা শুনেছেন। এখন তাঁরা প্রতিবেদন দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। ডিলারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সরকার নির্ধারিত এক বস্তা ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু ডিলার নেন ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। টিএসপির দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার টাকার পটাশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা নিচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে ডিলার তুহীনা আক্তার কৃষকদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। তাঁরা দাবি করেন, বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করলে নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। ফলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা কাঁকনহাট বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। এতে পৌর শহরে তীব্র যানজট শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচি শেষ করেন। সমাবেশে কাঁকনহাট ও আশপাশ এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশ নেন।

সমাবেশে এলাকার কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, জি কে ট্রেডার্স পরিচালনা করেন তুহীনা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বাড়তি টাকা ছাড়া সার দেন না। বাড়তি টাকা নেওয়ায় তিনি সার বিক্রির কোনো রসিদ দেন না। বাধ্য হয়ে কৃষকদের সার নিতে হয়। আবার পাঁচ বস্তা সার চাইলে তিনি ১০ কেজি দিয়ে ফিরিয়ে দেন। আবার অনেককে সার না দিয়েই ফিরিয়ে দেন। আটকে রাখা সার তিনি তানোর উপজেলায় বেশি দামে সরবরাহ করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০২:৫২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
৭২
Translate »

কাঁকনহাটে কৃষকদের বিক্ষোভ

আপডেট : ০২:৫২:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

রাজশাহীর কাঁকনহাটে, ন্যায্য দামে সার না পেয়ে বিক্ষোভ করেছেন রাজশাহীর কাঁকনহাটের কৃষকেরা। সমাবেশ থেকে কাঁকনহাটের বিসিআইসি ডিলার ‘মেসার্স জি কে ট্রেডার্সের’ লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানানো হয়। কৃষকদের অভিযোগ, ডিলার বেশি টাকা না দিলে সার দিচ্ছেন না। ওই সার তিনি অন্য উপজেলায় পাচার করছেন।

বৃহস্পতিবার কৃষকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এদিকে অভিযোগের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি অভিযোগ তদন্ত করেছে। তদন্ত কমিটি উভয় পক্ষের কথা শুনেছেন। এখন তাঁরা প্রতিবেদন দেওয়ার অপেক্ষায় আছেন। ডিলারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, সরকার নির্ধারিত এক বস্তা ডিএপি সারের দাম ১ হাজার ৫০ টাকা। কিন্তু ডিলার নেন ১ হাজার ৪০০ থেকে দেড় হাজার টাকা। টিএসপির দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা হলেও নেওয়া হচ্ছে দেড় হাজার টাকা। এ ছাড়া ১ হাজার টাকার পটাশের দাম ১ হাজার ২০০ টাকা নিচ্ছে। প্রায় দুই বছর ধরে ডিলার তুহীনা আক্তার কৃষকদের জিম্মি করে বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। তাঁরা দাবি করেন, বাড়তি টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করলে নারী নির্যাতন মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। ফলে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পান না।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা কাঁকনহাট বাজারে সড়ক অবরোধ করেন। এতে পৌর শহরে তীব্র যানজট শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করলে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচি শেষ করেন। সমাবেশে কাঁকনহাট ও আশপাশ এলাকার দুই শতাধিক কৃষক অংশ নেন।

সমাবেশে এলাকার কৃষক মেহেদী হাসান বলেন, জি কে ট্রেডার্স পরিচালনা করেন তুহীনা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বাড়তি টাকা ছাড়া সার দেন না। বাড়তি টাকা নেওয়ায় তিনি সার বিক্রির কোনো রসিদ দেন না। বাধ্য হয়ে কৃষকদের সার নিতে হয়। আবার পাঁচ বস্তা সার চাইলে তিনি ১০ কেজি দিয়ে ফিরিয়ে দেন। আবার অনেককে সার না দিয়েই ফিরিয়ে দেন। আটকে রাখা সার তিনি তানোর উপজেলায় বেশি দামে সরবরাহ করেন।