কসবা পৌর জামায়াতের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক হৃদয়গ্রাহী ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। শনিবার (৮ জুন) সকাল ১০টায় কসবা মডেল মসজিদের হলরুমে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার জামায়াতের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক ও সাধারণ জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কসবা পৌর জামায়াতের আমীর হারুনুর রশিদ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মোঃ আতাউর রহমান সরকার। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা শিবলী নোমানি, কসবা উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা গোলাম সারোয়ার, পৌর সেক্রেটারি ডা. মিজানুর রহমান, যুব জামায়াতের সভাপতি মানসুর রহমান জাঈদী, স্থানীয় নেতা শরীফ আহম্মেদ সরকারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাইফুল্লাহ আল আরিফ এবং সেক্রেটারি মোঃ জাহিদ হাসান মোল্লাও।
বক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, ঈদ কেবল একটি ধর্মীয় উৎসব নয়; এটি মুসলিম সমাজের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও ঐক্যের এক মহান প্রতীক। ঈদ পুনর্মিলনীর মতো আয়োজন সামাজিক সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে এবং ব্যক্তি ও সংগঠনের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলে। তারা বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের সম্মিলিত অগ্রযাত্রার জন্য পারস্পরিক ভালোবাসা ও সহমর্মিতার বিকল্প নেই।
এছাড়াওঅনুস্ঠান শেষে শান্তিপূর্ন মিছিল ও জনসংযোগ করেছেন, ইদ কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে পোর বাজারের ব্যাবসায়ী ও সাধারন মানুষেরা সাথে প্রধান অতিথি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তিনি কসবা উপজেলা গ্যাস চাই, কসবার গ্যাস কসবা চাই এমন প্রতিবাদে আগামী কর্মসূচি নেয়ার কথা রয়েছে।
অনুষ্ঠান জুড়ে ছিল উষ্ণ অভ্যর্থনা, বন্ধুত্বপূর্ণ আলাপচারিতা ও হৃদয়স্পর্শী পরিবেশ। সকল অংশগ্রহণকারী ঈদের আনন্দ পরস্পরের মাঝে ভাগাভাগি করে নেন এবং ভবিষ্যতে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত ও জনমুখী করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠান শেষে একসাথে মোনাজাতের মাধ্যমে দেশ, জাতি এবং ইসলামী আন্দোলনের কল্যাণ কামনা করা হয়। এভাবেই কসবা পৌর জামায়াতের এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এক অনন্য সামাজিক সম্প্রীতির নিদর্শন হয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকে।