কসবা-আখাউড়া উপজেলাকে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকমুক্ত মডেল উপজেলায় গড়ে তুলতে চাই — জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত প্রার্থী ও দলের ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখার প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মো. আতাউর রহমান সরকার বলেছেন, “শিক্ষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ কসবা-আখাউড়া উপজেলা একসময় জাতীয় অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ জনপদে অনেক গুণীজন, দেশপ্রেমিক ও মানবসেবায় নিয়োজিত মানুষ জন্মেছেন। অথচ দুঃখজনকভাবে আজ এই এলাকা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও মাদকের ভয়াল থাবায় জর্জরিত। আমি দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে বলতে চাই— কসবা-আখাউড়াকে আমরা একটি সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও মাদকমুক্ত মডেল উপজেলায় পরিণত করব ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও বলেন, “এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে চাই সৎ, যোগ্য, দক্ষ ও আল্লাহভীরু দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব, যা কেবল জামায়াতে ইসলামীই দিতে পারে। জামায়াত জাতির সামনে আদর্শিক ও জনকল্যাণমূলক রাজনীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমাদের নেতৃত্ব কোনো দুর্নীতির সাথে জড়িত নয়, বরং দেশ ও জনগণের সেবায় নিবেদিত।”
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়ন অফিসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সড়ক সংস্কার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ
বক্তব্যে আতাউর রহমান সরকার এলাকার অবকাঠামোগত দুরবস্থার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে আখাউড়া হয়ে কসবা পর্যন্ত মহাসড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় এ রাস্তায় অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে, যা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে জনসাধারণকে প্রতিদিন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। যানজট, দুর্ঘটনা ও ভোগান্তি নিত্যনৈমিত্তিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই— অবিলম্বে রাস্তাটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব করুন।”
বৈঠকে নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ও সিদ্ধান্ত
জেলা জামায়াতের সমাজকল্যাণ সেক্রেটারি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের পরিচালক আবুল বাসার ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আসন কমিটির সদস্য সচিব ও কসবা উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা শিবলী নোমানী, আখাউড়া উপজেলা আমির ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, আখাউড়া সেক্রেটারি বোরহান উদ্দিন খান, কসবা পৌর আমির হারুন অর রশিদ, পৌর সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, কসবা উপজেলা সেক্রেটারি গোলাম সারওয়ারসহ স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকে আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কসবা ও আখাউড়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে ঈদ পুনর্মিলনী, গণসংযোগ, শুভেচ্ছা বিনিময় ও এলাকাবাসীর সঙ্গে সরাসরি মতবিনিময়মূলক কর্মসূচি গ্রহণ এবং তা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য সময়সূচি চূড়ান্ত করা হয়।
সভায় উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত মাঠে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান।