কসবা-আখাউড়াবাসীর গর্ব, কৃতি সন্তান এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী প্রভাষক কাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন ঈদুল আজহার পরবর্তী কর্মসূচি ও কসবা উপজেলার সামগ্রিক সামাজিক উন্নয়ন ও ইসলামি মূল্যবোধভিত্তিক নেতৃত্ব বিষয়ে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ কসবা উপজেলা শাখার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
বুধবার দুপুর ২টায় কসবা উপজেলা সদরে আয়োজিত এ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কসবার বর্তমান ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, বিশেষ করে ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে ইসলামি চেতনার গুরুত্ব এবং ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রত্যাশা ও অংশগ্রহণ—এসব বিষয়ে গভীর ও মননশীল আলোচনা হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলার হেফাজতে ইসলামের সভাপতি কসবা উপজেলার আলেম-ওলামা ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতার অন্যতম রাহবার পীরে কামেল হযরত মাওলানা জয়নাল আবেদিন জালালী সাহেব (আকসিনার পীর সাহেব হুজুর),
উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা শাখার ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কসবা উপজেলা শাখার সভাপতি -মুফতি ইউসুফ আহমেদ, উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক মাওলানা মাসুম বিল্লাহ।
আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মুফতি আনিসুর রহমান, হাফেজ মাওলানা শেখ সাইফুর রহমান, মাওলানা ইউনুস করিম বেলালী ও মাওলানা কাউসার আহমেদ।
প্রভাষক কাজী মোঃ মাঈনুদ্দিন এ সময় বলেন “এই উপমহাদেশে ইসলাম শুধু একটি ধর্ম নয়, বরং একটি জীবনব্যবস্থা। কসবা-আখাউড়া'র ধর্মপ্রাণ জনগণের প্রত্যাশা হলো একটি সৎ, ন্যায়ের পথে অটল এবং ইসলামী মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ নেতৃত্ব। আমি সে চেষ্টাই করছি—যেন জনগণের সাথে যোগাযোগ, শ্রদ্ধাবোধ ও দায়িত্ববোধের ভিত্তিতে একটি জনবান্ধব ও নৈতিক নেতৃত্ব গড়ে তোলা যায়।”
তিনি আরও বলেন, “একটি আধুনিক, উন্নয়নমুখী এবং ইসলামি মূল্যবোধসম্পন্ন কসবা-আখাউড়া গড়ে তুলতে হলে ওলামায়ে কেরাম, তৌহিদী জনতা, তরুণ সমাজ এবং রাজনীতিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন গড়ে তুলতে হবে। আমাদের সমাজে নৈতিক অবক্ষয় রোধে ইসলামী নেতৃত্ব অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি কসবা-আখাউড়া'র উন্নয়ন, শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, দারিদ্র্য বিমোচন ও যুব সমাজের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হেফাজতের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা কামনা করেন এবং বলেন “আমি বিশ্বাস করি, ধর্মীয় গঠন ও নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে আমরা কসবা-আখাউড়া উপজেলাকে একটি শান্তিপূর্ণ, সুশৃঙ্খল ও উন্নত উপজেলায় রূপ দিতে পারবো এজন্য আমি কসবাবা-আখাউড়াসী'র নিকট দোয়া, ভালোবাসা ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করি।”