London ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৯ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
কয়রায় বিভিন্ন কর্মসুচির মধ্যেদিয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। সমাজসেবায় অসামান্য অবদানের জন্য দুবাইতে এশিয়া আরব এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন প্রখ্যাত সমাজকর্মী মোশাররফ হোসেন চলন্তবাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানী: তিনদিন পর থানায় মামলা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জামায়াতের গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা প্রধান উপদেষ্টা একুশ মানে মাথানত না করার দৃঢ় প্রত্যয় শিশুদের নতুন দেশ গড়ার প্রত্যয়ে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে -নাসিম ফেরদৌস চৌধুরী নদীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ ব্যবসায়ীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ ভাষা আন্দোলনে সংবাদপত্র ও সম্পাদকের ভূমিকা শরীর ও মনকে রমজানের জন্য প্রস্তুত করুন এই উপায়ে হারের পর যা বললেন শান্ত

কসবায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন, ভারতকে গোপন গ্যাস রপ্তানির অভিযোগ

মোঃ বিল্লাল সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

 

কসবা উপজেলার মুক্তমঞ্চে “কসবার গ্যাস, কসবা চাই” শ্লোগানে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে আয়োজকদের সাধুবাদ জানান এবং দ্রুত গ্যাস সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানান। তারা মাননীয় উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বিগত হাসিনা সরকার ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। গ্যাস সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বরং গোপন চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সাল থেকে কসবা-১ কূপ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।

তারাপুর এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ মাটির নিচ থেকে শো শো শব্দে গ্যাস প্রবাহিত হতে দেখা যায়। এরপর বিষয়টি বাপেক্স, উপজেলা প্রশাসন ও প্রকৌশলীদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বক্তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ভয় ও দমননীতির কারণে এতদিন কসবার মানুষ চুপ ছিল। তবে এখন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ সচেতন হয়েছে এবং কসবার গ্যাস কসবারই পাওনা দাবি জোরালোভাবে তুলছে।

“কসবার গ্যাস চাই” কমিটির আহ্বায়ক মো. তানভূর ইসলাম শাহীন মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন। স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি দ্রুত গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং প্রয়োজনে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৯:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

কসবায় গ্যাস সংযোগের দাবিতে মানববন্ধন, ভারতকে গোপন গ্যাস রপ্তানির অভিযোগ

আপডেট : ০৯:২৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

কসবা উপজেলার মুক্তমঞ্চে “কসবার গ্যাস, কসবা চাই” শ্লোগানে বিশাল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বিএনপি, জামায়াত এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতারা সংহতি প্রকাশ করেন।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থেকে আয়োজকদের সাধুবাদ জানান এবং দ্রুত গ্যাস সংযোগ স্থাপনের আহ্বান জানান। তারা মাননীয় উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাহেব ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

বক্তারা অভিযোগ করেন যে, বিগত হাসিনা সরকার ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক কসবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। গ্যাস সংযোগের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। বরং গোপন চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সাল থেকে কসবা-১ কূপ থেকে উত্তোলন করা হচ্ছে।

তারাপুর এলাকার ভুক্তভোগীরা জানান, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে হঠাৎ মাটির নিচ থেকে শো শো শব্দে গ্যাস প্রবাহিত হতে দেখা যায়। এরপর বিষয়টি বাপেক্স, উপজেলা প্রশাসন ও প্রকৌশলীদের জানানো হলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বক্তারা দাবি করেন, আওয়ামী লীগের ভয় ও দমননীতির কারণে এতদিন কসবার মানুষ চুপ ছিল। তবে এখন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ সচেতন হয়েছে এবং কসবার গ্যাস কসবারই পাওনা দাবি জোরালোভাবে তুলছে।

“কসবার গ্যাস চাই” কমিটির আহ্বায়ক মো. তানভূর ইসলাম শাহীন মানববন্ধনের নেতৃত্ব দেন। স্থানীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি, সম্পাদকসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি দ্রুত গ্যাস সংযোগ নিশ্চিত না করা হয়, তাহলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এবং প্রয়োজনে জাতীয় পর্যায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।