ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা মহিলা কলেজ মাঠে শুক্রবার বিকেল ৪টায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনা এবং জননেতা মুশফিকুর রহমানের সমর্থনে এক বিশাল ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনায় এ আয়োজন করা হয়, যেখানে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি ও বক্তব্য
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র ইলিয়াস, আর সঞ্চালনা করেন কসবা উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি। তিনি বলেন,
"৫১৭,৫১৭ ভোটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কাউন্সিল হবে, কোনো সমঝোতা নয়।"
তিনি আরও বলেন, "প্যাকেট কমিটি করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।"
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভিপি জহিরুল হক খোকন এবং জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য ইঞ্জিনিয়ার নাজমুল হুদা খন্দকার।
ভিপি জহিরুল হক খোকন তার বক্তব্যে বলেন,
"আপনারা যারা মুশফিকুর রহমানের সমর্থনে রয়েছেন, আপনারাই হচ্ছেন অরিজিনাল বিএনপি।"
তিনি আরও বলেন, "মামলা-হামলা ও মাদক কারবারীদের পদ-পদবি দিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।"
উপস্থিত নেতাকর্মীদের প্রাণবন্ত অংশগ্রহণ
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবদল নেতা জসিম, ফরিদ, অপু, মনির, সাইদুল এবং ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ রাজু, বাবুল আহম্মেদ বাবু, ময়নাল, নিলয়, আকাশ, মেহেদী, জাহিদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বারবার কারানির্যাতিত নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব।
বিভিন্ন এলাকা থেকে মুশফিকুর রহমানের সমর্থকরা স্লোগান দিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন, যা পুরো অনুষ্ঠানকে আরও প্রাণবন্ত করে তোলে।
দোয়া ও ইফতার মাহফিল
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা এবং দেশের কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। এরপর উপস্থিত নেতাকর্মী ও অতিথিদের মধ্যে ইফতার পরিবেশন করা হয়।
উক্ত দোয়া ও ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে মুশফিকুর রহমানের প্রতি নেতাকর্মীদের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সংহতির বহিঃপ্রকাশ ঘটে।