ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৩ বছর বয়সী এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। বুধবার (৭ মে) বিকেলে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের পাথারিয়াদ্বার গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ছামিউল ইসলাম, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রৌনক ফারজানা এবং কসবা থানার একটি পুলিশ দল ওই বাড়িতে অভিযান চালান।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, পাথারিয়াদ্বার গ্রামের প্রবাসী এক ব্যক্তির অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের আয়োজন চলছিল। বর ছিলেন পাশের ধজনগর গ্রামের বাসিন্দা। তবে প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেয়ে বরপক্ষ অনুষ্ঠানস্থলে না গিয়ে পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে মেয়েটির মা বাল্যবিবাহ না দেওয়ার লিখিত অঙ্গীকারনামা প্রদান করেন। ইউএনও ছামিউল ইসলাম উপস্থিত এলাকাবাসীকে বাল্যবিবাহের কুফল ও আইনগত দিক সম্পর্কে সচেতন করেন। তিনি জানান, ১৮ বছরের নিচে কোনো মেয়েকে বিয়ে দেওয়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, যা সমাজের জন্য একটি বড় ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ সময় ইউএনও মেয়েটির লেখাপড়া যেন ব্যাহত না হয়, সে বিষয়ে লিয়াকত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেন।
ইউএনও মো. ছামিউল ইসলাম বলেন, “আমরা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছি। আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের নিচে মেয়েদের ও ২১ বছরের নিচে ছেলেদের বিয়ে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই আইন অমান্য করলে জেল, জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড হতে পারে।”