কসবাউপজেলার কুটি বাজারে ভয়াবহ আগুন: ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শনে আতাউর রহমান সরকার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কুটি বাজারে আজ ভোররাতে ঘটে গেল এক হৃদয়বিদারক অগ্নিকাণ্ড। বাজারের ফল পট্টিতে হঠাৎ অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। এতে অন্তত ১০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। দোকানদারদের মধ্যে কেউ কেউ সারা বছরের সঞ্চয় হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
দুর্ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় স্থানীয় জনগণ নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালায় এবং পরে ফায়ার সার্ভিস এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে দোকানগুলো এর মধ্যেই সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়ে কসবা-আখাউড়া সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামীর মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ও ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি আতাউর রহমান সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের খোঁজখবর নেন, সান্ত্বনা দেন এবং তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন “আমি আপনাদের এই দুঃসময়ে একা ফেলে রাখব না। ব্যক্তিগত ও দলীয়ভাবে আমরা আপনাদের পুনরুদ্ধারে সর্বোচ্চ সহায়তা করার চেষ্টা করব। ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণ তালিকা করে প্রয়োজনীয় আর্থিক ও মানবিক সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
আতাউর রহমান সরকারের এই মানবিক উদ্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদাররা কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন। উপস্থিত স্থানীয় জনগণের মধ্যেও তার প্রতি ইতিবাচক মনোভাব পরিলক্ষিত হয়।
এ সময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন—
জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য কাজী সিরাজুল ইসলাম
উপজেলা জামায়াতের আমীর অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ
নায়েবে আমীর পীরজাদা শিবলী নোমানী
উপজেলা প্রচার সম্পাদক কবির আহমেদ
উপজেলা শিবির সভাপতি সাইফুল্লাহ আল আরিফ
পশ্চিম থানা জামায়াত সভাপতি তুহিন রেজা
কুটি ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর হেলাল উদ্দিন
সেক্রেটারি হাসনাত জামান
বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুল মতিন
মাওলানা গোলাম মাওলা, প্রমুখ।
পরিদর্শন শেষে নেতৃবৃন্দ স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক এবং বাজারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক, যেন ভবিষ্যতে এমন দুর্ঘটনা এড়ানো যায়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নির্ধারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত চলছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি ও সমাজকর্মীদের মধ্যে এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ বিরাজ করছে।