London ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলার সঙ্গে বিতর্কে পিছু হটলেন ট্রাম্প

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, কোনো তৃতীয় বিতর্ক হচ্ছে না! কমলার সঙ্গে মঞ্চের বাক্যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগে জুনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

কিছু জরিপে দেখা গেছে, টিভি বিতর্কে কমলা জিতেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, তিনিই জয়ী, তাই আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না। দুই প্রার্থীর বিতর্ক সরাসরি দেখেছেন ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। বিতর্কের পর দু’জনই তাদের প্রচারে ফিরে গেছেন। বিশেষ করে যেসব রাজ্যে প্রবল লড়াই হতে পারে, সেখানে দু’জনই প্রচারে জোর দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্স প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, বিতর্কটি অন্তত আংশিক বা সম্পূর্ণ শোনা ভোটারদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে জয়ী মনে করছেন। যেখানে ট্রাম্পের জয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২৪ শতাংশ ভোটার।

এদিকে ট্রাম্প নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট আত্মতুষ্টিতে আছেন। তিনি বলেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট বরং তার কাজে মনোযোগ দিন। তবে রিপাবলিকান পার্টির ছয়জন দাতা ও ট্রাম্পের তিন উপদেষ্টা মনে করছেন, নিজের কথা গুছিয়ে বলতে পারেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট। তাই মঞ্চে কমলা জিতে গেছেন।
ট্রাম্পের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর এক জনসভায় থাকা কমলা বলেছেন, আমি মনে করি, আরেকটি বিতর্ক ভোটারদের প্রাপ্য। তবে ট্রাম্প বলেছেন, লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর প্রথম কথাটা পরাজিত মানুষ বলেন, আমি আবার লড়তে চাই। নিবন্ধিত ভোটারের ৫৪ শতাংশ প্রয়োজনীয়তা বোধ না করলেও ৪৬ শতাংশ আরেকটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে।

এদিকে ট্রাম্প এখন অ্যারিজোনায় প্রচার চালাচ্ছেন। এই রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। দুই প্রার্থীই এখান থেকে জয়ের আশা করছেন। সেখানে একটি জনসভায় ট্রাম্প বলেছেন, যদি নভেম্বর মাসের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেন, তাহলে কর ছাঁটাই করবেন। সে ক্ষেত্রে ওভারটাইমের ওপর কর তুলে নেওয়া হবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, টিপসের ওপর কোনো কর বসানো হবে না। সেই প্রতিশ্রুতি এত জনপ্রিয় হয় যে, কমলাও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলিনায় এক জনসভায় কমালা হ্যারিস বলেছেন, দুই রাত আগে আমি ও ট্রাম্প প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, ভোটদাতাদের জন্য আরেকটি বিতর্কে আমরা দায়বদ্ধ। নর্থ ক্যারোলিনাও হচ্ছে সুইং স্টেট, যেখানে দুই প্রার্থীই জয়ের আশা করছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএনের। 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬০
Translate »

কমলার সঙ্গে বিতর্কে পিছু হটলেন ট্রাম্প

আপডেট : ১১:১১:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের সঙ্গে আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি লিখেছেন, কোনো তৃতীয় বিতর্ক হচ্ছে না! কমলার সঙ্গে মঞ্চের বাক্যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার আগে জুনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন তিনি।

কিছু জরিপে দেখা গেছে, টিভি বিতর্কে কমলা জিতেছেন। কিন্তু ট্রাম্পের দাবি, তিনিই জয়ী, তাই আর কোনো বিতর্কে অংশ নেবেন না। দুই প্রার্থীর বিতর্ক সরাসরি দেখেছেন ৬ কোটি ৭০ লাখ মানুষ। বিতর্কের পর দু’জনই তাদের প্রচারে ফিরে গেছেন। বিশেষ করে যেসব রাজ্যে প্রবল লড়াই হতে পারে, সেখানে দু’জনই প্রচারে জোর দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রয়টার্স প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, বিতর্কটি অন্তত আংশিক বা সম্পূর্ণ শোনা ভোটারদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ এই ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে জয়ী মনে করছেন। যেখানে ট্রাম্পের জয়ের পক্ষে মত দিয়েছেন মাত্র ২৪ শতাংশ ভোটার।

এদিকে ট্রাম্প নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে যথেষ্ট আত্মতুষ্টিতে আছেন। তিনি বলেছেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট বরং তার কাজে মনোযোগ দিন। তবে রিপাবলিকান পার্টির ছয়জন দাতা ও ট্রাম্পের তিন উপদেষ্টা মনে করছেন, নিজের কথা গুছিয়ে বলতে পারেননি সাবেক প্রেসিডেন্ট। তাই মঞ্চে কমলা জিতে গেছেন।
ট্রাম্পের পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর এক জনসভায় থাকা কমলা বলেছেন, আমি মনে করি, আরেকটি বিতর্ক ভোটারদের প্রাপ্য। তবে ট্রাম্প বলেছেন, লড়াইয়ে হেরে যাওয়ার পর প্রথম কথাটা পরাজিত মানুষ বলেন, আমি আবার লড়তে চাই। নিবন্ধিত ভোটারের ৫৪ শতাংশ প্রয়োজনীয়তা বোধ না করলেও ৪৬ শতাংশ আরেকটি বিতর্ক অনুষ্ঠিত হওয়ার পক্ষে।

এদিকে ট্রাম্প এখন অ্যারিজোনায় প্রচার চালাচ্ছেন। এই রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে। দুই প্রার্থীই এখান থেকে জয়ের আশা করছেন। সেখানে একটি জনসভায় ট্রাম্প বলেছেন, যদি নভেম্বর মাসের নির্বাচনে তিনি জিততে পারেন, তাহলে কর ছাঁটাই করবেন। সে ক্ষেত্রে ওভারটাইমের ওপর কর তুলে নেওয়া হবে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, টিপসের ওপর কোনো কর বসানো হবে না। সেই প্রতিশ্রুতি এত জনপ্রিয় হয় যে, কমলাও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলিনায় এক জনসভায় কমালা হ্যারিস বলেছেন, দুই রাত আগে আমি ও ট্রাম্প প্রথম বিতর্কে অংশ নিয়েছিলাম। আমি মনে করি, ভোটদাতাদের জন্য আরেকটি বিতর্কে আমরা দায়বদ্ধ। নর্থ ক্যারোলিনাও হচ্ছে সুইং স্টেট, যেখানে দুই প্রার্থীই জয়ের আশা করছেন। খবর নিউইয়র্ক টাইমস ও সিএনএনের।