London ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
৯ দিন ধরে নিখোঁজ সামিরা,এলাকার বাসির মানব বন্ধনে প্রশাসনের গাফলতির অভিযোগ পটুয়াখালীতে নদী থেকে দুই যুবকের মরদেহ উদ্ধার বিএনপি সরকার গঠন করে দেশকে দূর্নীতি মুক্ত করবে : রুমানা মাহমুদ রাজশাহীতে ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার মদনে ৬০০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা পাঁচ মাদক কারবারি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার পাবনার যুবদল ও কৃষকদল নেতা বহিষ্কার পাবনার ফরিদপুরে ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী মা-মেয়ে নিহত, আহত বাবা রাজশাহীতে নতুন জাতের আম কটিমন দেশ পরিচালনার সুযোগ পেলে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়বে বিএনপি,দুর্গাপুরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনায় নেতৃবৃন্দ কালিয়াকৈরে বনের জমিতে অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ অভিযান

কবুল না বলে আলহামদুলিল্লাহ বললে বিয়ে হবে?

অনলাইন ডেস্ক:

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইসলামী শরিয়তে অভিভাবকের অভিমত গুরুত্বপূর্ণ। এক হাদিসে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১; আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮৩)

অভিভাবকের অনুমতির পাশাপাশি বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুল পাওয়া যাওয়া শর্ত। কাজেই বর-কনের জন্য দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুল মুখে বলা শর্ত। মুখে ইজাব কবুল না বলে শুধু কাবিননামায় সাইন করার দ্বারা বিয়ে শুদ্ধ হবে না।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস : ১০২৫৪)

সাধারণত সাক্ষীদের সামনে স্পষ্টভাবে কবুল শব্দ বলার মাধ্যমে বিয়ে সংঘটিত হয় আমাদের সমাজে। তবে কোনো বর বা কনে যদি কবুলের পরিবর্তে আলহামদুলিল্লাহ বলে তাহলে এতেও বিয়ে শুদ্ধ হবে।  তবে স্পষ্টভাবে কবুল বলাই অধিক নিরাপদ। (আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৩৬-৩৮)

প্রসঙ্গত,  প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষদের বিয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—

‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিয়েতে সামর্থ্য নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে— যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেন। (সুরা নুর, আয়াত : ৩২-৩৩)

আল্লাহর রাসুল (সা.) যুবকদের বিয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন—

‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)

রাসুল (সা.) আরও বলেন—

‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু, হাদিস : ৬১৪৮; তাবরানি, হাদিস : ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ২৭২৮)

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
৮১
Translate »

কবুল না বলে আলহামদুলিল্লাহ বললে বিয়ে হবে?

আপডেট : ১১:৫৯:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য ইসলামী শরিয়তে অভিভাবকের অভিমত গুরুত্বপূর্ণ। এক হাদিসে এ বিষয়ে তাগিদ দিয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ১১০১; আবু দাউদ, হাদিস : ২০৮৩)

অভিভাবকের অনুমতির পাশাপাশি বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার জন্য দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুল পাওয়া যাওয়া শর্ত। কাজেই বর-কনের জন্য দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে ইজাব কবুল মুখে বলা শর্ত। মুখে ইজাব কবুল না বলে শুধু কাবিননামায় সাইন করার দ্বারা বিয়ে শুদ্ধ হবে না।

আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

لَا يَجُوزُ نِكَاحٌ، وَلَا طَلَاقٌ، وَلَا ارْتِجَاعٌ إِلَّا بِشَاهِدَيْنِ

দুইজন সাক্ষী ছাড়া বিবাহ, তালাক ও ফিরিয়ে আনা বৈধ হবে না।’ (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক, হাদিস : ১০২৫৪)

সাধারণত সাক্ষীদের সামনে স্পষ্টভাবে কবুল শব্দ বলার মাধ্যমে বিয়ে সংঘটিত হয় আমাদের সমাজে। তবে কোনো বর বা কনে যদি কবুলের পরিবর্তে আলহামদুলিল্লাহ বলে তাহলে এতেও বিয়ে শুদ্ধ হবে।  তবে স্পষ্টভাবে কবুল বলাই অধিক নিরাপদ। (আহসানুল ফাতাওয়া-৫/৩৬-৩৮)

প্রসঙ্গত,  প্রাপ্ত বয়স্ক নারী-পুরুষদের বিয়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—

‘তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিয়ে সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি নিঃস্ব হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ। যারা বিয়েতে সামর্থ্য নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে— যে পর্যন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের অভাবমুক্ত করে দেন। (সুরা নুর, আয়াত : ৩২-৩৩)

আল্লাহর রাসুল (সা.) যুবকদের বিয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বলেন—

‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস : ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস : ১৪০০)

রাসুল (সা.) আরও বলেন—

‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু, হাদিস : ৬১৪৮; তাবরানি, হাদিস : ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস : ২৭২৮)