ঐতিহ্যবাহী মোগলাবাজার যানজট নিরসনে সকলকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি -মোঃ শহিদুল ইসলাম
সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলার স্বনামধন্য ও ঐতিহ্যবাহী মোগলাবাজার যানজট নিরসনের প্রশাসন ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের ব্যর্থতার কারণে মোগলাবাজার ইউনিয়নের প্রবাসী সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এগিয়ে আসার বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছি।
মোগলাবাজার ইউনিয়নের প্রবাসী নেতৃবৃন্দের অবগতির জন্য বলছি অত্র এলাকার অনেক গরিব পরিবারের সন্তান জিবিকার তাগিদে শহরে আসা যাওয়া করতে হয়।
দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাজারের উপরে সকল প্রকারের গাড়ীর স্ট্যান্ড থাকা সত্যও সময়মত সব সময় লোকাল পরিবহনের অভাব দেখা দেখা যায় এবং স্থানীয় পরিবহন শ্রমিক/ডাইভার ভাইয়েরা স্ট্যান্ডে গাড়ী রেখে লোকাল ভাড়ায় না যাওয়ার অনীহা প্রকাশ করে, গরিব দীন মজুর যাত্রীতের কি প্রতিদিন শহরে কর্মক্ষেত্রে রিজার্ভ যাওয়া সম্ভব ?
আরো কিছু বিষয় আছে জরুরি চিকিৎসার জন্য মুমূর্ষু রোগী নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সেরমত পরিবহন এবং রাষ্ট্রীয় জরুরি কাজে সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবের গাড়ীও মোগলাবারের বিশাল যানজটে আটকে পড়ে থাকে এমতাবস্থায় উক্ত বাহিনীর সদস্যরা যানজট নিরসন করে দীর্ঘ বাজার পাড়ি দিতে হয়। এমনকি মোগলাবাজারের সম্মান রক্ষায় ঐসময় পরিবহন শ্রমিকরাও এগিয়ে আসেন না।
ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পরে কিছু দিন কয়েকজন ছাত্র যানজট নিরসনে কাজ করলেও তাদের অসযোগিতা ও বিভিন্ন অত্যাচার, হুমকি, ধমকি, ভয়-ভীতি প্রদান করলে অবশেষে তারাও নিজেদের পরিবার ও স্বজনদের কথা চিন্তা করে নিজেদের গুঠিয়ে নেয়।
উল্লেখ্য ছাত্র-জনতা আন্দোলনের পর জরুরি কাজে মোগলাবাজার পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর গাড়ী যেতে হয়, পড়তে হয় দীর্ঘ যানজটে এমতাবস্থায় সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা পরিবহন শ্রমিক এলাকাবাসী ও বাজার কমিটি’র নেতৃবৃন্দের ডেকে যানজট নিরসনের সমাধানে বসার চেষ্টা করেন এবং বৈঠকে সেনা বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সযোগিতার আশ্বাস প্রদান করলেও কয়েকদিন পরে পুনরায় পরিবহন শ্রমিকদের সহযোগিতার কারনে বাজারে যানজট লেগেই থাকে।
১। শহরে যাওয়ার জন্য মোগলাবাজারবাসী সুবিধার্থে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে নিজস্ব গাড়ীর স্ট্যান্ডের জমি মোগলাবাজার এলাকাবাসীকে না জানিয়ে বিক্রি করে পরিবহন নেতৃবৃন্দ নিজেদের মাঝে ভাগবাঁটোয়ারা হয়ে গেছে (বর্তমানে যেখানে সেখানে ভবঘুরে অস্থায়ী কদমতলী পয়েন্ট, হুমায়ুন চত্তর, শিববাড়ী বাজার)।
২। পুরাতন রীতি অনুযায়ী মোগলাবাজার থেকে পুরান পুলেরমুখ নামিয়ে দেওয়া নিয়ম থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোন কোন গাড়ীর ড্রাইভার শিববাড়ী বাজার, হুমায়ুন চত্তর, কদমতলী পয়েন্টে যাত্রীর অনিচ্ছা সত্ত্বে জোরপূর্বক নামিয়ে দেওয়া হয়। না হয় গাড়ীর ড্রাইভারের শর্তসাপেক্ষে আসতে হবে।
৩। লোকাল সাবেক ভাড়া সিএনজি ১৫ টাকা, লেগুনা ১২ টাকা, বর্তমানে দিনে সিএনজি ২০/সন্ধ্যার পর ৩০/৪০/৫০ টাকা যে যারমত করে নিচ্ছে।
৪। শহরে জরুরি কাজে যাওয়ার অপেক্ষায় যাত্রী থাকালেও মোগলাবাজার স্ট্যান্ডে ও কদমতলী পয়েন্টে গাড়ী থাকা সত্যও লোকাল যেতে আগ্রহী নয়। রাস্তার উপর গাড়ী থামিয়ে বসে রিজার্ভের আশায় সারা বাজারে রাস্তাঘাটে জাম লাগিয়ে বসে থাকাদসহ আরো অনেক বিষয়।
সমাজ সংস্কারক ও সমাজ কর্মী মোঃ শহিদুল ইসলাম মোগলাবাজার ইউনিয়নের সকল প্রবাসী ভাই/বোন সামাজিক, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের এগিয়ে আসার বিশেষ অনুরোধ জানিয়ে বলেন, শত কর্মব্যস্থার পরও আপনারা প্রবাস থেকে সব সময় প্রাণের প্রিয় এলাকার খোঁজ/খবর নিয়ে থাকেন। সবার আগে এলাকার বিভিন্ন দুর্যোগময় মুহুত্বে মানবতার ডাকে এগিয়ে আসেন। অথচ আপনার প্রাণের প্রিয় এলাকার সম্মান সুনাম রক্ষায় কেউ এগিয়ে আসছে না। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ করছি, আপনারা অতি শীঘ্রই একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিন, যাতে করে এলাকার সম্মান/সুনাম ঐতিহ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
বিশেষ আহবান করছি, যদি কোন কারণে যানজট নিরসনে আপনারা ব্যর্থ হন তা হলে জীবিকার তাগিদে
মোগলাবাজার ইউনিয়নের অসহায় গবিব ঘরের সন্তানদের রুজি রোজগারের জন্য কর্মক্ষেত্রে যাওয়া আসার সুবিধার্থে অত্র এলাকার প্রবাসী কৃতি সন্তানদের নিয়ে ঐক্যবৃত্তির মাধ্যমে “প্রবাসী পরিবহন” চালু করে বিনামুল্যে/স্বল্প মূল্যে শহরে যাওয়া আসার ব্যবস্থা করে দিন