London ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
‘বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ কোন পথে’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত নেত্রকোনা সীমান্তে টংক আন্দোলনের নেত্রী রাশি মণি’র হাজংয়ের ৭৯তম প্রয়াণ দিবস পালিত ফরিদপুরে রিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চালককে হত্যা বিয়ে করলেন সারজিস আলম টিকটকে আসক্ত মেয়েকে গুলি করে হত্যা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ প্লে-অফেই রিয়াল-সিটি লড়াই, বাকি ম্যাচে কে কার প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগ কোনো প্রোগ্রাম করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ কানাডা ও মেক্সিকোর পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের মঞ্চে কোমর ধরে তরুণীকে কাছে টেনে ফ্লার্টিং শাহরুখের! ভিডিও ভাইরাল ১৪ সেকেন্ডের দুষ্টু ভঙ্গির ভিডিওতে ঝড় তুললেন পরীমণি!

এবার লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমে স্থল হামলা ইসরায়েলের

লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংকফাইল ছবি: এএফপি

লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের স্থল হামলার পরিসর আরও বিস্তৃত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল হামলা শুরু করেছেন তাদের সেনারা। বিগত কয়েক দিনে দেশটিতে নতুন করে সেনা পাঠানোর পর স্থল হামলার পরিসর বাড়ানোর এ ঘোষণা দিল ইসরায়েল।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের আন্তসীমান্ত সংঘাত চলছিল। গত মাসের মাঝামাঝি দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।

হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ইসরায়েলি সেনারা স্থল হামলা শুরু করেন। বিমান হামলার পাশাপাশি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লেবাননের দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সম্মুখ লড়াই চলছিল।

গতকাল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল ‘অভিযান’ শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন। তবে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।

লেবাননে এখন পর্যন্ত কতজন সেনা পাঠানো হয়েছে, সেই হিসাব জানায়নি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে টাইমস অব ইসরায়েল–এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৯ দিনে লেবাননে ১৫ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন একটি রিজার্ভ ডিভিশন। এর আগে অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘অভিযানে’ এই ডিভিশনের সেনাদের মোতায়েন করেছিল ইসরায়েল।

দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে গতকাল হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন রয়েছে হিজবুল্লাহর। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাইম কাসেম বলেন, ‘লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি যুদ্ধবিরতির জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের (হিজবুল্লাহর) সমর্থন রয়েছে।’

ইসরায়েলে আবার হামলা

গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা ও এর আশপাশের এলাকায় রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর ইসরায়েলের শহরটি লক্ষ্য করে প্রায় ১০০ রকেট ছুড়েছে তারা।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া অন্তত ৮৫টি রকেট শনাক্ত করেছে তারা। এর মধ্যে কিছু রকেট প্রতিহত করে তারা। তবে কতটি রকেট ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে, এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

এর আগে গত সোমবার হাইফাসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। সেদিন একযোগে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস, গাজার আরেক প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামিক জিহাদ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:৪৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪
৪২
Translate »

এবার লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমে স্থল হামলা ইসরায়েলের

আপডেট : ০৫:৪৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০২৪

লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলি ট্যাংকফাইল ছবি: এএফপি

লেবাননে ইসরায়েলি সেনাদের স্থল হামলার পরিসর আরও বিস্তৃত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল হামলা শুরু করেছেন তাদের সেনারা। বিগত কয়েক দিনে দেশটিতে নতুন করে সেনা পাঠানোর পর স্থল হামলার পরিসর বাড়ানোর এ ঘোষণা দিল ইসরায়েল।

গাজা যুদ্ধ শুরুর পর গত এক বছরের বেশি সময় ধরে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের আন্তসীমান্ত সংঘাত চলছিল। গত মাসের মাঝামাঝি দেশটিতে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গত ২৭ সেপ্টেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ।

হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হওয়ার তিন দিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর দেশটির দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ইসরায়েলি সেনারা স্থল হামলা শুরু করেন। বিমান হামলার পাশাপাশি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে লেবাননের দক্ষিণ ও দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলে হিজবুল্লাহ যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাদের সম্মুখ লড়াই চলছিল।

গতকাল ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, লেবাননের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলেও স্থল ‘অভিযান’ শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন। তবে বিবৃতিতে দাবি করা হয়, সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় হিজবুল্লাহর অবস্থান ও স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে।

লেবাননে এখন পর্যন্ত কতজন সেনা পাঠানো হয়েছে, সেই হিসাব জানায়নি ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। তবে টাইমস অব ইসরায়েল–এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৯ দিনে লেবাননে ১৫ হাজারের বেশি সেনা পাঠিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর ১৪৬তম ডিভিশন একটি রিজার্ভ ডিভিশন। এর আগে অবরুদ্ধ গাজা ও অধিকৃত পশ্চিম তীরে ‘অভিযানে’ এই ডিভিশনের সেনাদের মোতায়েন করেছিল ইসরায়েল।

দুই সপ্তাহ ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলার মুখে গতকাল হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধবিরতিতে সমর্থন রয়েছে হিজবুল্লাহর। টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাইম কাসেম বলেন, ‘লেবাননের পার্লামেন্টের স্পিকার নাবিহ বেরি যুদ্ধবিরতির জন্য যে রাজনৈতিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাতে আমাদের (হিজবুল্লাহর) সমর্থন রয়েছে।’

ইসরায়েলে আবার হামলা

গতকাল টানা দ্বিতীয় দিনের মতো ইসরায়েলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর হাইফা ও এর আশপাশের এলাকায় রকেট হামলা চালিয়েছে হিজবুল্লাহ। গোষ্ঠীটি গতকাল এক বিবৃতিতে জানায়, উত্তর ইসরায়েলের শহরটি লক্ষ্য করে প্রায় ১০০ রকেট ছুড়েছে তারা।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, লেবানন থেকে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ছোড়া অন্তত ৮৫টি রকেট শনাক্ত করেছে তারা। এর মধ্যে কিছু রকেট প্রতিহত করে তারা। তবে কতটি রকেট ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হেনেছে, এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।

এর আগে গত সোমবার হাইফাসহ ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি শহরে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায় হিজবুল্লাহ। সেদিন একযোগে গাজার শাসকগোষ্ঠী হামাস, গাজার আরেক প্রতিরোধ সংগঠন ইসলামিক জিহাদ ও ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের বিভিন্ন শহরে হামলা চালায়।