জামায়াতে ইসলামি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) ‘স্বাধীনতাবিরোধী ষড়যন্ত্রকারী শক্তি’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির একাংশ।
বুধবার (১৭ জুলাই) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এই মিছিল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিএনপি নেতাকর্মীরা মিছিল থেকে স্লোগান দেন— “জামায়াত-শিবির রাজাকার, এই মুহূর্তে বাংলা ছাড়”, “পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার—সাবধান!”
মিছিলটি আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ঘুরে শেষ হয় আলফাডাঙ্গা বাজারের চৌরাস্তায়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে কৃষক দলের সহ-সভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, “জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টি এখনো আতুরঘরে পড়ে আছে। তারা ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করছে। যারা তারেক রহমানকে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছে, তারা স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির অংশ। এ দেশের মাটিতে এদের জায়গা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “ঢাকার রাজপথে একজন ব্যবসায়ীকে হত্যা করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে একটি মহল ফায়দা নিতে চাচ্ছে। তারপর সেই প্রতিবাদ মিছিলকে ব্যবহার করে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বকে হেয় করার অপচেষ্টা হয়েছে। এর জবাব দিতে আমরা রাজপথে আছি।
মিছিলে অংশ নেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান আব্বাস,সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির,যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ আলী সিকদার,পৌর বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক বাশারুল বারী,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মিল্টন উদ্দোল,
উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. শাহিন মোল্লাসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ৯ জুলাই রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে চাঁদা না দেওয়ায় যুবদল নেতার নেতৃত্বে, সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে পাথর দিয়ে থেঁতলে হত্যা করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। সেই মিছিল থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এরই প্রতিবাদে বিএনপি কেন্দ্রীয়ভাবে দেশব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে। আলফাডাঙ্গার এই মিছিল তারই অংশ বলে দাবী করে বিএনপির একাংশের নেতা কর্মীর।