এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের পাশে জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ —এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় অনুপ্রেরণামূলক শুভেচ্ছা ও সহায়তা কর্মসূচি

বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ সকালে এক ব্যতিক্রমী ও মানবিক উদ্যোগে এইচএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় “সহায়তা ও শুভেচ্ছা কর্মসূচি”। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়—যা একদিকে যেমন তাদের পরীক্ষার প্রস্তুতিকে সহজ করবে, তেমনি মানসিকভাবে উৎসাহিত ও অনুপ্রাণিত করবে।
শিক্ষার্থীর পাশে সহানুভূতির হাত, এই কর্মসূচির মূল লক্ষ্য ছিল শিক্ষার্থীদের সহানুভূতি, শুভকামনা ও অনুপ্রেরণার বার্তা পৌঁছে দেওয়া। সমাজের এক শ্রেণির পরীক্ষার্থী নানা দুঃসাধ্য পরিস্থিতি, আর্থিক টানাপোড়েন কিংবা অভিভাবকের অভাবেও পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। ঠিক সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস হয়ে উঠেছে এক বৃহৎ মানবিক সান্ত্বনা।
শুধু একটি কলম কিংবা পানির বোতল নয়—এই ছোট উপহারগুলো যেন বহন করছিল অন্তরের মমতা, দায়িত্ববোধ ও সমাজ পরিবর্তনের বার্তা।
এই মহতী কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র অধিকার পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ:
সোহেল রানা রাফি — সভাপতি
মহসিন সরকার ও তারেক আহমেদ — সহ-সভাপতি
সালমান ইসলাম আরিয়ান — সাধারণ সম্পাদক
মোসম্মৎ ফাইজা আক্তার — সাংগঠনিক সম্পাদক
হেদায়েত নূর — দপ্তর সম্পাদক
মোঃ বিল্লাল সরকার — আহ্বায়ক, কসবা উপজেলা শাখা
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ, তারা বলেন: “শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি শুধু বই নয়, সমাজের সহানুভূতিও এক বড় সহায়ক শক্তি। শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো মানে একটি আলোকিত ভবিষ্যতের ভিত রচনা করা।”
ইঞ্জিনিয়ার ফখরুদ্দীন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ, জেলা শাখা
মোঃ মাসুম আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ, জেলা শাখা
উপস্থিত ছিলেন, শ্রমিক অধিকার পরিষদের জেলা সভাপতি মোঃ শিব্বির আহমদ।
সহযোগিতায়:
এই কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন
মোঃ দুলাল আল মাইজভান্ডারি —
পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক, গণঅধিকার পরিষদ এবং
সদস্য, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ।
অনেক পরীক্ষার্থী অভিভূত হয়ে জানান, “আমরা হয়তো কখনও ভাবিনি কেউ এমনভাবে আমাদের পাশে দাঁড়াবে। এই ছোট উদ্যোগটাও আমাদের জন্য বড় অনুপ্রেরণা।”
এই কর্মসূচি শুধুমাত্র একটি সংগঠনের কাজ নয়, এটি একটি সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রকাশ। পরীক্ষার মরসুমে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে ছাত্র অধিকার পরিষদ দেখিয়ে দিয়েছে—তারা কেবল আন্দোলনের সংগঠন নয়, তারা একটি মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সামাজিক শক্তিও।
জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদ বিশষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছন,দুলাল আল মাইজভন্ডারী ভাইকে, ওনার এ ধরনের উদ্যোগ ও সহযোগীতা সমাজে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবং তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে গঠনমূলক ও মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিতে।