London ০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় সেই চেষ্টা করব মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক

ঋণখেলাপিরা যাতে বিএনপির মনোনয়ন না পায় সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করব বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তবে রাতারাতি সব পরিবর্তন সম্ভব নয়। অতীতের সব অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেই শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলব।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইসিসি কার্নিভ্যাল হলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর : অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের শেষ অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের ঘোষণা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত। সংসদে সব বিষয়ে আলোচনা হবে। একটি নির্বাচিত সরকারই সব ধরনের সংস্কার করতে পারে। কারণ তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসে। আর সংস্কারের বিষয়ে দুই বছর আগেই বলেছি। অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার। এজন্য ৩১ দফা আমরা দিয়েছি।

বিএনপি রাজনৈতিক সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই বারের বেশি হতে পারবেন না। সংসদ দুইকক্ষ বিশিষ্ট হবে। যারা নির্বাচন করেন না, কিন্তু তারা যেন দেশ চালানোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেজন্য এই ব্যবস্থা করব। আমরা বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করব। এজন্য নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি।

দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য দরকার, সেগুলোকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

অনেকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি বলব এটা গণঅভ্যুত্থান। এজন্য আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংস্কার করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পারবে না এ কথা বলা যাবে না। আমরা জনগণের কাছে ঐক্যবদ্ধ। অনেকেই আশা করছেন ৬ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সব পেরে যাবে, যা আসলে সম্ভব না। এজন্য আমরা নির্বাচনে বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের সংসদে কখনও গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।

আগামীতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসেব কিনা তা দেশের জনগণই ঠিক করবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০১:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫
১০
Translate »

ঋণখেলাপিরা যাতে মনোনয়ন না পায় সেই চেষ্টা করব মির্জা ফখরুল

আপডেট : ০১:৪৯:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ঋণখেলাপিরা যাতে বিএনপির মনোনয়ন না পায় সে ব্যাপারে আমরা চেষ্টা করব বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তবে রাতারাতি সব পরিবর্তন সম্ভব নয়। অতীতের সব অভিজ্ঞতা আমাদের রয়েছে। সেই শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে চলব।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিআইসিসি কার্নিভ্যাল হলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি আয়োজিত ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর : অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক সিম্পোজিয়ামের শেষ অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, নির্বাচনের ঘোষণা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত। সংসদে সব বিষয়ে আলোচনা হবে। একটি নির্বাচিত সরকারই সব ধরনের সংস্কার করতে পারে। কারণ তারা জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসে। আর সংস্কারের বিষয়ে দুই বছর আগেই বলেছি। অর্থনৈতিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সংস্কার। এজন্য ৩১ দফা আমরা দিয়েছি।

বিএনপি রাজনৈতিক সংস্কারে বেশি গুরুত্ব দিতে চায় উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী দুই বারের বেশি হতে পারবেন না। সংসদ দুইকক্ষ বিশিষ্ট হবে। যারা নির্বাচন করেন না, কিন্তু তারা যেন দেশ চালানোয় অংশগ্রহণ করতে পারেন, সেজন্য এই ব্যবস্থা করব। আমরা বৈষম্য দূর করতে চেষ্টা করব। এজন্য নির্বাচনের পর আমরা জাতীয় সরকার গঠনের কথা বলেছি।

দেশের প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান গণতন্ত্রের জন্য দরকার, সেগুলোকে গত ১৫ বছরে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে।

অনেকে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানকে বিপ্লবের সঙ্গে তুলনা করেন উল্লেখ করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, আমি বলব এটা গণঅভ্যুত্থান। এজন্য আমরা রাজনৈতিক সংস্কারের কথা বলছি।

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সংস্কার করতে পারবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, পারবে না এ কথা বলা যাবে না। আমরা জনগণের কাছে ঐক্যবদ্ধ। অনেকেই আশা করছেন ৬ মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার সব পেরে যাবে, যা আসলে সম্ভব না। এজন্য আমরা নির্বাচনে বেশি জোর দিচ্ছি। আমাদের সংসদে কখনও গণতন্ত্রের চর্চা হয়নি। আমরা চেষ্টা করে দেখি পারি কি না।

আগামীতে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে আসেব কিনা তা দেশের জনগণই ঠিক করবে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক রেহমান সোবহান।