London ০৫:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উপহার নয়, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে

নোয়াখালীতে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া মুছাপুর স্লুইসগেট দেখতে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ সকালে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘উপহার হিসেবে নয়, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি করলে ডলার আসে। আমাদের এই ‍মুহূর্তে ডলারের কেমন প্রয়োজন সেটা আপনারা জানেন। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা নয়। পাশাপাশ যারা ইলিশ চাইছেন, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সেটি আমরা সবাই দেখেছি।’

আজ সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর ও নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সময় বলেন, ‘সারা দেশে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন দস্যুতায় পরিণত হয়েছে। বালু খেকোদের এ দস্যুতা এখনই রুখতে হবে। আমরা মাঠে এসেছি মানুষ আর সরকারের মধ্যে ভিন্ন সত্তা যেন না থাকে, সেটা ঘুচিয়ে দিতে। মানুষ আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। যেন অচিরেই এর সঠিক সমাধান করা যায়।’

পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকেরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেন। বালু মহল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ রয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের নিবৃত্ত করে সরকারিভাবে নদী ড্রেজিং করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নদী তীরবর্তী এলাকায় এসে স্থানীয় মানুষের কথা শুনলাম। সরকারি হিসাব মতে দেশে প্রতিবছর নদীভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়, যেটি বেসরকারি হিসেবে এক লাখের বেশি বলে আমরা এত দিন ধরে বলে এসেছি।’

এখানে লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীকে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। সরকারকে রেগুলেটর আর ড্রেজিং দুটোর কথাই ভাবতে হচ্ছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমিন ফয়সালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:৪৮:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৫৫
Translate »

উপহার নয়, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে

আপডেট : ১১:৪৮:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

নোয়াখালীতে বন্যার পানির তোড়ে ভেঙে যাওয়া মুছাপুর স্লুইসগেট দেখতে যান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। আজ সকালে

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘উপহার হিসেবে নয়, ভারতে ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। রপ্তানি করলে ডলার আসে। আমাদের এই ‍মুহূর্তে ডলারের কেমন প্রয়োজন সেটা আপনারা জানেন। সেটা খুব ছোট করে দেখার মতো টাকা নয়। পাশাপাশ যারা ইলিশ চাইছেন, তারাও কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় অনেক সমর্থন দিয়েছেন। সেটি আমরা সবাই দেখেছি।’

আজ সোমবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ভেঙে যাওয়া মুছাপুর রেগুলেটর ও নদীভাঙন এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এ সময় বলেন, ‘সারা দেশে নদী থেকে অবাধে বালু উত্তোলন দস্যুতায় পরিণত হয়েছে। বালু খেকোদের এ দস্যুতা এখনই রুখতে হবে। আমরা মাঠে এসেছি মানুষ আর সরকারের মধ্যে ভিন্ন সত্তা যেন না থাকে, সেটা ঘুচিয়ে দিতে। মানুষ আর সরকারকে এক জায়গায় এসে সমস্যার সমাধানে যেতে হবে। যেন অচিরেই এর সঠিক সমাধান করা যায়।’

পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, যেখানেই নদীতে বালু আছে সেখানেই জেলা প্রশাসকেরা মানুষের শত আপত্তি সত্ত্বেও রাজস্ব আয়ের কথা চিন্তা করে বালু মহাল ঘোষণা করে দেন। বালু মহল ঘোষণার যেমন সুযোগ আছে তেমনি বিলুপ্তিরও সুযোগ রয়েছে। বালু উত্তোলনকারীদের নিবৃত্ত করে সরকারিভাবে নদী ড্রেজিং করার বিষয়টি ভাবা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আমরা নদী তীরবর্তী এলাকায় এসে স্থানীয় মানুষের কথা শুনলাম। সরকারি হিসাব মতে দেশে প্রতিবছর নদীভাঙনে ৩০ হাজার মানুষ সব হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায়, যেটি বেসরকারি হিসেবে এক লাখের বেশি বলে আমরা এত দিন ধরে বলে এসেছি।’

এখানে লোনা পানির আগ্রাসন ঠেকাতে মুছাপুর রেগুলেটর লাগবে উল্লেখ করে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘রেগুলেটর দিনে দিনে তৈরি করা সম্ভব না। এটার একটা প্রক্রিয়া আছে। আমরা যদি দ্রুত গতিতেও রেগুলেটর নির্মাণ করতে চাই তাও দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এখানে যে চর হয়েছে সেখানের বালু সরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসী প্রস্তাবনা দিয়েছে। নদীকে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের পাশাপাশি মেইনটেন্যান্স ড্রেজিং করতে হবে। সরকারকে রেগুলেটর আর ড্রেজিং দুটোর কথাই ভাবতে হচ্ছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুন্সী আমিন ফয়সালসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ।