London ১০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
রাজশাহীতে ২ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার বাল্যবিয়ে ঠেকানোর নামে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কথিত যুবদল নেতার চাঁদাবাজিতে বাধা ’ দেওয়ায় — সাত যুবক কারাগারে কসবাউপজেলার কুটি বাজারে ভয়াবহ আগুন: ক্ষতিগ্রস্ত দোকান পরিদর্শনে আতাউর রহমান সরকার কসবায় বিএনপির ঈদ পুনর্মিলনীতে মানুষের ঢল — গ্যাস সংযোগ দেয়া ও শিল্পনগরী গড়ার ঘোষণা দিলেন সম্ভাব্য এমপি প্রার্থী কবির আহম্মদ ভূঁইয়া সিরাজগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলাকাটা হত্যার অভিযোগ স্বামী উপর দুর্গাপুরে তিন ইউনিয়নে বিএনপির সম্মেলন,দলীয় রাজনীতি আরো গতিশীল করার আহ্বান ঈদের মিলনমেলা থেকে তুলে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় সাত দিনমজুরকে চালান সিরাজগঞ্জ জেলা ট্রাক এবং কাভার্ডভ্যান পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন ত্রি-বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত ভারতীয় পণ্য পাচারকালে পিকআপ ভ্যানসহ আটক ১

ঈদের মিলনমেলা থেকে তুলে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় সাত দিনমজুরকে চালান

মোঃতারিকুল ইসলাম,ফরিদপুর প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামে ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও নৈশভোজের আয়োজন থেকে সাত দিন মজুরকে ডেকে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুন বুধবার দিবাগত রাতে গ্রামের চাকরিজীবী ও কর্মজীবী তরুণরা একটি মিলনমেলা ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। রাত ১২টার দিকে অনুষ্ঠান চলাকালে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমরুল হাসান এবং আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছায়। পুলিশ উপস্থিত কয়েকজনকে পাশের একটি স্থানে ডেকে নিয়ে থানায় কিছু তথ্য নেওয়ার কথা বলে। পরে তাদের থানায় নেওয়ার পরদিন সকালে আদালতে চালান করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: আব্দুল্লাহ কাজী, শিমুল শেখ, সম্রাট শেখ, মামুন, রহমত শেখসহ সাতজন। তারা সবাই কামারগ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, তারা কেউই কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি বুড়াইচ গ্রামের ভ্যানচালক লাবলু সরদার বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫০০–৩০০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাতজন ওই মামলার ‘অজ্ঞাত আসামি’ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল আলম বলেন, “আমি সহ উর্ধতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদের আটক করেছি।”

সহকারী পুলিশ সুপার মধুখালি( সার্কেল) ইমরুল হাসান বলেন, “এটি জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযান। গ্রেপ্তারকৃতরা সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী।”

তবে গ্রেপ্তার হওয়া রহমত শেখের পরিবারের দাবি, তিনি একটি জাহাজে চাকরি করেন এবং ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তার মা অভিযোগ করেন, “সে কোনো রাজনীতি করে না। তাকে অন্যায়ভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”

ঘটনার পর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এমন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে, পুলিশের এমন আচরণের বিচার দাবি করেছেন।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:১৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫
২৩
Translate »

ঈদের মিলনমেলা থেকে তুলে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় সাত দিনমজুরকে চালান

আপডেট : ০৪:১৪:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নের কামারগ্রামে ঈদ পরবর্তী মিলনমেলা ও নৈশভোজের আয়োজন থেকে সাত দিন মজুরকে ডেকে নিয়ে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১০ জুন বুধবার দিবাগত রাতে গ্রামের চাকরিজীবী ও কর্মজীবী তরুণরা একটি মিলনমেলা ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। রাত ১২টার দিকে অনুষ্ঠান চলাকালে মধুখালী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ইমরুল হাসান এবং আলফাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহজালাল আলমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছায়। পুলিশ উপস্থিত কয়েকজনকে পাশের একটি স্থানে ডেকে নিয়ে থানায় কিছু তথ্য নেওয়ার কথা বলে। পরে তাদের থানায় নেওয়ার পরদিন সকালে আদালতে চালান করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন: আব্দুল্লাহ কাজী, শিমুল শেখ, সম্রাট শেখ, মামুন, রহমত শেখসহ সাতজন। তারা সবাই কামারগ্রামের বাসিন্দা। জানা গেছে, তারা কেউই কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত ছিলেন না।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ জানুয়ারি বুড়াইচ গ্রামের ভ্যানচালক লাবলু সরদার বাদী হয়ে আলফাডাঙ্গা থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। মামলায় ১৭০ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং আরও ২৫০০–৩০০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সাতজন ওই মামলার ‘অজ্ঞাত আসামি’ হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।

আলফাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল আলম বলেন, “আমি সহ উর্ধতন কর্মকর্তার উপস্থিতিতে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে সন্দেহভাজনদের আটক করেছি।”

সহকারী পুলিশ সুপার মধুখালি( সার্কেল) ইমরুল হাসান বলেন, “এটি জেলা পুলিশের নিয়মিত অভিযান। গ্রেপ্তারকৃতরা সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী।”

তবে গ্রেপ্তার হওয়া রহমত শেখের পরিবারের দাবি, তিনি একটি জাহাজে চাকরি করেন এবং ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিলেন। তার মা অভিযোগ করেন, “সে কোনো রাজনীতি করে না। তাকে অন্যায়ভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”

ঘটনার পর গ্রামে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামবাসীরা এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এমন ঘটনার সঠিক তদন্ত করে, পুলিশের এমন আচরণের বিচার দাবি করেছেন।