London ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে পাচার ৩৫৮ কোটি টাকা

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জ ডট শপের মাধ্যমে ৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং হয়েছে। রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা (পরে বরখাস্ত) সরকারি চাকরির আড়ালে ই–অরেঞ্জ পরিচালনা করতেন। তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনই মূলত এ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। এর বাইরে জড়িত এক পরিবারের আপন দুই ভাই, যাঁদের আরপি করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আরও জড়িত ছিল অল জোন নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান।

আদালতে ই–অরেঞ্জের ওপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দাখিল করা সাম্প্রতিক অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে গুলশান থানায় মামলা হওয়ার প্রায় তিন বছর পর এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

যেহেতু অভিযোগপত্র জমা হয়েছে, সেহেতু আমরা এখন বিচারকাজ শুরু ও শেষ হওয়ার আশা করতে পারি।

সুবর্ণ বড়ুয়া, অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত তিন বছর ব্যবসা করেছে ই–অরেঞ্জ। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ‘ডাবল টাকা ভাউচার অফার’ দিয়ে তারা অস্বাভাবিক কম দামে মোটরসাইকেল, মুঠোফোন, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন ইত্যাদি পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়।

এভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ই–অরেঞ্জ। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৭০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে সমপরিমাণ লেনদেনের মাধ্যমে ৯৫৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও অনেকে পণ্য পাননি। আর এসব লেনদেনের অর্থই মানি লন্ডারিং হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ১২ জন আসামির নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রধান আসামি হচ্ছেন গুলশান থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, তাঁর বোন ই-অরেঞ্জের সোনিয়া মেহজাবিন, সোনিয়ার স্বামী মাসুকুর রহমান, সোহেল-সোনিয়ার খালু রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ। প্রতিষ্ঠানের দুই সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) নাজমুল আলম রাসেল এবং মঞ্জুর আলম পারভেজও এতে জড়িত। এ দুজন সম্পর্কে আপন ভাই।  

মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন ই–অরেঞ্জের নতুন মালিক বীথি আক্তার, শেষ দিকে যোগ দেওয়া ই–অরেঞ্জের সিওও আমানউল্লাহ চৌধুরী, অল জোন নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহেদী হাসান, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের (এসএসএল) চেয়ারম্যান সাবরিনা ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম এবং এসএসএলের চিফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার নূরুল হুদা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (সদ্য বদলি হয়েছেন) কাজী জিল্লুর রহমান মোস্তফা গতকাল শনিবার মুঠোফোনে বলেন, ‘৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এখন তা আদালতের বিষয়।’

পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএলের চেয়ারম্যান, এমডি ও কর্মকর্তা কেন আসামি—এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী জিল্লুর রহমান মোস্তফা বলেন, বেশি কমিশন পাওয়ার আশায় এসএসএলের এই তিনজন ই–অরেঞ্জের মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তা করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় ২৯৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৬০৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা অর্থাৎ ৯০০ কোটি ২১ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছে ই–অরেঞ্জ। বাকি ৫৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার মধ্যে আদালতের নির্দেশে জব্দ আছে ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং ২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা কমিশন নিয়েছে এসএসএল।

বলা হয়েছে, অনেক সন্দেহজনক লেনদেন হলেও এসএসএল সরকারি কোনো সংস্থায় সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) দাখিল করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া গেটওয়ে লাইসেন্সের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে এসএসএল। প্রতিষ্ঠানটি মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তাকারী। প্রতিবেদনে বলা হয়, অল জোনের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান মোটরসাইকেল সরবরাহের নামে ১৮৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন। আর সোহেল রানা ও তাঁর বোন সোনিয়া মেহজাবিন নিজেদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন। এদিকে গ্রাহকদের টাকা নগদে জমা নেয় আরপি করপোরেশন।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী ই–অরেঞ্জ ডট শপের প্রথম সিওও মো. নাজমুল আলম রাসেল, যাঁর হাতে ছিল ই–অরেঞ্জের সফটওয়্যার ও ওয়েবসাইটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। তিনি পরে তাঁর ভাই মঞ্জুর আলম পারভেজকেও চাকরি দিয়ে ই–অরেঞ্জে নিয়ে আসেন। বাস্তবে আরপি করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকও এই দুই ভাই। যদিও আরপি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নাজমুল আলম রাসেলের স্ত্রী ফারিয়া সুবাহার নামে। সফটওয়্যারে ভুয়া পণ্য ক্রয় আদেশ তৈরির পাশাপাশি ভুয়া গ্রাহক তৈরির মাধ্যমে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি, যা হিসাবে ধরা পড়ার পর স্বীকার করেন।

আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় জড়িত শেখ সোহেল রানা ভারতে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খেটেছেন। এখন জামিনে আছেন। সোহেল রানারই বোন সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মো. মাসুকুর রহমান বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তাঁরা। এ ছাড়া ই–অরেঞ্জ শপ যার কাছে বিক্রি হয়েছিল, সেই বিথী আক্তার এবং ই–অরেঞ্জের সিওও মো. আমানউল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। আমানউল্লাহ চৌধুরী সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছেন।

যোগাযোগ করলে ই-কমার্স নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, ‘যেহেতু অভিযোগপত্র জমা হয়েছে, সেহেতু আমরা এখন বিচারকাজ শুরু ও শেষ হওয়ার আশা করতে পারি।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৩৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪
২৫
Translate »

ই-অরেঞ্জের মাধ্যমে পাচার ৩৫৮ কোটি টাকা

আপডেট : ০৩:৩৮:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই–অরেঞ্জ ডট শপের মাধ্যমে ৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং হয়েছে। রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা (পরে বরখাস্ত) সরকারি চাকরির আড়ালে ই–অরেঞ্জ পরিচালনা করতেন। তিনি ও তাঁর আত্মীয়স্বজনই মূলত এ মানি লন্ডারিংয়ে জড়িত। এর বাইরে জড়িত এক পরিবারের আপন দুই ভাই, যাঁদের আরপি করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। আরও জড়িত ছিল অল জোন নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান।

আদালতে ই–অরেঞ্জের ওপর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দাখিল করা সাম্প্রতিক অভিযোগপত্রে এমন তথ্য উঠে এসেছে। ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে গুলশান থানায় মামলা হওয়ার প্রায় তিন বছর পর এ অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

যেহেতু অভিযোগপত্র জমা হয়েছে, সেহেতু আমরা এখন বিচারকাজ শুরু ও শেষ হওয়ার আশা করতে পারি।

সুবর্ণ বড়ুয়া, অধ্যাপক, ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম অর্থ নিয়ে ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই থেকে ২০২১ সালের ১৭ আগস্ট পর্যন্ত তিন বছর ব্যবসা করেছে ই–অরেঞ্জ। ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে ‘ডাবল টাকা ভাউচার অফার’ দিয়ে তারা অস্বাভাবিক কম দামে মোটরসাইকেল, মুঠোফোন, রেফ্রিজারেটর, টেলিভিশন ইত্যাদি পণ্য সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়।

এভাবে মানুষের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ই–অরেঞ্জ। এ সময় প্রতিষ্ঠানটি ৩ লাখ ১৫ হাজার ৫৭০ জন গ্রাহকের কাছ থেকে সমপরিমাণ লেনদেনের মাধ্যমে ৯৫৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও অনেকে পণ্য পাননি। আর এসব লেনদেনের অর্থই মানি লন্ডারিং হয়েছে।

অভিযোগপত্রে ১২ জন আসামির নাম রয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রধান আসামি হচ্ছেন গুলশান থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক শেখ সোহেল রানা, তাঁর বোন ই-অরেঞ্জের সোনিয়া মেহজাবিন, সোনিয়ার স্বামী মাসুকুর রহমান, সোহেল-সোনিয়ার খালু রেড অরেঞ্জ ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ জায়েদুল ফিরোজ। প্রতিষ্ঠানের দুই সাবেক প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা (সিওও) নাজমুল আলম রাসেল এবং মঞ্জুর আলম পারভেজও এতে জড়িত। এ দুজন সম্পর্কে আপন ভাই।  

মামলার অন্য আসামিরা হচ্ছেন ই–অরেঞ্জের নতুন মালিক বীথি আক্তার, শেষ দিকে যোগ দেওয়া ই–অরেঞ্জের সিওও আমানউল্লাহ চৌধুরী, অল জোন নামক একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মেহেদী হাসান, পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান সফটওয়্যার শপ লিমিটেডের (এসএসএল) চেয়ারম্যান সাবরিনা ইসলাম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম এবং এসএসএলের চিফ এক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স অফিসার নূরুল হুদা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (সদ্য বদলি হয়েছেন) কাজী জিল্লুর রহমান মোস্তফা গতকাল শনিবার মুঠোফোনে বলেন, ‘৩৫৮ কোটি টাকা মানি লন্ডারিংয়ের দায়ে ১২ জনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। এখন তা আদালতের বিষয়।’

পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান এসএসএলের চেয়ারম্যান, এমডি ও কর্মকর্তা কেন আসামি—এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী জিল্লুর রহমান মোস্তফা বলেন, বেশি কমিশন পাওয়ার আশায় এসএসএলের এই তিনজন ই–অরেঞ্জের মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তা করেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ব্র্যাক ব্যাংকের গুলশান শাখায় ২৯৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা এবং সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখায় ৬০৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা অর্থাৎ ৯০০ কোটি ২১ লাখ টাকা স্থানান্তর করেছে ই–অরেঞ্জ। বাকি ৫৬ কোটি ৭০ লাখ টাকার মধ্যে আদালতের নির্দেশে জব্দ আছে ৩৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং ২২ কোটি ১৪ লাখ টাকা কমিশন নিয়েছে এসএসএল।

বলা হয়েছে, অনেক সন্দেহজনক লেনদেন হলেও এসএসএল সরকারি কোনো সংস্থায় সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) দাখিল করেনি। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নেওয়া গেটওয়ে লাইসেন্সের শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়েছে এসএসএল। প্রতিষ্ঠানটি মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তাকারী। প্রতিবেদনে বলা হয়, অল জোনের স্বত্বাধিকারী মেহেদী হাসান মোটরসাইকেল সরবরাহের নামে ১৮৮ কোটি টাকা স্থানান্তর করেছেন। আর সোহেল রানা ও তাঁর বোন সোনিয়া মেহজাবিন নিজেদের নামে একাধিক ফ্ল্যাট কিনেছেন। এদিকে গ্রাহকদের টাকা নগদে জমা নেয় আরপি করপোরেশন।

অভিযোগপত্র অনুযায়ী ই–অরেঞ্জ ডট শপের প্রথম সিওও মো. নাজমুল আলম রাসেল, যাঁর হাতে ছিল ই–অরেঞ্জের সফটওয়্যার ও ওয়েবসাইটের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ। তিনি পরে তাঁর ভাই মঞ্জুর আলম পারভেজকেও চাকরি দিয়ে ই–অরেঞ্জে নিয়ে আসেন। বাস্তবে আরপি করপোরেশন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিকও এই দুই ভাই। যদিও আরপি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স নাজমুল আলম রাসেলের স্ত্রী ফারিয়া সুবাহার নামে। সফটওয়্যারে ভুয়া পণ্য ক্রয় আদেশ তৈরির পাশাপাশি ভুয়া গ্রাহক তৈরির মাধ্যমে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি, যা হিসাবে ধরা পড়ার পর স্বীকার করেন।

আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় জড়িত শেখ সোহেল রানা ভারতে পালাতে গিয়ে ধরা পড়ে জেল খেটেছেন। এখন জামিনে আছেন। সোহেল রানারই বোন সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মো. মাসুকুর রহমান বর্তমানে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

অরেঞ্জ বাংলাদেশ নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিক তাঁরা। এ ছাড়া ই–অরেঞ্জ শপ যার কাছে বিক্রি হয়েছিল, সেই বিথী আক্তার এবং ই–অরেঞ্জের সিওও মো. আমানউল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রতারণায় সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে। আমানউল্লাহ চৌধুরী সম্প্রতি জামিনে বের হয়েছেন।

যোগাযোগ করলে ই-কমার্স নিয়ে কাজ করা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অধ্যাপক সুবর্ণ বড়ুয়া বলেন, ‘যেহেতু অভিযোগপত্র জমা হয়েছে, সেহেতু আমরা এখন বিচারকাজ শুরু ও শেষ হওয়ার আশা করতে পারি।’