London ০২:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নেত্রকোণায় দুদকের ১৮৩তম গণশুনানি, স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধির আহ্বান জালালাবাদ প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে হাত-পা ও মা’থাবিহীন অ’জ্ঞাতনামা একটি লা’শ উদ্ধার রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ জন তানোরে দুই বাড়িতে দূর্ধষ ডাকাতি কালিয়াকৈর সাংবাদিকের উপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ চাঁদা না পেয়ে মহিলাকে কুপিয়ে জখম করলো ইউএনও অফিসের অফিস সুপার বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বৃক্ষরোপণ ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু সহায়-সম্বলহীন শুক্কুরী বেগমকে ঘর উপহার দিলেন তারেক রহমান পটুয়াখালীতে মার্কিন নাগরিককে গণধর্ষণ মামলার ০৩ আসামি গ্রেফতার

ইসরায়েলি বন্দিশালা থেকে গাজায় ফিরল ৯০ ফিলিস্তিনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস।

এরপরই কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সকলেই নারী ও শিশু। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জেল সার্ভিস।

এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পলে তাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিনেই ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নারী বা শিশু। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এর নেতা।

জারার এর আগে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব সম্পর্কে তার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন। আর এই অভিযোগে “উস্কানি”সহ অন্যান্য অভিযোগের জন্য একাধিকবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছিলেন।

আল জাজিরার নিদা ইব্রাহিমের মতে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে ঢিল ছোঁড়ার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।

ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং প্যালেস্টানিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরের ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় অবরুদ্ধ এই উপত্যকা থেকে ঠিক কত ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে সেই সংখ্যা অজানা।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
৫৮
Translate »

ইসরায়েলি বন্দিশালা থেকে গাজায় ফিরল ৯০ ফিলিস্তিনি

আপডেট : ০৭:০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫
দীর্ঘ ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান বিধ্বংসী যুদ্ধের অবসানে অবশেষে ফিলিস্তিনের গাজায় কার্যকর হয়েছে বহুল আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি। চুক্তির আওতায় প্রথম দিনে ইসরায়েলি তিন নারী বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী হামাস।

এরপরই কারাগার থেকে ৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিয়েছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত সকলেই নারী ও শিশু। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপের অংশ হিসেবে ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের জেল সার্ভিস।

এর আগে রোববার যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে হামাস রেড ক্রসের কাছে তিন ইসরায়েলি বন্দিকে তুলে দেয়। পলে তাদেরকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। হামাস বলছে, গাজা থেকে প্রতিজন বন্দির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ৩০ জন করে ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এদিকে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম দিনেই ৯০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তারা সবাই নারী বা শিশু। মুক্তিপ্রাপ্ত বন্দিদের মধ্যে রয়েছে খালিদা জারার নামের একজন রাজনীতিবিদ। তিনি অধিকৃত পশ্চিম তীরে পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন (পিএফএলপি) এর নেতা।

জারার এর আগে ইসরায়েলি দখলদারিত্ব সম্পর্কে তার প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়েছিলেন। আর এই অভিযোগে “উস্কানি”সহ অন্যান্য অভিযোগের জন্য একাধিকবার ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছিলেন।

আল জাজিরার নিদা ইব্রাহিমের মতে, মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনিদের মধ্যে শিশুও রয়েছে, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে ইসরায়েলি সৈন্যদের দিকে ঢিল ছোঁড়ার জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য কারারুদ্ধ করা হয়েছিল।

ফিলিস্তিনি বন্দি ও সাবেক বন্দি বিষয়ক কমিশন এবং প্যালেস্টানিয়ান প্রিজনার্স সোসাইটি অনুসারে, বর্তমানে দখলকৃত পশ্চিম তীরের ১০ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

তবে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের সময় অবরুদ্ধ এই উপত্যকা থেকে ঠিক কত ফিলিস্তিনিকে আটক করা হয়েছে সেই সংখ্যা অজানা।