মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর মার্কিন শুল্কারোপ নিশ্চিত করবেন তিনি।
যদিও যুক্তরাজ্যের পণ্যের উপর শুল্ক আরোপের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি, তবে বলেছেন দেশটির তবে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কাজ করা যেতে পারে।
ট্রাম্প বলেছেন তিনি সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মেক্সিকো এবং কানাডার নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। এই দুই দেশের পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক এবং চীনের পণ্যের উপর ১০% শুল্ক মঙ্গলবার থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।
চীন, কানাডা এবং মেক্সিকো যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার। দেশটি ৪০ শতাংশ পণ্য এসব দেশ থেকে আমদানি করে থাকে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জানান, আমেরিকান বিয়ার, ওয়াইন, ফল, ফলের জুস, ভেজিটেবল, পারফিউম, পোশাক ও জুতার ওপর শুল্ক আরোপ করা হচ্ছে। এ ছাড়া খেলাধুলার সামগ্রী, ফার্নিচার, প্লাস্টিক ও গৃহস্থালি রয়েছে এ তালিকায়।
যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানিল (এক ধরনের মাদক) সংকট মোকাবিলায় শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্রাম্প। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিয়াভিট বলেছিলেন, অবৈধ ফেন্টানিল যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাতকরণের জবাবে কানাডা ও মেক্সিকোর ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিপরীতে কানাডা ও মেক্সিকো পাল্টা শুল্ক আরোপের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। কাছাকাছি ধরনের ঘোষণা এসেছে চীনের পক্ষ থেকেও।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ১৫৫ বিলিয়ন ডলার সমমানের যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপর কার্যকর হবে মঙ্গলবার থেকে। বাকিটা পরবর্তী ২১ দিনের মধ্যে।
আর মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবাউম বলেছেন, তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন। ধারণা করা হচ্ছে, তিনিও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণাই দেবেন।