London ০৪:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আলফাডাঙ্গায় সদ্য অপসারিত পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন।

 

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমি বিক্রির টাকা না পাওয়ার অভিযোগে সদ্য সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই উপজেলার পানাইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাএস এ কে আজাদ


৪ জানুয়ারী শনিবার দুপুর ১২টায় আলফাডাঙ্গা রেষ্টুরেন্টে এস এ কে আজাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন (অবঃ) সরকারী কর্মকর্তা। বিগত ১৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে অলফাডাঙ্গা পৌরসভাধীন বাজারে আমার ০৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩ শতাংশ জমি আলফাডাঙ্গা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আলী আকসাদ (ঝন্টু) এর নিকট বিক্রয় করি। এবং ১৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে আলফাডাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিযে দলিলরেজিষ্ট্রী করে দেই। জমির মূল্য বাবদ ১ কোটি টাকা ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধের জন্য রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় নিয়ে যায়। কিন্তু ব্যাংকে যাওয়ার পর তার এ্যাকাউন্টে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা না থাকায় আমাকে তাৎক্ষণিক পঞ্চাশ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় ( চেক নং-৭০১৮ তারিখ ১৫-১০-২০২৩ ইং) এবং ঐদিন বাসায় গিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়ার কথা কলে। কিন্তু বাসায় গেলে বিশ লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করে এবং ত্রিশ লক্ষ টাকা পরবর্তী রবিবার অর্থাৎ ২৭-০৮-২০২৩ ইং তারিখে পরিশোধ করবে বলে কথা দেয়। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধের কথা বলে। ঐ তারিখে টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে ১০-০৪-২০২৪ ইং তারিখে আমাকে ৭৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় (চেক নং-CDD 6482320) এবং পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ দিবে বলে কথা দেয়। উক্ত চেকের মেয়াদ শেষ হওয়ার উপক্রম হলে আগের চেকটি ফেরত নিয়া সে ১৭-১১-২০২৪ ইং তারিখে পচাত্তর লক্ষ টাকার আরো একটি চেক দেয় (চেত নং CDD 6482314)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন বিগত প্রায় ১৬ মাস যাবৎ সে আমার চেকের টাকা ও নগদ পাঁচ লক্ষ ঢাকা পরিশোধ না করে এক পর্যায়ে ঝন্টু আমাকে বলে যে, যেহেতু আমি টাকা পরিশোধ করিতে পারছি না সেহেতু জমিটি ফেরত নেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমি রাজি হয়ে গেলাম। এর পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

সাবেক মেয়র আলি আকসাদ ঝন্টু বলেন,আমার বড় চাচা ময়েনউদ্দিন আহমেদ এর বন্ধু সুবাদে পারিবারিক সম্পর্ক।আলফাডাঙ্গা বাজারে এক কোটি টাকা মূল্যে জমি ক্রয় করি। প্রথমে ২৫ লক্ষ নগদ,বাকী ৭৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেই।পরে ৭৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। ঢাকার ফ্ল্যাট ও কাশিয়ানী উপজেলার পিংঙ্গলিয়া মৌজার জমি ক্রয় বাবদ ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দেই। তার পারিবারিক কলহ জেরে জমি রেজিষ্ট্রি করতে কালক্ষেপণ করলে সে ( আজাদ) ইসলামি ব্যাংক শ্যামলী শাখায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে চেক দেয়। পূর্বে ৭৫ লক্ষ টাকার চেক ফেরত ও ফ্ল্যাট ও জমি রেজিষ্ট্রি করার তাগিদ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্য মিথ্যা বানোয়াটি প্রবাকান্ডা চালায়।আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করেছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৮:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫
১৭
Translate »

আলফাডাঙ্গায় সদ্য অপসারিত পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধার সংবাদ সম্মেলন।

আপডেট : ০৮:৪৪:০০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

 

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় জমি বিক্রির টাকা না পাওয়ার অভিযোগে সদ্য সাবেক মেয়র আলী আকসাদ ঝন্টুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে একই উপজেলার পানাইল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাএস এ কে আজাদ


৪ জানুয়ারী শনিবার দুপুর ১২টায় আলফাডাঙ্গা রেষ্টুরেন্টে এস এ কে আজাদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি একজন (অবঃ) সরকারী কর্মকর্তা। বিগত ১৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে অলফাডাঙ্গা পৌরসভাধীন বাজারে আমার ০৬ শতাংশ জমির মধ্যে ৩ শতাংশ জমি আলফাডাঙ্গা পৌরসভার তৎকালীন মেয়র আলী আকসাদ (ঝন্টু) এর নিকট বিক্রয় করি। এবং ১৩ আগষ্ট ২০২৩ ইং তারিখে আলফাডাঙ্গা সাব রেজিস্ট্রার অফিসে গিযে দলিলরেজিষ্ট্রী করে দেই। জমির মূল্য বাবদ ১ কোটি টাকা ব্যাংকে গিয়ে পরিশোধের জন্য রুপালী ব্যাংক আলফাডাঙ্গা শাখায় নিয়ে যায়। কিন্তু ব্যাংকে যাওয়ার পর তার এ্যাকাউন্টে উল্লেখিত পরিমাণ টাকা না থাকায় আমাকে তাৎক্ষণিক পঞ্চাশ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় ( চেক নং-৭০১৮ তারিখ ১৫-১০-২০২৩ ইং) এবং ঐদিন বাসায় গিয়ে পঞ্চাশ লক্ষ টাকা নগদ দেওয়ার কথা কলে। কিন্তু বাসায় গেলে বিশ লক্ষ টাকা নগদ পরিশোধ করে এবং ত্রিশ লক্ষ টাকা পরবর্তী রবিবার অর্থাৎ ২৭-০৮-২০২৩ ইং তারিখে পরিশোধ করবে বলে কথা দেয়। পরবর্তীতে টাকা পরিশোধের কথা বলে। ঐ তারিখে টাকা চাইলে টাকা না দিয়ে তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে ১০-০৪-২০২৪ ইং তারিখে আমাকে ৭৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেয় (চেক নং-CDD 6482320) এবং পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ দিবে বলে কথা দেয়। উক্ত চেকের মেয়াদ শেষ হওয়ার উপক্রম হলে আগের চেকটি ফেরত নিয়া সে ১৭-১১-২০২৪ ইং তারিখে পচাত্তর লক্ষ টাকার আরো একটি চেক দেয় (চেত নং CDD 6482314)। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো উল্লেখ করেন বিগত প্রায় ১৬ মাস যাবৎ সে আমার চেকের টাকা ও নগদ পাঁচ লক্ষ ঢাকা পরিশোধ না করে এক পর্যায়ে ঝন্টু আমাকে বলে যে, যেহেতু আমি টাকা পরিশোধ করিতে পারছি না সেহেতু জমিটি ফেরত নেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমি রাজি হয়ে গেলাম। এর পর থেকে সে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

সাবেক মেয়র আলি আকসাদ ঝন্টু বলেন,আমার বড় চাচা ময়েনউদ্দিন আহমেদ এর বন্ধু সুবাদে পারিবারিক সম্পর্ক।আলফাডাঙ্গা বাজারে এক কোটি টাকা মূল্যে জমি ক্রয় করি। প্রথমে ২৫ লক্ষ নগদ,বাকী ৭৫ লক্ষ টাকার একটি চেক দেই।পরে ৭৫ লক্ষ টাকা পরিশোধ করি। ঢাকার ফ্ল্যাট ও কাশিয়ানী উপজেলার পিংঙ্গলিয়া মৌজার জমি ক্রয় বাবদ ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দেই। তার পারিবারিক কলহ জেরে জমি রেজিষ্ট্রি করতে কালক্ষেপণ করলে সে ( আজাদ) ইসলামি ব্যাংক শ্যামলী শাখায় ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা উল্লেখ করে চেক দেয়। পূর্বে ৭৫ লক্ষ টাকার চেক ফেরত ও ফ্ল্যাট ও জমি রেজিষ্ট্রি করার তাগিদ দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে সামাজিক ভাবে হেয় করার উদ্দেশ্য মিথ্যা বানোয়াটি প্রবাকান্ডা চালায়।আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করেছি।