আলফাডাঙ্গায় বিএনপির একাংশের মানববন্ধ।

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় বিএনপির স্থগিত কমিটির একাংশের নেতা-কর্মীরা দলীয় নেতা এসএম খোসবুর রহমান খোকনের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা , সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
রবিবার (১ জুন) সকাল ১১টায় পৌর চৌরাস্তার মোড়ে আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা বলেন, খোকন দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বাজারে আধিপত্য কায়েম করেছেন এবং ব্যবসায়ীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছেন।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব নুরজামাল খসরু মানববন্ধনে বলেন, ‘গত ২৮ মে পৌর বাজারে পিয়াজবোঝাই একটি ভ্যানের পলিথিন ছিঁড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে দুই ব্যবসায়ীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। স্থানীয়ভাবে মীমাংসা হলেও ৩০ মে আবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে ব্যবসায়ী ইমরান লস্কর আহত হন, যিনি পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।’
তিনি আরও বলেন, ‘এসএম খোকন বাজারের কোনো বৈধ ব্যবসায়ী না হয়েও প্রভাব খাটিয়ে বণিক সমিতির নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব নিয়েছেন। এরপর তিনি মামলা, ভয়ভীতি, সালিশ বাণিজ্য, দালালি ও চাঁদাবাজিতে জড়ান। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে চাঁদা দাবিতে হামলা, গুলি ছোড়া, মারধর ও ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা জানান, ৩০ মে সংঘর্ষের পর বাজারের ব্যবসায়ীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য দোকানপাট বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেন।
পরদিন ৩১ মে বাজারের এক ব্যাবসায়ী বিএনপির ১০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলার আবেদন করেন এবং দুপুরে তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন করেন। পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্বাসে বাজার খুলে দেওয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা খোকনকে উপজেলা বিএনপি থেকে বহিষ্কার এবং তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
অভিযোগ প্রসঙ্গে এসএম খোসবুর রহমান খোকন বলেন, ‘আমি বিএনপির স্বচ্ছ রাজনীতির পক্ষে কাজ করি। বাজারে একজন ব্যবসায়ীকে মারধরের ঘটনায় আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। প্রতিপক্ষ এখন আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আনোয়ারের বাড়িতে কোনো গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেনি।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক (স্থগিত কমিটি) আব্দুল মান্নান মিয়া আব্বাস, যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান মনির, পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বাসারুল বারী, রেজাউল করিমসহ আরও অনেকে।