London ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
চারঘাটে ডোবা থেকে যুবকের লা’শ উদ্ধার কালিয়াকৈরে ভুল রক্ত পুশে সিজারের রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ কালিয়াকৈর উপজেলা সূত্রাপুর এলাকায় চলন্ত অ্যাম্বুলেন্সে আগুনে পুড়ে ছাই কালিয়াকৈর ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারনে চরম ভোগান্তিতে দৈনন্দিন জনজীবন কালিয়া হরিপুরে নারীদের ফ্যামিলি কার্ড কার্যক্রমে তৃণমূল নারীদের জাগরণে ইব্রাহিম মোল্লা রাণীনগরে মৌসুমীর উদ্যোগে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প অনুষ্ঠিত বিএনপির নতুন সদস্য সংহের ফরম বিতরন ও নবায়ন কমসুচি ধানখেত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার সিরাজগঞ্জে চুরির মহামারি: সাংবাদিকের মোটরসাইকেল চুরি, নাগরিকদের মধ্যে চরম উদ্বেগ কালিয়াকৈরে হাজী বাড়ী ফুটবল প্রিমিয়ার লীগের ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

আলফাডাঙ্গায় আদালতের নির্দেশে বেদখল জমির দখল ফিরিয়ে দিলেন এসি (ভূমি)

ফরিদপুর (আলফাডাঙ্গা) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শৈলমারী গ্রামে আদালতের নির্দেশে পাঁচ শতাংশ জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানুর রহমান পুলিশের সহযোগিতায় উপস্থিত থেকে দখল হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

জমির দখল হস্তান্তরের সময় পুলিশ প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জমির সীমারেখা চিহ্নিত করতে রেড ফ্ল্যাগ (লাল পতাকা) টানানো হয় এবং উভয় পক্ষের দলিলপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩-এর আওতায় মো. সিরাজুল ইসলামের পক্ষে তার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ১৪৬/২৪ (তারিখ: ১৫/০৮/২০২৪) দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিবাদীরা উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করে ২০২৫ সালের ৮ মে সকাল ১০টার দিকে সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১নং বিল জুয়ারিয়া টিকরপাড়া মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৪৭৯ ও বিএস দাগ নং ২৬৯-এর আওতায় মোট ১৩ শতাংশ জমির মধ্যে পাঁচ শতাংশ জমি নিয়ে এ বিরোধ। সিরাজুল ইসলামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ভোগদখল করে আসছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

আদালতের নির্দেশে বিবাদীপক্ষ অঙ্গীকারনামা দেয় যে, জমির উপর নির্মিত ঘর উচ্ছেদ করা হলে তাদের আপত্তি থাকবে না। তবে যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, তাই ঘরটি বর্তমানে উচ্ছেদ করা হচ্ছে না বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

অভিযোগকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা জমিটির দখলে ছিলাম। আদালতের মাধ্যমে ন্যায্য প্রক্রিয়ায় পুনরায় দখল পেয়েছি।”

অন্যদিকে বিবাদী পক্ষের একজন তবিবুর রহমান বলেন, “এই জমি পূর্বে মাদ্রাসা সংক্রান্ত বলে আমাদের পক্ষ থেকে দাবি রয়েছে। আমাদের মতে, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ওই জমি ভিন্নভাবে রেকর্ড করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানুর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমির উপর ঘর রয়েছে বিধায় তা এখন ভাঙা হচ্ছে না। সাবেক ও বর্তমান রেকর্ড যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৬:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
১৩৮
Translate »

আলফাডাঙ্গায় আদালতের নির্দেশে বেদখল জমির দখল ফিরিয়ে দিলেন এসি (ভূমি)

আপডেট : ০৬:৪০:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার শৈলমারী গ্রামে আদালতের নির্দেশে পাঁচ শতাংশ জমির দখল ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানুর রহমান পুলিশের সহযোগিতায় উপস্থিত থেকে দখল হস্তান্তর কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

জমির দখল হস্তান্তরের সময় পুলিশ প্রশাসন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। জমির সীমারেখা চিহ্নিত করতে রেড ফ্ল্যাগ (লাল পতাকা) টানানো হয় এবং উভয় পক্ষের দলিলপত্র যাচাই-বাছাই শেষে আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন, ২০২৩-এর আওতায় মো. সিরাজুল ইসলামের পক্ষে তার ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম ফরিদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআর মামলা নং ১৪৬/২৪ (তারিখ: ১৫/০৮/২০২৪) দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, বিবাদীরা উক্ত জমি জোরপূর্বক দখল করে ২০২৫ সালের ৮ মে সকাল ১০টার দিকে সেখানে টিনের ঘর নির্মাণ করেন।

মামলার তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২১নং বিল জুয়ারিয়া টিকরপাড়া মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৪৭৯ ও বিএস দাগ নং ২৬৯-এর আওতায় মোট ১৩ শতাংশ জমির মধ্যে পাঁচ শতাংশ জমি নিয়ে এ বিরোধ। সিরাজুল ইসলামের পরিবার দীর্ঘদিন ধরে জমিটি ভোগদখল করে আসছেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।

আদালতের নির্দেশে বিবাদীপক্ষ অঙ্গীকারনামা দেয় যে, জমির উপর নির্মিত ঘর উচ্ছেদ করা হলে তাদের আপত্তি থাকবে না। তবে যেহেতু মামলাটি বিচারাধীন, তাই ঘরটি বর্তমানে উচ্ছেদ করা হচ্ছে না বলে জানান প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

অভিযোগকারী শরিফুল ইসলাম বলেন, “আমরা জমিটির দখলে ছিলাম। আদালতের মাধ্যমে ন্যায্য প্রক্রিয়ায় পুনরায় দখল পেয়েছি।”

অন্যদিকে বিবাদী পক্ষের একজন তবিবুর রহমান বলেন, “এই জমি পূর্বে মাদ্রাসা সংক্রান্ত বলে আমাদের পক্ষ থেকে দাবি রয়েছে। আমাদের মতে, জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে ওই জমি ভিন্নভাবে রেকর্ড করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) একেএম রায়হানুর রহমান বলেন, “আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। জমির উপর ঘর রয়েছে বিধায় তা এখন ভাঙা হচ্ছে না। সাবেক ও বর্তমান রেকর্ড যাচাই করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হবে।”