London ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আরও সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের

ডিমফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার ৮ অক্টোবর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও ডিম এসেছে সামান্যই। টানা চার দিন সরকারি ছুটি থাকায় আমদানিপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার ডিম আমদানি খুব বেশি হয়নি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ অবস্থায় সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য আরও সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দফায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি বাজারে ডিমের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। একপর্যায়ে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০–১৯০ টাকায়। যদিও আজ বুধবার বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আজ ঢাকার বড় বাজারগুলোয় প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা ও পাড়া-মহল্লায় ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।

এদিকে জরিমানার ভয়ে গত রবি ও সোমবার ডিম বিক্রি বন্ধ রাখেন রাজধানীর তেজগাঁওসহ একাধিক আড়তের ব্যবসায়ীরা। পরে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আড়তে ডিম বিক্রি শুরু হয়। এতে আজ বুধবার বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে আজ দিবাগত রাতে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে আড়তদারদের কাছে এই ডিম পৌঁছে দেবে। আড়তে প্রতিটি ডিম বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। এরপর সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা। এই শর্তেই নিজেদের উদ্যোগে আড়তে ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া ডিমের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পণ্যটি আমদানিতে সাময়িক সময়ের জন্য শুল্ক–কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এ দফায় ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু–মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। তৃতীয়ত, ডিম আমদানির প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। চতুর্থত, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরে সাত দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।

এর আগে গত মাসেও এক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
২৩
Translate »

আরও সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত সরকারের

আপডেট : ০৪:২১:৩৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪

ডিমফাইল ছবি

অন্তর্বর্তী সরকার ৮ অক্টোবর সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও ডিম এসেছে সামান্যই। টানা চার দিন সরকারি ছুটি থাকায় আমদানিপ্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার ডিম আমদানি খুব বেশি হয়নি বলে জানায় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ অবস্থায় সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য আরও সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দফায় অনুমতি দেওয়া হচ্ছে ১২টি প্রতিষ্ঠানকে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নতুন সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে বলে জানা গেছে।

সম্প্রতি বাজারে ডিমের দাম কয়েক দফায় বেড়েছে। একপর্যায়ে ঢাকার বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের ডিমের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৮০–১৯০ টাকায়। যদিও আজ বুধবার বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। আজ ঢাকার বড় বাজারগুলোয় প্রতি ডজন ডিম ১৬০ টাকা ও পাড়া-মহল্লায় ১৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সম্প্রতি ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) বেঁধে দেওয়া হয়।

বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে ডিমের সরবরাহে ঘাটতি রয়েছে। এ কারণেই দাম বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, দেশে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে।

এদিকে জরিমানার ভয়ে গত রবি ও সোমবার ডিম বিক্রি বন্ধ রাখেন রাজধানীর তেজগাঁওসহ একাধিক আড়তের ব্যবসায়ীরা। পরে ভোক্তা অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনার পর মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আড়তে ডিম বিক্রি শুরু হয়। এতে আজ বুধবার বাজারে ডিমের দাম কিছুটা কমেছে।

অন্যদিকে, রাজধানীর তেজগাঁও ও কাপ্তান বাজারে আজ দিবাগত রাতে ২০ লাখ ডিম সরবরাহ করবে শীর্ষস্থানীয় কয়েকটি ডিম উৎপাদক প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে আড়তদারদের কাছে এই ডিম পৌঁছে দেবে। আড়তে প্রতিটি ডিম বিক্রি করা হবে ১০ টাকা ৯১ পয়সায়। এরপর সেই ডিম ভোক্তা পর্যায়ে ১২ টাকায় বিক্রি নিশ্চিত করবেন আড়তদারেরা। এই শর্তেই নিজেদের উদ্যোগে আড়তে ২০ লাখ ডিম সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলো।

এ ছাড়া ডিমের এমন অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পণ্যটি আমদানিতে সাময়িক সময়ের জন্য শুল্ক–কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এ দফায় ডিম আমদানি করার ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর প্রথমটি হলো এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু–মুক্ত দেশ থেকে ডিম আমদানি করতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা ডিমের প্রতিটি চালানের জন্য রপ্তানিকারক দেশের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু ভাইরাস ও ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ামুক্ত সনদ দাখিল করতে হবে। তৃতীয়ত, ডিম আমদানির প্রতিটি চালানের কমপক্ষে ১৫ দিন আগে সংশ্লিষ্ট সঙ্গনিরোধ কর্মকর্তাকে জানাতে হবে। চতুর্থত, আমদানির অনুমতি পাওয়ার পরে সাত দিন পর পর অগ্রগতি প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে হবে।

এর আগে গত মাসেও এক দফায় ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার।