London ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ওয়াকফ আইন নিয়ে উত্তপ্ত ভারত সংখ্যালঘু মুসলিমদের পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আহ্বান বাংলাদেশের গাজায় ইসরায়েলের হামলায় একদিনে নিহত ৬৪ ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১০ সদস্য নিহত যুক্তরাষ্ট্রে গণহারে ভারতীয় ছাত্রদের ভিসা বাতিল, আছে বাংলাদেশিরাও আখাউড়া প্রিন্ট ও টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন: সভাপতি -,মিশু, সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ কৃষকদের পাশে উপজেলা প্রশাসন: ধান কাটা ও লিচু চাষে সহায়তায় সক্রিয় ভূমিকা বার্সেলোনায় না ফেরার কারণ ও ইয়ামালের প্রশংসায় যা বললেন মেসি কসবায় হজ ও উমরাহ প্রশিক্ষণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত টঙ্গীতে ভাই-বোনের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান না হলে মিয়ানমারে শান্তি আসবে না

আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে

অনলাইন ডেস্ক

প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে
হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।
বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা;
দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন।
এত্তসব না থাকার মাঝেও
অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।

অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসে
যেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,
যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।
যা আছে তা শুধুই
ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের
কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।

কী জানো,
দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো
স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।
সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়
স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।

কী এমন ক্ষতি হতো,
শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে
চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?
আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে
এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতে
গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে?
বলো পারতাম না?

কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ?
কেন আলাদা হয়?

সুখের জন্য?

বলো তো,
আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
৩৩
Translate »

আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে

আপডেট : ০৭:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে
হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।
বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা;
দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন।
এত্তসব না থাকার মাঝেও
অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।

অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসে
যেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,
যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।
যা আছে তা শুধুই
ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের
কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।

কী জানো,
দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো
স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।
সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়
স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।

কী এমন ক্ষতি হতো,
শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে
চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?
আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে
এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতে
গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে?
বলো পারতাম না?

কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ?
কেন আলাদা হয়?

সুখের জন্য?

বলো তো,
আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?