London ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
আলটিমেটাম দিয়ে কখনো বিশ্ববিদ্যালয় হয় না শিক্ষা উপদেষ্টা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় প্রতিপক্ষের হামলায় নারীসহ ৪জন আহত,বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট কুষ্টিয়ায় পাউবো অফিসে মুখোশধারীদের গুলি আবারও ফাইনালে হারল দক্ষিণ আফ্রিকা, আবারও চ্যাম্পিয়ন ভারত ফরিদপুরে শিক্ষার্থীদের বাসে ‘হাফ ভাড়া ‘ বরিবার থেকেই কার্যকর তালতলীতে সিগারেট খাওয়া নিয়ে কোন্দলে যুবক নিহত, একজন আটক বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ঘিরে ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথে বাঁকবদল আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে চাঁদাবাজির কারণে পাঁচ হাজার টাকার ভাড়া হয় ১২ হাজার: অর্থ উপদেষ্টা ‘ন্যাশনাল প্রেয়ার ব্রেকফাস্টে’ বাবার প্রতিনিধিত্ব করবেন জাইমা

আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে

অনলাইন ডেস্ক

প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে
হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।
বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা;
দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন।
এত্তসব না থাকার মাঝেও
অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।

অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসে
যেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,
যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।
যা আছে তা শুধুই
ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের
কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।

কী জানো,
দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো
স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।
সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়
স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।

কী এমন ক্ষতি হতো,
শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে
চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?
আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে
এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতে
গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে?
বলো পারতাম না?

কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ?
কেন আলাদা হয়?

সুখের জন্য?

বলো তো,
আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৭:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

আয়শা সাথীর কবিতা: স্মৃতির করিডোরে

আপডেট : ০৭:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

প্রচণ্ড মন খারাপের দিনগুলোতে
হুটহাট দাঁড়াই স্মৃতির করিডোরে।
বহুকালব্যাপী আমরা অচেনা;
দেখাহীন, কথাহীন, চাওয়াহীন।
এত্তসব না থাকার মাঝেও
অম্লান রইলো তোমার রেখে যাওয়া স্মৃতিটুকুই।

অজান্তেই থেকে গেল ভালোবেসে
যেন বইয়ের ভাঁজে রাখা পুরোনো গোলাপ পাপড়ি,
যাদের আজ নিজস্ব কোনো ভাষা নেই, কথা নেই।
যা আছে তা শুধুই
ঘনঘোর শীত-কুয়াশাময় রাতের
কারণহীন ফুঁপিয়ে ওঠা গোপন রোদন।

কী জানো,
দূর আকাশের নক্ষত্রপুঞ্জির মতো
স্মৃতিগুলোও এখন পুরোনো ক্ষণগুলোর প্রতিচ্ছবি।
সদ্যজন্মা মা-হীন ছানা যেভাবে
আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকে প্রত্যাশায়
স্মৃতি রোমন্থনে তেমনই তোমায় হাতড়ে ফিরি আনমনায়।

কী এমন ক্ষতি হতো,
শীতের সন্ধ্যায় শাল জড়িয়ে
চা খেতে খেতে গোটা এক জীবনের ছক কষলে?
আমরাও কি পারতাম না কাঁধে মাথা রেখে
এক থালা ভাতের গল্প বলতে বলতে
গোটা একটা জীবন কাটিয়ে দিতে?
বলো পারতাম না?

কিসের জন্য ছেড়ে যায় মানুষ?
কেন আলাদা হয়?

সুখের জন্য?

বলো তো,
আমিহীন তুমি কতটা সুখ খুঁজে পেয়েছো?