আবাহনীকে ‘স্বরূপে’ দেখতে চায় মোহামেডান
ছয়বারের লিগ চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর দুরাবস্থায় আফসোস করার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছেন প্রবল প্রতিপক্ষ মোহামেডানের কর্তারাও। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে চরম বিপাকে এখন আবাহনী। বিদেশিহীন দল গড়ে কোনমতে টিকে থাকার চেষ্টায় তারা।
অন্যদিকে মোহামেডান এবারও গড়েছে চমক দেওয়ার মতো দল। কাগুজে সেরা বসুন্ধরা কিংসকে থমকে দিয়ে সাদা-কালোদের চোখ শিরোপায়। এই লক্ষ্য নিয়ে বুধবার মতিঝিল জায়ান্টরা শুরু করেছে প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি।
প্রথম দিনেই প্রস্তুতিতে হাজির হয়েছিলেন মোহামেডানের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান ও ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়র গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। আবাহনীর দুরাবস্থায় আক্ষেপ ঝড়েছে তার কণ্ঠে। বলেছেন, আবাহনীকে তিনি দেখতে চান আগের রূপে। দুই ক্লাবের ঐতিহাসিক ‘শত্রুতা’ আবার ফিরুক, এটাই তার কামনা।
গেলো মৌসুমে একমাত্র বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গেই পেরে উঠেনি মোহামেডান। তাই লিগসহ তিন আসরেই তাদের হতে হয়েছে রানার্স-আপ। তবে রানার্স-আপ বাধা ডিঙিয়ে এবার দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারবে, সেই প্রত্যাশা করছেন আলমগীর, ‘আমাদের যে টেকনিক্যাল টিম আছে তারা আমাকে বলেছেন এই দল নিয়ে চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য ফাইট দেওয়া সম্ভব। খুবই ব্যালেন্সড একটা দল। যদিও বসুন্ধরা আমাদের চাইতে পাল্লায় ভারি। তবে তাদের আমরা একাধিকবার হারিয়েছি। গত মৌসুমে আমরা তাদের সঙ্গে ভালো ফাইট দিয়েছি। সে হিসেবে আমরা আশা করতেই পারি আমরা চ্যাম্পিয়ন ফাইট দিতে পারবো এবং চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো।’
কিংসকে প্রশংসারছলে খানিকটা কথার লড়াইয়ে চাপেও ফেলতে চাইলেন আলমগীর, ‘বসুন্ধরা ফুটবলে যে অবদান রাখছে, টাকা পয়সা থেকে সব কিছু মিলিয়ে আমি তাদের স্যালুট জানাই। তবে আমি তাদেরকে রিকোয়েস্ট করবো দেশি খেলোয়াড়দের বেঞ্চে কম বসিয়ে রাখতে। আমি আশা করি তারা এবার এই বিষয়ে নজর রাখবে।
মোহামেডান-আবাহনী লড়াই প্রসঙ্গে আলমগীর বলেন, ‘বসুন্ধরা যে দল হয়েছে তাতে আমাদের মনে হচ্ছে আমাদের মূল প্রতিপক্ষ তারাই। কিন্তু অনেক বছরের ঐতিহ্য মোহামেডান-আবাহনীর লড়াই। আমি অনেক খুশি হব যদি আবার এমন আবহ ফিরে আসে। আবাহনী যদি ভালো দল করতে পারতো তবে আমি আরও খুশি হতাম। আশাকরি তারা সামনে ভালো দল করবে।’ এবারও মোহামেডানের ডাগআউটের দায়িত্বে থাকবেন পরীক্ষিত কোচ আলফাজ আহমেদ। প্রাক-মৌসুম শুরুর দিনের এই কোচ ফুটবলারদের ফিটনেস নিয়ে বলেন, ‘ফুটবল খেলোয়াড়দের নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে অনেক কিছু করার থাকে। তারা যদি সেই কাজগুলো করে থাকে তবে কাজটা সহজ হবে। এক সপ্তাহ ট্রেনিংয়ের পর থেকে এটা বুঝা যাবে। এছাড়া বিদেশী খেলোয়াড়গুলো আসুক তখন সব বোঝা যাবে। সব খেলোয়াড় পাওয়ার পর অবস্থা বুঝে আমরা সিদ্ধান্ত নিবো কোনও প্রীতি ম্যাচ খেলবো কি না। এছাড়া মাঠ নিয়ে তো সমস্যা সব মৌসুমেই থাকে। এই মৌসুমেও মাঠ নিয়ে সমস্যা আছে। আমরা মাঠ নিয়ে কাজ করছি। সব সমস্যা ছাপিয়ে সাফল্য নিয়েই আমরা কাজ করবো। মাঠে দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে চাই।’