বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকেন্দিক মামলা সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের তিনি দিন এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত আনিসুল হকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আতিকের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম আজহারুল ইসলামের আদালত।
আজ আনিসুল হককে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ২০২৩ সালের ১৯ জুলাই মোহাম্মদ পুর থানার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইনছান আলী ভ্যান নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ইনছান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা গত ছরের ১৩ নভেম্বর মোহাম্মদ পুর থানায় ২৬৬ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
গত বছরের ১৩ আগস্ট গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে সাবেক আনিসুল হককে গ্রেফতার করা হয়। নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পরের দিন ১৪ আগস্ট তার ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর কয়েক দফা রিমান্ড শেষে ফের কারাগার পাঠানো হয়।
এদিকে আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম খান সাবেক মেয়র আতিকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে বিচারক চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর রাতে রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকা থেকে আতিককে গ্রেফতার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ। পরদিন মোহাম্মদপুর থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বকুল মিয়া হত্যা মামলায় ওই বছরের ১৩ নভেম্বর আতিকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার। এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।