London ০৩:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

আটক বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

অনলাইন ডেস্ক

আটক বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ ২টি ট্রলারের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এ-সংক্রান্ত মোট তিনটি ছবি প্রকাশ করে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ‘ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড’ পেজের এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’

ভারতীয় কোস্টগার্ডের ফেসবুক পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, আটক ট্রলারের নাবিকরা নৌযানের ডেকের ওপর হাত মাথার পেছনে রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। এসময় নাবিকদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যদের। আরেক ছবিতে দেখা যায়, সাগরে অবস্থানরত বাংলাদেশের দুটি ট্রলার। তৃতীয় ছবিতে ছিল জেটিতে ট্রলার দুটি নিয়ে আসার দৃশ্য।

ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক নৌযান দুটি হলো, এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। অপর দিকে এফভি মেঘনা-৫ নামের ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, ‘সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। এ সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করেছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যাতে উদ্ধার করা যায়, সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানিয়েছি আমরা।’

এর আগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নাবিকরা ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ৭৯ নাবিকসহ দুটি নৌযান জব্দ করে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সোমবার দুপুরে তারা ট্রলারসহ নাবিকদের ধরে নিয়ে যায়। এর দুদিনের মাথায় ৭৮ বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করলেও তাতে বাকি একজনের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১০:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪
৪৩
Translate »

আটক বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় কোস্টগার্ড

আপডেট : ১০:৪৮:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

আটক বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ ২টি ট্রলারের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে (সাবেক টুইটার) এ-সংক্রান্ত মোট তিনটি ছবি প্রকাশ করে ভারতীয় কোস্টগার্ড।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ‘ইন্ডিয়ান কোস্টগার্ড’ পেজের এক পোস্টে উল্লেখ করা হয়, ‘ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে।’

ভারতীয় কোস্টগার্ডের ফেসবুক পোস্টের ছবিতে দেখা যায়, আটক ট্রলারের নাবিকরা নৌযানের ডেকের ওপর হাত মাথার পেছনে রেখে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। এসময় নাবিকদের পেছনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যদের। আরেক ছবিতে দেখা যায়, সাগরে অবস্থানরত বাংলাদেশের দুটি ট্রলার। তৃতীয় ছবিতে ছিল জেটিতে ট্রলার দুটি নিয়ে আসার দৃশ্য।

ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক নৌযান দুটি হলো, এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫। এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। অপর দিকে এফভি মেঘনা-৫ নামের ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন।

সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন বলেন, ‘সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। এ সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করেছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যাতে উদ্ধার করা যায়, সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানিয়েছি আমরা।’

এর আগে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম বলেন, ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। নাবিকরা ভালো আছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ৭৯ নাবিকসহ দুটি নৌযান জব্দ করে নিয়ে যায় ভারতীয় কোস্টগার্ড। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে সোমবার দুপুরে তারা ট্রলারসহ নাবিকদের ধরে নিয়ে যায়। এর দুদিনের মাথায় ৭৮ বাংলাদেশির ছবি প্রকাশ করলেও তাতে বাকি একজনের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।