আওয়ামী লীগের সময় মরা মানুষও ভোট দিয়েছে: রুহুল কুদ্দুস তালুকদার
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার (দুলু) বলেছেন, আওয়ামী লীগের সময় শতভাগ ভোটার উপস্থিতি দেখানো হয়েছিল। তাদের সময়ে মরা মানুষও ভোট দিয়েছে। সাড়ে ১৫ বছর যারা এই দেশকে শোষণ করেছে, দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। জামায়াতের আমির তাদের বিরুদ্ধে না বলে তিনি নাটোরে এসে বলেছেন, আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তাই করবে। তাঁর এসব কথা সত্য নয়।
শনিবার বিকেলে নাটোর সদর উপজেলায় শংকরভাগ মাঠে বড় হরিশপুর ইউনিয়ন বিএনপি আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কুদ্দুস এসব কথা বলেন। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. ইব্রাহীম হোসেনের সভাপতিত্বে ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মাহতাব হোসেন সভা সঞ্চালনা করেন।
জামায়াতের উদ্দেশে রুহুল কুদ্দুস তালুকদার বলেন, ‘আপনারা স্বাধীনতার পক্ষে না বিপক্ষে, তা আগে পরিষ্কার করুন। ১৯৭১ সালের ভূমিকার জন্য জামায়াতের ক্ষমা চাওয়া উচিত। জামায়াতের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রাম নয়, যারা গত সাড়ে ১৫ বছর এ দেশে হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য চালিয়েছে, আমাদের সংগ্রাম তাদের বিরুদ্ধে।’
বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘একটি দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সভা–সমাবেশে ইচ্ছেমতো উল্টাপাল্টা বলছে। তারা জানে না, ক্ষমতা এত সহজ নয়, আসলে তারা বোকার স্বর্গে বসবাস করছে। ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের সঙ্গে, দেশের ভোটারদের সঙ্গে দীর্ঘ সুসম্পর্কের প্রয়োজন হয়। জনগণের আস্থার দলে পরিণত হতে হয়। স্বাধীনতার পর থেকে কখনো ক্ষমতায় আসতে না পারা সেই দলটির বাংলাদেশে এমন জনপ্রিয়তাও নেই, তাদের প্রতি এ দেশের মানুষের তেমন কোনো আস্থাও নেই। বিগত কোনো সংসদ নির্বাচনে দেশের প্রাপ্ত ভোটের হারে কখনো তারা দুই অঙ্কের ঘরেই যেতে পারেনি।’
জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রুহুল কুদ্দুস তালুকদারের সহধর্মিণী ছাবিনা ইয়াসমিন, জেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, সদস্যসচিব রহিম নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শাহ আলম, ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহীন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি এ হাই তালুকদার, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আসাদুজ্জামান আসাদ, ছাত্রদলের সভাপতি কামরুল ইসলাম প্রমুখ।