অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আবারও ফাইনালে ভারত

কেন তাকে ওয়ানডের ‘রাজা’ বলা হয়, তা আরেকবার দেখালেন ভারতীয় তারকা। রান তাড়ায় খেললেন চমৎকার ইনিংস।
টুর্নামেন্টে আরও একবার ফিনিশারের ভূমিকা পালন করলেন লোকেশ রাহুল। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে উঠল ভারত।
প্রথম সেমি-ফাইনালে ম্যাচ ছাড়ার মহড়ায় লড়াই সেভাবে জমাতেই পারল না অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা ৪ উইকেটে হেরে বিদায় নিল টুর্নামেন্ট থেকে।
দুবাইয়ে মঙ্গলবার ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেন বোলাররা। ৩৬ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ১৯৫ রানের শক্ত অবস্থানে থেকেও অস্ট্রেলিয়া ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় তিন বল বাকি থাকতে। সেই রান ভারত পেরিয়ে যায় ১১ বল হাতে রেখেই।
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে টানা তিনটি আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা করে নিল ভারত। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে আহমেদাবাদে গ্যালারি ভরা দর্শকের সামনে তারা হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তারপর এই সংস্করণে দুই দলের প্রথম দেখায় অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে পুরোনো ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দিতে পারল ভারত।
রোহিত শার্মার নেতৃত্বে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর আরেকটি আইসিসি ট্রফি জয়ের দুয়ারে পৌঁছে গেল তারা। দুবাইয়েই আগামী রোববার শিরোপা লড়াইয়ে তারা খেলবে নিউ জিল্যান্ড অথবা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ভারতের সফলতম বোলার মোহাম্মদ শামি। আইসিসি টুর্নামেন্টে আরেকবার নিজের কার্যকারিতা মেলে ধরে ৪৮ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন অভিজ্ঞ পেসার। শুরুতে ব্রেক থ্রু এনে দেওয়ার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ স্কোরার স্টিভেন স্মিথের (৭৩) গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন তিনি।
নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দুটি করে শিকার ধরেন দুই স্পিনার ভারুন চক্রবর্তি ও রাভিন্দ্রা জাদেজা। তাদের সবাইকে ছাপিয়ে ম্যাচের সেরা অবশ্য কোহলি। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত সেঞ্চুরিতে দলকে জেতানো এই তারকা এবার ৯৮ বলে খেলেন ৮৪ রানের আরেকটি দারুণ ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার ফিল্ডিংয়ের দায়ও আছে এখানে। ৫১ রানে কোহলির ক্যাচ ফেলে তারা। এ ছাড়া শুরুতে রোহিত জীবন পান দুই দফায়।
বিশাল ছক্কায় ম্যাচের ইতি টেনে ৩৪ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন রাহুল।