অর্থ-সম্পদে কে এগিয়ে, ট্রাম্প নাকি কমলা?
দরজায় কড়া নাড়ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। আগামী মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এবারের নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রিপাবলিকান দলীয় ডোনাল্ড ট্রাম্প আর ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মাঝে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস রয়েছে।
নির্বাচনি লড়াই এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে হাজারো প্রশ্ন এখন মানুষের মনে। জনমত জরিপে কে কতটা এগিয়ে এমন আলোচনা যেমন চলছে, তেমনি সম্পত্তির দিক থেকে কে কতটা এগিয়ে, তা নিয়েও চলছে জোর আলোচনা–সমালোচনা।দুই পক্ষের মধ্যে সম্পত্তির পরিমাণে কার পাল্লা ভারী, তা জানতে তুমুল আগ্রহ গোটা বিশ্বের। প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, হোয়াইট হাউস দখলের দৌড়ে থাকা ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮ বিলিয়ন ডলার বা ৮০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৫ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা)।
২০০৪ সালে সান ফ্রান্সিকো জেলার অ্যার্টনি হিসেবে কর্মজীবন শুরু করার সময়ে তাঁর বার্ষিক উপার্জন ছিল ১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২ কোটি ডলার। ওই বছরেই ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারল হিসেবে নিয়োগ পান এবং সাত বছর পর সিনেটে যোগ দেন কমলা হ্যারিস। সে বছর আবার তাঁর আয়ে কমে দাঁড়িয়েছিল ১ লাখ ৭৪ হাজার ডলারে।
২০১২ সালে কমলা হ্যারিসের মা মারা যাওয়ার পর কমলা ও তাঁর বোন মায়া হ্যারিস ওকল্যান্ডে নিজেদের বাড়ি বিক্রি করে আয় করেন ৭ লাখ ১০ হাজার ডলার। ওই বছরই কমলা ও তাঁর স্বামী নতুন একটি বাড়ি কেনেন যার বর্তমান বাজারমূল্য সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কমলা হ্যারিস বছরে আয় করেন ২ লাখ ১৮ হাজার ডলার। চলতি বছরের মে মাসে জমা দেওয়া নির্বাচনী হলফনামায় দেখা গেছে, কমলা হ্যারিস ও তাঁর স্বামীর মোট বিনিয়োগ, নগদ এবং অবসরকালীন ভাতার পরিমাণ ৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলার।
এ ছাড়া নিজের লেখা ‘দ্য ট্রুথস উই হোল্ড’ নামের স্মৃতিকথামূলক বই থেকেও তিনি রয়্যালটি পান।
অন্যদিকে ফোর্বসের রিপোর্ট অনুযায়ী, রিপাবলিকান প্রার্থী এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মোট সম্পত্তির পরিমাণও ৮ বিলিয়ন ডলার তথা ৮০০ কোটি ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৫ হাজার ৪৭৯ কোটি টাকা)। গত সেপ্টেম্বর থেকে আচমকাই ট্রাম্পের সম্পত্তির পরিমাণ দ্বিগুণ বেড়েছে।
ট্রাম্পের এই বিপুল সম্পত্তির একটি বড় অংশ আসে তাঁর নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোম্পানি ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ থেকে। এ ছাড়া রিয়েল এস্টেট ব্যবসা থেকেও বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জন করেন ট্রাম্প।
নিউ ইয়র্কে তাঁর নামে রয়েছে ‘ট্রাম্প টাওয়ার’, ফ্লোরিডায় ৩টি বাড়ি, লাস ভেগাসে রয়েছে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল। এর বাইরে মার–এ–লাগো ক্লাব ও গলফ কোর্সেস রয়েছে ট্রাম্পের মালিকানায়। মিয়ামিতে একটি রিসোর্টও রয়েছে সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। এই সম্পত্তির মূল্য ৮১০ মিলিয়ন ডলার। এসব সম্পত্তির বাইরেও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাম্পের রয়েছে অন্তত ১০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পত্তি।
এ ছাড়াও ট্রাম্পের হাতে নগদ ৪১০ মিলিয়ন ডলার রয়েছে বলে জানিয়েছে ফোর্বস।
সোর্সঃ ফোর্বস