London ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
অবশেষে প্রেমের জয় হলো প্রতিবন্ধীদের সিরাজগঞ্জ ইকোনমিক জোনে অস্ত্রসহ চাঁদাবাজ কালা মানিক গ্রেফতার নাসির উদ্দিন পাটোয়ারীর বক্তব্যের প্রতিবাদে নেত্রকোণায় বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ মুজিববাদ ও ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাবে এনসিপি : নাহিদ ইসলাম রাজশাহী চাপাইনবয়াবগঞ্জ বাস চলাচল বন্ধ উত্তর লন্ডনে বর্ণাঢ্য বাংলাদেশ মেলা ২০২৫ অনুষ্ঠিত রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে দুর্গাপুরে শুরু হলো ফুটবল টুর্নামেন্ট ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত নির্যাতন নিপীড়ন সত্ত্বেও রাজপথে অবিচল তৃণমূলের আস্থার প্রতীক-মির্জা মোস্তফা জামান

অবশেষে প্রেমের জয় হলো প্রতিবন্ধীদের

মো: গোলাম কিবরিয়া,রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

দুই বছরের প্রেম সাধনার পর অবশেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন রাজশাহীর মেয়ে মোসাঃ চামেলী খাতুন ও চট্টগ্রামের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান নামের দুই শারীরিক প্রতিবন্ধী।

রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় জাকযমক আয়োজনে দুই শারীরিক প্রতিবন্ধীর বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে নিজ খরচে বিয়ের আয়োজন করেন, ঐ এলাকার অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক মোঃ শফিকুল ইসলাম।

সন্ধ্যায় তাদের গাঁয়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। কালমা রেজিস্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। বিয়েতে ৮০ (আশি) হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। যার মধ্যে ০২ (দুই) হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করেন মোঃ আব্দুর রহমান।

মোসাঃ চামেলী খাতুন রাজশাহীর পবা থানাধীন মাধইপাড়া এলাকার মোঃ কমিম উদ্দিনের মেয়ে। মোঃ আব্দুর রহমান চট্টগ্রামের ছেলে। তিনি নিজেকে এতিম দাবি করেন। তবে তার পিতা-মাতার নাম বা বংশ পরিচয় এখনও জানানি তিনি।

জানা যায়, গত দুই বছর যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় চামেলী ও আব্দুর রহমানের। এরপর শুরু হয় প্রেম ভালোবাসা।

পরবর্তীতে গত ২ মাস পূর্বে মোঃ আব্দুর রহমান চট্টগ্রাম থেকে প্রেমিকার খোঁজে খালি হাতে চলে আসে রাজশাহীতে। তারপর নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় চামেলীর বাসার পাশে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করতে থাকে মোঃ আব্দুর রহমান। সে সময় পরিচয় হয় ঐ এলাকার অটোরিক্স গ্যারেজ মালিক মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে।

তারপর মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে তার প্রেম ভালোবাসার কথা খুলে বলেন মোঃ আব্দুর রহমান। মোঃ আব্দুর রহমানের কথা শুনে অবশেষে নিজ গ্যারেজেই কাজ দেন মোঃ শফিকুল ইসলাম।

গ্যারেজে থাকা অবস্থায় মোসাঃ চামেলী খাতুন ও মোঃ আব্দুর রহমানের প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেম ভালোবাসার কথা এলাকায় জানাজানি হলে আজ দুই জনকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন এলাকাবাসী।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
Translate »

অবশেষে প্রেমের জয় হলো প্রতিবন্ধীদের

আপডেট : ০৩:৪৪:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫

দুই বছরের প্রেম সাধনার পর অবশেষে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলেন রাজশাহীর মেয়ে মোসাঃ চামেলী খাতুন ও চট্টগ্রামের ছেলে মোঃ আব্দুর রহমান নামের দুই শারীরিক প্রতিবন্ধী।

রাজশাহী নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় জাকযমক আয়োজনে দুই শারীরিক প্রতিবন্ধীর বিবাহের কাজ সম্পন্ন হয়।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে নিজ খরচে বিয়ের আয়োজন করেন, ঐ এলাকার অটোরিক্সা গ্যারেজ মালিক মোঃ শফিকুল ইসলাম।

সন্ধ্যায় তাদের গাঁয়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। কালমা রেজিস্ট্রি করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় তারা। বিয়েতে ৮০ (আশি) হাজার টাকা দেনমোহর ধার্য করা হয়। যার মধ্যে ০২ (দুই) হাজার টাকা নগদ পরিশোধ করেন মোঃ আব্দুর রহমান।

মোসাঃ চামেলী খাতুন রাজশাহীর পবা থানাধীন মাধইপাড়া এলাকার মোঃ কমিম উদ্দিনের মেয়ে। মোঃ আব্দুর রহমান চট্টগ্রামের ছেলে। তিনি নিজেকে এতিম দাবি করেন। তবে তার পিতা-মাতার নাম বা বংশ পরিচয় এখনও জানানি তিনি।

জানা যায়, গত দুই বছর যাবৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় চামেলী ও আব্দুর রহমানের। এরপর শুরু হয় প্রেম ভালোবাসা।

পরবর্তীতে গত ২ মাস পূর্বে মোঃ আব্দুর রহমান চট্টগ্রাম থেকে প্রেমিকার খোঁজে খালি হাতে চলে আসে রাজশাহীতে। তারপর নগরীর ছোটবনগ্রাম এলাকায় চামেলীর বাসার পাশে এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা করতে থাকে মোঃ আব্দুর রহমান। সে সময় পরিচয় হয় ঐ এলাকার অটোরিক্স গ্যারেজ মালিক মোঃ শফিকুল ইসলামের সাথে।

তারপর মোঃ শফিকুল ইসলামের কাছে তার প্রেম ভালোবাসার কথা খুলে বলেন মোঃ আব্দুর রহমান। মোঃ আব্দুর রহমানের কথা শুনে অবশেষে নিজ গ্যারেজেই কাজ দেন মোঃ শফিকুল ইসলাম।

গ্যারেজে থাকা অবস্থায় মোসাঃ চামেলী খাতুন ও মোঃ আব্দুর রহমানের প্রেমের সম্পর্ক আরও গভীর হয়। এক পর্যায়ে তাদের প্রেম ভালোবাসার কথা এলাকায় জানাজানি হলে আজ দুই জনকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করে দেন এলাকাবাসী।