London ১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৫০ লাখ ডলারে মার্কিন নাগরিকত্ব বিক্রি করবেন ট্রাম্প!

অনলাইন ডেস্ক

অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন নিয়মে ডলারের বিনিময়ে বিক্রি হবে মার্কিন নাগরিকত্ব। এজন্য পঞ্চাশ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা) গুনতে হবে অভিবাসীদের। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করার অনুমোদন পবেন বিদেশিরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প এই নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। তার কথায়, ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে অভিবাসীদের ‘গোল্ডেন কার্ড’ প্রদান করা হবে। এটি হবে মার্কিন নাগরিকত্বের অনুমোদন। খবর সিএনএনের।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে। যা মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জনের ‘পথ খুলে দেবে’। ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দেশে আসবেন এবং এই কার্ড কিনতে পারবেন। তারা এখানে এসে আরও ধনী হবেন, সাফল্য অর্জন করবেন, এখানে অনেক খরচ করবেন ও কর দেবেন। আমাদের অনেক নাগরিকদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেবেন।”

ট্রাম্প জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। তবে কীভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ান ওলিগার্কদের (ধনী ব্যবসায়ীদের) কাছে এই কার্ড বিক্রি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, সম্ভবত। আমি কিছু রাশিয়ান ওলিগার্কদের চিনি, যারা খুব ভালো মানুষ।’

মঙ্গলবার এই সংক্রন্ত নির্বাহী আদেশে সই করার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক। তিনি জানান, এই কার্ড সরকার পরিচালিত ইবি-৫ অভিবাসী বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের পরিবর্তে চালু করা হবে। বর্তমানে এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রকল্পে নির্ধারিত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

লুটনিক বলেন, ‘নতুন নিয়মে আবেদনকারীদের অবশ্যই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে তারা ভালো নাগরিক।’

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে চালু হওয়া ইবি-৫ প্রকল্পের মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ১.৫ মিলিয়ন ডলার (গ্রামীণ এলাকায় ৮লাখ ডলার) বিনিয়োগ এবং ওই প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের কর্মসংস্থান তৈরির শর্তে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। তবে এর জন্য তাকে অন্তত ৫ বছর ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।

২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন এই বিনিয়োগের ন্যূনতম পরিমাণ বাড়িয়ে ১.৮ মিলিয়ন (গ্রামীণ এলাকায় ৯ লাখ ডলার) নির্ধারণ করেন। তবে ২০২১ সালে একজন ফেডারেল বিচারক এই আদেশ বাতিল করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

৫০ লাখ ডলারে মার্কিন নাগরিকত্ব বিক্রি করবেন ট্রাম্প!

আপডেট : ০৫:১৭:২৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অভিবাসন নীতিতে বড় পরিবর্তন আনতে চলেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নতুন নিয়মে ডলারের বিনিময়ে বিক্রি হবে মার্কিন নাগরিকত্ব। এজন্য পঞ্চাশ লাখ মার্কিন ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকা) গুনতে হবে অভিবাসীদের। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কাজ করার অনুমোদন পবেন বিদেশিরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্প এই নতুন নীতির কথা ঘোষণা করেন। তার কথায়, ৫ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে অভিবাসীদের ‘গোল্ডেন কার্ড’ প্রদান করা হবে। এটি হবে মার্কিন নাগরিকত্বের অনুমোদন। খবর সিএনএনের।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমরা আমেরিকায় গোল্ড কার্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করেছি। এতে গ্রিন কার্ডের সুবিধাও মিলবে। যা মার্কিন নাগরিকত্ব অর্জনের ‘পথ খুলে দেবে’। ধনী ব্যক্তিরা আমাদের দেশে আসবেন এবং এই কার্ড কিনতে পারবেন। তারা এখানে এসে আরও ধনী হবেন, সাফল্য অর্জন করবেন, এখানে অনেক খরচ করবেন ও কর দেবেন। আমাদের অনেক নাগরিকদের কর্মসংস্থান তৈরি করে দেবেন।”

ট্রাম্প জানান, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই নতুন প্রক্রিয়া চালু হয়ে যাবে। তবে কীভাবে ‘গোল্ড কার্ড’ পাওয়া যাবে বা প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্ট কোনও ধারণা দেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

রাশিয়ান ওলিগার্কদের (ধনী ব্যবসায়ীদের) কাছে এই কার্ড বিক্রি করা হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাব ট্রাম্প বলেন, ‘হ্যাঁ, সম্ভবত। আমি কিছু রাশিয়ান ওলিগার্কদের চিনি, যারা খুব ভালো মানুষ।’

মঙ্গলবার এই সংক্রন্ত নির্বাহী আদেশে সই করার সময় ট্রাম্পের পাশে ছিলেন মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক। তিনি জানান, এই কার্ড সরকার পরিচালিত ইবি-৫ অভিবাসী বিনিয়োগকারী ভিসা প্রোগ্রামের পরিবর্তে চালু করা হবে। বর্তমানে এই কর্মসূচির মাধ্যমে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা যুক্তরাষ্ট্রে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা প্রকল্পে নির্ধারিত অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে গ্রিন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারেন।

লুটনিক বলেন, ‘নতুন নিয়মে আবেদনকারীদের অবশ্যই যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে তারা ভালো নাগরিক।’

উল্লেখ্য, ১৯৯২ সালে চালু হওয়া ইবি-৫ প্রকল্পের মাধ্যমে একজন ব্যবসায়ী যুক্তরাষ্ট্রে ১.৫ মিলিয়ন ডলার (গ্রামীণ এলাকায় ৮লাখ ডলার) বিনিয়োগ এবং ওই প্রতিষ্ঠানে ১০ জনের কর্মসংস্থান তৈরির শর্তে নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। তবে এর জন্য তাকে অন্তত ৫ বছর ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে।

২০১৯ সালে ট্রাম্প প্রশাসন এই বিনিয়োগের ন্যূনতম পরিমাণ বাড়িয়ে ১.৮ মিলিয়ন (গ্রামীণ এলাকায় ৯ লাখ ডলার) নির্ধারণ করেন। তবে ২০২১ সালে একজন ফেডারেল বিচারক এই আদেশ বাতিল করেন।