১২২ বস্তা সার পাচারের অভিযোগে বিএনপি-যুবদলের ৫ নেতাকে বহিষ্কার
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে ১২২ বস্তা জৈব সাব পাচারের অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক ও যুবদলের আহ্বায়কসহ ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজাহান আলী এবং উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. মঈন উদ্দিন ও সদস্য সচিব মো. কামরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বহিষ্কৃতরা হলেন- জীবননগর উপজেলার বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল খালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাশার, সহ-সভাপতি খাদেমুল খোকন, জীবননগর উপজেলা বিএনপির সদস্য আব্দুল কাশেম ও বাঁকা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক মো. রাজা মালিথা।
বহিষ্কার পত্রে বলা হয়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে জৈব সার বিতরণ ও সার সরবরাহের ব্যাপারে অনধিকার প্রবেশ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করায় দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। বিধায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দল থেকে বহিষ্কার করা হলো।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে পাচারের সময় ১২২ বস্তা জৈব সারসহ একটি পাওয়ার টিলার আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে বিতরণের জন্য এসব সার ইউনিয়ন পরিষদের গুদামে মজুত ছিল। সেখান থেকে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে পাচারের সময় আটকের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে সারগুলো সরকারি নাকি ব্যক্তি মালিকানা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেউই সঠিকভাবে বলতে পারেননি।
জীবননগর থানা পুলিশের পরিদর্শক (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস ঢাকা পোস্টকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে জৈব সারভর্তি পাওয়ার টিলারটি আটক করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। চালককে পরিবারের জিম্মায় মুক্তি দেওয়া হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে জীবননগর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ও বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক জুয়েল শেখ এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিনের নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।