London ০৭:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
মেডিকেলে ভর্তির টাকা এখনো জোগাড় হয়নি ইমার যে কোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের স্ত্রীকে হত্যার পর প্রেশার কুকারে রান্না করলেন সাবেক সৈনিক খোলাবাজার থেকে ১০ হাজার বিনামূল্যের পাঠ্যবই জব্দ, গ্রেপ্তার ২ শেরপুরে মাধ্যমিকের ৯ হাজার সরকারি বই জব্দ! আটক ১ মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থের অভাবে ডাক্তারী লেখা পড়া নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রান্তি ও পরিবার খাগড়াছড়িতে একক আধিপত্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার, গড়েছেন হাজার কোটি টাকার সম্পদ নোয়াখালীতে শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই ১১ দোকান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিন দিন উন্নত হচ্ছে : ইসি মাছউদ নায়িকা নিঝুমকে অপহরণের চেষ্টা, গাড়ি থেকে লাফিয়ে রক্ষা

হাসিনার নামে রেড নোটিস জারি হয়েছে কি না জানে ‘আইজিপি অফিস’

অনলাইন ডেস্ক

 জুলাই-অগাস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি হয়েছে কি না তা আইজিপি দপ্তর জানে বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

প্রায় দেড় মাস আগে রেড নোটিস জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজিপিকে চিঠি দিয়েছেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালে নিজ কার্যালয়ে প্রধান কৌঁসুলি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের একটি শাখা আছে – এনসিবি বা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির বিষয়টা তারা মনিটর এবং দেখভাল করে।

গত ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে ফরমালি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির জন্য যে ফর্মটি আছে তা পূরণ করে এনসিবির কাছে পাঠিয়েছি।

এখন এ নোটিসটা জারি হয়েছে কি না সে বিষয়টা বলার দায়িত্ব এনসিবির; অর্থাৎ পুলিশের মহাপরিদর্শকের অফিসের।

তবে এ নোটিসটা জারি হয়েছে কিনা বা ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এটা আছে কি না তা জানা না থাকার কথা তুলে ধরে তাজুল বলেন, ভবিষ্যতে যদি জানতে পারেন তাহলে সাংবাদিকদের জানাবেন।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন আছে। তারা আমাদের জানাবে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অনেক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৪০:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
১৮
Translate »

হাসিনার নামে রেড নোটিস জারি হয়েছে কি না জানে ‘আইজিপি অফিস’

আপডেট : ০৪:৪০:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

 জুলাই-অগাস্ট গণহত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে রেড নোটিস জারি হয়েছে কি না তা আইজিপি দপ্তর জানে বলেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলি মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

প্রায় দেড় মাস আগে রেড নোটিস জারির বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে তিনি পুলিশের মহাপরিদর্শক, আইজিপিকে চিঠি দিয়েছেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনালে নিজ কার্যালয়ে প্রধান কৌঁসুলি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, পুলিশের একটি শাখা আছে – এনসিবি বা ন্যাশনাল সেন্ট্রাল ব্যুরো। ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারির বিষয়টা তারা মনিটর এবং দেখভাল করে।

গত ১৩ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে ফরমালি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিস জারির জন্য যে ফর্মটি আছে তা পূরণ করে এনসিবির কাছে পাঠিয়েছি।

এখন এ নোটিসটা জারি হয়েছে কি না সে বিষয়টা বলার দায়িত্ব এনসিবির; অর্থাৎ পুলিশের মহাপরিদর্শকের অফিসের।

তবে এ নোটিসটা জারি হয়েছে কিনা বা ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে এটা আছে কি না তা জানা না থাকার কথা তুলে ধরে তাজুল বলেন, ভবিষ্যতে যদি জানতে পারেন তাহলে সাংবাদিকদের জানাবেন।

এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আইজিপি বাহারুল আলম বলেন, ইন্টারপোলের সদর দপ্তরে প্রক্রিয়াধীন আছে। তারা আমাদের জানাবে।

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুবনাল গঠন করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এখন ছাত্র-জনতার আন্দোলনের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকারের চালানো দমন পীড়নকে ‘গণহত্যা’ বিবেচনা করে এ আদালতে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

গত ৫ জুলাই থেকে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত সময়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্যে সারা দেশে ‘গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অনেক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।

এর মধ্যে একটি মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং আরেক মামলায় তার পরিবারের সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে ট্রাইব্যুনাল।

গত ৫ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই আছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও অধিকাংশই এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন।