London ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল সিরাজগঞ্জে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে নগদ টাকা ও হেরোইনসহ এক নারী গ্রেফতার বাঘায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্য

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি সৈয়দ মো. ফয়সলের নাম ঘোষণা

রায়হান আহমেদ সম্রাট, মাধবপুর উপজেলা (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সলের নাম।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন। প্রার্থী ঘোষণা হতেই মাধবপুর ও চুনারুঘাটে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর এ আসনে একটি গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে।

প্রার্থী ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মাধবপুর ও চুনারুঘাটের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কার্যালয়ে আনন্দ মিছিল ও বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান।সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, সৈয়দ মোঃ ফয়সল দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার উন্নয়ন, দলীয় নেতৃত্ব ও জনগণের পাশে থাকার জন্য পরিচিত। তার নাম ঘোষণায় তাঁরা নতুন করে আশার আলো দেখছেন।

মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কেন্দ্রীয়ভাবে সৈয়দ মো. ফয়সল সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, এলাকার একজন সেবক। ইনশাল্লাহ আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি বলেন, এটা দলের সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা তৃর্নমুলের কর্মীরা বিএনপির ভঅরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই। ইতিমধ্যে বিএনপির কর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছে। সৈয়দ ফয়সল সাহেব একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি দলের দুঃসময়েও কখনও পিছিয়ে যাননি। তাঁর নেতৃত্বেই এবার আমরা এই আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারব ইনশাল্লাহ।

মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদব চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, “সৈয়দ মোঃ ফয়সলের জনপ্রিয়তা শুধু বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষও তাঁকে ভালোবাসে। তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য প্রার্থী বিএনপিকে আবারও মাঠে ফিরিয়ে আনবে।”

পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী গোলাপ খানঁ বলেন, এখন আমরা এক সাথে ধানের শীর্ষ প্রতীক বিজয়ের কাজ করব ইনশাল্লাহ।

পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাসুকুর রহমান বলেন, “ফয়সল সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমরা উজ্জীবিত। বহু বছর পর মনে হচ্ছে বিএনপি আবারও শক্তভাবে নির্বাচনী মাঠে ফিরছে। তাঁর নেতৃত্বে কর্মীরা সংগঠিত হবে।”

সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, “সাধারন মানুষ খুশি। সৈয়দ ফয়সল সবার নেতা। তিনি কখনও দলীয় সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকেন না। উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান রয়েছে।”

চা শ্রমিক নেতা খেলু নায়েক বলেন, “আমাদের বাগানাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ফয়সল সাহেব আমাদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি, কারণ তিনি আমাদের কষ্ট বোঝেন। তাঁর প্রার্থিতা শ্রমিকদের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে।”

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি সংগঠিতভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও এ আসনে সৈয়দ ফয়সলের নাম বিএনপির জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ তাঁর রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে সুগভীর যোগাযোগ ও দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা।

নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে এবার মাধবপুর-চুনারুঘাটের মাঠে বিএনপির প্রাণ ফিরেছে। দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বৈঠক শুরু করেছেন। তারা আশাবাদী, “এবার জনগণের ভোটে পরিবর্তন আসবেই।”

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৩:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
Translate »

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক এমপি সৈয়দ মো. ফয়সলের নাম ঘোষণা

আপডেট : ০৩:৫১:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হয়েছে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সলের নাম।

সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকায় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেন। প্রার্থী ঘোষণা হতেই মাধবপুর ও চুনারুঘাটে বিএনপির নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে উচ্ছ্বাস ও উৎসবের আমেজ। দীর্ঘদিন পর এ আসনে একটি গ্রহণযোগ্য, জনপ্রিয় ও অভিজ্ঞ প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় স্থানীয় নেতাকর্মীরা মনে করছেন, এবারের নির্বাচনে বিএনপি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়ে তুলবে।

প্রার্থী ঘোষণার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মাধবপুর ও চুনারুঘাটের বিভিন্ন স্থানে দলীয় কার্যালয়ে আনন্দ মিছিল ও বিএনপির ভারপাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ধন্যবাদ জানান।সাধারণ মানুষ ও তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, সৈয়দ মোঃ ফয়সল দীর্ঘদিন ধরেই এলাকার উন্নয়ন, দলীয় নেতৃত্ব ও জনগণের পাশে থাকার জন্য পরিচিত। তার নাম ঘোষণায় তাঁরা নতুন করে আশার আলো দেখছেন।

মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল ইসলাম কামাল বলেন, আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। কেন্দ্রীয়ভাবে সৈয়দ মো. ফয়সল সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করায় তৃণমূলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, এলাকার একজন সেবক। ইনশাল্লাহ আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব।

পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন আল রনি বলেন, এটা দলের সঠিক সিদ্ধান্ত। আমরা তৃর্নমুলের কর্মীরা বিএনপির ভঅরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অভিনন্দন জানাই। ইতিমধ্যে বিএনপির কর্মীরা মাঠে নেমে পড়েছে। সৈয়দ ফয়সল সাহেব একজন পরীক্ষিত নেতা। তিনি দলের দুঃসময়েও কখনও পিছিয়ে যাননি। তাঁর নেতৃত্বেই এবার আমরা এই আসনে জয় নিশ্চিত করতে পারব ইনশাল্লাহ।

মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদব চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ বলেন, “সৈয়দ মোঃ ফয়সলের জনপ্রিয়তা শুধু বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষও তাঁকে ভালোবাসে। তিনি সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য প্রার্থী বিএনপিকে আবারও মাঠে ফিরিয়ে আনবে।”

পৌর বিএনপির সভাপতি হাজী গোলাপ খানঁ বলেন, এখন আমরা এক সাথে ধানের শীর্ষ প্রতীক বিজয়ের কাজ করব ইনশাল্লাহ।

পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মাসুকুর রহমান বলেন, “ফয়সল সাহেবকে প্রার্থী ঘোষণা করায় আমরা উজ্জীবিত। বহু বছর পর মনে হচ্ছে বিএনপি আবারও শক্তভাবে নির্বাচনী মাঠে ফিরছে। তাঁর নেতৃত্বে কর্মীরা সংগঠিত হবে।”

সাবেক সভাপতি আব্দুল আজিজ বলেন, “সাধারন মানুষ খুশি। সৈয়দ ফয়সল সবার নেতা। তিনি কখনও দলীয় সীমাবদ্ধতায় আবদ্ধ থাকেন না। উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য সব ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান রয়েছে।”

চা শ্রমিক নেতা খেলু নায়েক বলেন, “আমাদের বাগানাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ফয়সল সাহেব আমাদের পাশে ছিলেন, এখনো আছেন। আমরা তাঁকে বিশ্বাস করি, কারণ তিনি আমাদের কষ্ট বোঝেন। তাঁর প্রার্থিতা শ্রমিকদের মধ্যে আশার আলো জ্বালিয়েছে।”

স্থানীয় পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপি সংগঠিতভাবে নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। আওয়ামী লীগের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায়ও এ আসনে সৈয়দ ফয়সলের নাম বিএনপির জন্য ‘গেম চেঞ্জার’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কারণ তাঁর রয়েছে তৃণমূল পর্যায়ে সুগভীর যোগাযোগ ও দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা।

নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রার্থী ঘোষণার মাধ্যমে এবার মাধবপুর-চুনারুঘাটের মাঠে বিএনপির প্রাণ ফিরেছে। দলের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে বৈঠক শুরু করেছেন। তারা আশাবাদী, “এবার জনগণের ভোটে পরিবর্তন আসবেই।”