London ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
সিংড়ায় ৩১ দফার প্রচারণায় বিএনপি নেতা দাউদার মাহমুদ কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন, আব্দুল হান্নান সভাপতি, মকিস মনসুর, সম্পাদক নির্বা‌চিত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ঝুমা তালুকদার ঢাকায় গ্রেপ্তার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত রিফাতের চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নিলেন কায়সার কামাল ঐতিহাসিক ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আ ন ম খলিলুর রহমান ইব্রাহিম (ভিপি) সদস্য সচিব ব্যারিস্টার ওবায়দুর রহমান টিপু ভূমি অধিগ্রহণের টাকা নয়ছয়ের মিথ্যা সংবাদে ক্ষোভ: সাবেক প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা কাপাসিয়ায় বন খেকোদের হামলায় তিন সাংবাদিক আহত, আটক ৩ প্রিপেইড মিটার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন দুর্গাপুরে মাদক কেনাবেচার সময় ২৮০ পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে ধরা দুই মাদক কারবারি জনগণের সর্বোচ্চ ভোটে হবিগঞ্জ-৪ বিএনপিকে উপহার দিতে চাই : সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল

সৈয়দপুরে ৬১০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি

নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে সৈয়দপুরের ঢেলাপীর বাজারে বাদশা গোস্ত ভান্ডারের বাদশা মিয়া রোববার স্বল্প মূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেনছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৬১০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে সৈয়দপুরের ঢেলাপীর বাজারে বাদশা গোস্ত ভান্ডারের বাদশা মিয়া রোববার স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেন।

দোকানটিতে সকাল থেকে ব্যাগ হাতে ভিড় করেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। সারিবদ্ধভাবে কেউ এক কেজি, কেউ দুই কেজি কিংবা তার বেশি মাংস কেনেন। শুরুর দিনেই দেশি ও সংকর জাতের পাঁচটি গরু কেটে মাংস বিক্রি করা হয়েছে।

বাজারের লোকজন জানান, সৈয়দপুর বাজারে যেখানে গরুর মাংস ৭০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা ভেবে কম দামে মাংস বিক্রির এমন উদ্যোগ নেওয়ায় শহরজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন বাদশা মিয়া।

মাংস কিনতে আসা বোতলাগাড়ী পোড়ারহাটের রফিক মিয়া বলেন, ‘২ কেজি মাংস নিয়েছি ৬১০ টাকা কেজি দরে। অথচ সৈয়দপুর বাজার থেকে নিলে ৭০০ টাকা করে নিত। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের উপকারই হলো।’ আধা কেজি মাংস কিনে বাড়ি ফিরছিলেন উত্তরা আবাসনের আসমা খাতুন (৫৫) বেওয়া। তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাস মাংস খাইনি। কম দামে পেয়ে আজ অনেক দিন পর আধা কেজি মাংস নিয়ে যাচ্ছি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, দোকানের সামনেই গরু জবাই হচ্ছে। সেখানে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোকানে মাংস তোলা হচ্ছে। মানুষজন এসে সাধ্যমতো মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মাংস বিক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, তিনি পেশাদার কসাই নন। শুধু নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে কম দামে মাংস বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিদিনই এই দামেই বিক্রি চলবে। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিনে আজ দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের পাঁচটি গরু জবাই করে বিক্রি করেছেন। পাশেই পশুর হাট, ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে ভালো মানের গরু পাওয়া যায়। বহন খরচও তেমন পড়ে না। সব কাজ সেরে প্রতি কেজিতে আমার ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হয়। এতেই আমি খুশি।’ বরং বিক্রি বাড়লে দাম আরও কমিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ দিকে শহরের অন্যান্য কসাইরাও দাম কমানোর কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। বাদশা যদি পারেন তাহলে আমরাও পারব।’

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
৯৫
Translate »

সৈয়দপুরে ৬১০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি

আপডেট : ১২:০৭:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে সৈয়দপুরের ঢেলাপীর বাজারে বাদশা গোস্ত ভান্ডারের বাদশা মিয়া রোববার স্বল্প মূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেনছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৬১০ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে সৈয়দপুরের ঢেলাপীর বাজারে বাদশা গোস্ত ভান্ডারের বাদশা মিয়া রোববার স্বল্পমূল্যে মাংস বিক্রি শুরু করেন।

দোকানটিতে সকাল থেকে ব্যাগ হাতে ভিড় করেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ। সারিবদ্ধভাবে কেউ এক কেজি, কেউ দুই কেজি কিংবা তার বেশি মাংস কেনেন। শুরুর দিনেই দেশি ও সংকর জাতের পাঁচটি গরু কেটে মাংস বিক্রি করা হয়েছে।

বাজারের লোকজন জানান, সৈয়দপুর বাজারে যেখানে গরুর মাংস ৭০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, সেখানে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষের কথা ভেবে কম দামে মাংস বিক্রির এমন উদ্যোগ নেওয়ায় শহরজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছেন বাদশা মিয়া।

মাংস কিনতে আসা বোতলাগাড়ী পোড়ারহাটের রফিক মিয়া বলেন, ‘২ কেজি মাংস নিয়েছি ৬১০ টাকা কেজি দরে। অথচ সৈয়দপুর বাজার থেকে নিলে ৭০০ টাকা করে নিত। আমাদের মতো মধ্যবিত্তদের উপকারই হলো।’ আধা কেজি মাংস কিনে বাড়ি ফিরছিলেন উত্তরা আবাসনের আসমা খাতুন (৫৫) বেওয়া। তিনি বলেন, ‘গত ছয় মাস মাংস খাইনি। কম দামে পেয়ে আজ অনেক দিন পর আধা কেজি মাংস নিয়ে যাচ্ছি।’

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল, দোকানের সামনেই গরু জবাই হচ্ছে। সেখানে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোকানে মাংস তোলা হচ্ছে। মানুষজন এসে সাধ্যমতো মাংস কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।

মাংস বিক্রেতা বাদশা মিয়া বলেন, তিনি পেশাদার কসাই নন। শুধু নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কথা ভেবে কম দামে মাংস বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতিদিনই এই দামেই বিক্রি চলবে। তিনি বলেন, ‘শুরুর দিনে আজ দুই থেকে আড়াই মণ ওজনের পাঁচটি গরু জবাই করে বিক্রি করেছেন। পাশেই পশুর হাট, ৭০ হাজার থেকে ৯০ হাজারের মধ্যে ভালো মানের গরু পাওয়া যায়। বহন খরচও তেমন পড়ে না। সব কাজ সেরে প্রতি কেজিতে আমার ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হয়। এতেই আমি খুশি।’ বরং বিক্রি বাড়লে দাম আরও কমিয়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এ দিকে শহরের অন্যান্য কসাইরাও দাম কমানোর কথা জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, ‘এটি ভালো উদ্যোগ। বাদশা যদি পারেন তাহলে আমরাও পারব।’