London ০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক টিএসআই রফিক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

যশোরের বহুল আলোচিত সাবেক টাউন ইন্সপেক্টর (টিএসআই) রফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ঝরনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সহায়তার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৩৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বর্তমানে তিনি ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২১ আগস্ট রফিক ও তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। তাদের দু’জনের জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

রফিক ১৯৮৭ সালে পুলিশে যোগ দেন। ২০২৩ সালের ১৬ মে পর্যন্ত তিনি যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকাকালে অবৈধ উপায়ে আয় করেন। ওই অর্থ দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর নামে যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক রফিক ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ‌ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়। সম্পদ বিবরণী পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। 

দুদক সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন জানান, তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২১ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর (সংশোধনী ২০১৯) বিধি ১৮ মোতাবেক রফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ঝরনা ইয়াসমিনের অবৈধ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে এ মামলা দুটি করা হয়েছে। 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৫:০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
৬০
Translate »

সাবেক টিএসআই রফিক ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুই মামলা

আপডেট : ০৫:০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

যশোরের বহুল আলোচিত সাবেক টাউন ইন্সপেক্টর (টিএসআই) রফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ঝরনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সহায়তার অভিযোগে মঙ্গলবার বিকেলে দুদক যশোর সমন্বিত কার্যালয়ে উপসহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩০ লাখ ৯ হাজার ৩৫২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। 

বর্তমানে তিনি ফরিদপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের দায়িত্ব পালন করছেন। গত ২১ আগস্ট রফিক ও তাঁর স্ত্রীর স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন আদালত। তাদের দু’জনের জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত ওই নির্দেশ দিয়েছিলেন। 

রফিক ১৯৮৭ সালে পুলিশে যোগ দেন। ২০২৩ সালের ১৬ মে পর্যন্ত তিনি যশোরসহ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত থাকাকালে অবৈধ উপায়ে আয় করেন। ওই অর্থ দিয়ে নিজের ও স্ত্রীর নামে যশোর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক রফিক ও তাঁর স্ত্রীর সম্পদ‌ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয়। সম্পদ বিবরণী পাওয়ার পর তদন্ত শুরু করে দুদক যশোর সমন্বিত জেলা কার্যালয়। প্রাথমিক তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়া যায়। 

দুদক সহকারী পরিচালক মোশাররফ হোসেন জানান, তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত ২১ আগস্ট দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর (সংশোধনী ২০১৯) বিধি ১৮ মোতাবেক রফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ঝরনা ইয়াসমিনের অবৈধ সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ দুদক প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদন নিয়ে এ মামলা দুটি করা হয়েছে।