London ০৭:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
নাহিদ ইসলাম এক দলকে সরিয়ে আরেক দলকে ক্ষমতায় বসাতে অভ্যুত্থান হয়নি শ্যামনগরে দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে তিনজন গুরুতর আহত, কিশোরের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনগড়া লোডশেডিংয়ে, চরম বিপাকে এসএসসি পরীক্ষার্থীরা সাংবাদিক আরিফুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হুমকির প্রতিবাদে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কালকিনিতে মুক্তিযোদ্ধা দলের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত ৮ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টির আভাস রোববার সারা দেশে মহাসমাবেশের ঘোষণা কারিগরি শিক্ষার্থীদের ইতিহাসের সর্বোত্তম নির্বাচন করবে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান উপদেষ্টা কাতার সফরে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গী ৪ নারী খেলোয়াড় কালই বুঝতে পারবেন-কী করতে পারি

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল

অনলাইন ডেস্ক:

মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। বুধবার (১৬ এপ্রিল) হিন্দুকুশ অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, বুধবার আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি)।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১২১ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) গভীরে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার জনসংখ্যার শহর বাঘলান থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে।

ইএমএসসি প্রথমে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৪ বলে জানিয়েছিল।

ভৌগলিক কারণে মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ। দেশটিতে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত তিন দশকে কেবল ভূমিকম্পের কারণে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের।

১৯৯১ সালে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে হওয়া এক ভূমিকম্পে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়নে ৮৪৮ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

তার পর ১৯৯৭ সালে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের প্রদেশ খোরাসানের কায়েন শহরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি এবং ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

পরের বছর ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের প্রায় বিচ্ছিন্ন ও তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তাখারে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানে নিহত হন প্রায় ৪ হাজার মানুষ, তার মধ্যে আফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩০০।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
১১
Translate »

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল

আপডেট : ০৪:১২:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫

মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তানে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। বুধবার (১৬ এপ্রিল) হিন্দুকুশ অঞ্চলে এই ভূমিকম্প আঘাত হানে।

অবশ্য এই ভূমিকম্পের জেরে কোনও হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, বুধবার আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৫.৬ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (ইএমএসসি)।

ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১২১ কিলোমিটার (৭৫ মাইল) গভীরে এবং এর কেন্দ্রস্থল ছিল প্রায় ১ লাখ ৮ হাজার জনসংখ্যার শহর বাঘলান থেকে ১৬৪ কিলোমিটার পূর্বে।

ইএমএসসি প্রথমে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.৪ বলে জানিয়েছিল।

ভৌগলিক কারণে মধ্য-দক্ষিণ এশিয়ার দেশ আফগানিস্তান ভূমিকম্পপ্রবণ। দেশটিতে ভূমিকম্পের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। সেই রেকর্ড পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, গত তিন দশকে কেবল ভূমিকম্পের কারণে আফগানিস্তানে মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষের।

১৯৯১ সালে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে হওয়া এক ভূমিকম্পে আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও সোভিয়েত ইউনিয়নে ৮৪৮ জন মানুষ নিহত হয়েছিলেন।

তার পর ১৯৯৭ সালে আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী ইরানের প্রদেশ খোরাসানের কায়েন শহরে ৭ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পে দুই দেশে নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছিল ১ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি এবং ১০ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

পরের বছর ১৯৯৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানের প্রায় বিচ্ছিন্ন ও তাজিকিস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ তাখারে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে আফগানিস্তান ও তাজিকিস্তানে নিহত হন প্রায় ৪ হাজার মানুষ, তার মধ্যে আফগানিস্তানে নিহতের সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৩০০।