রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ধরন বদলেছে
Rohingya Muslims, who crossed over from Myanmar into Bangladesh, walks through muddy field to take shelter at Balukhali refugee camp, Bangladesh, October 2, 2017. The United Nations' humanitarian office said Thursday that the number of Rohingya Muslims fleeing to Bangladesh since Aug. 25 has topped 500,000.
কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের ধরন এখন বদলেছে। ২০১৭ সালে রোহিঙ্গারা আশ্রয়হীন অবস্থায় এসে শরণার্থী শিবিরের পুনর্বাসনকেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছিল। এখন তাদের আশ্রয় দিচ্ছে প্রভাবশালীরা। বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের পর প্রভাবশালীরা তাদের লোকজন দিয়ে রোহিঙ্গাদের দেখভাল করছে। মিয়ানমার থেকে নিয়ে আসা কিয়েট মুদ্রা হুন্ডি ব্যবসায়ীদের দিয়ে বাংলাদেশি টাকা করে ভাড়া বাসায় উঠছে তারা। এ প্রবণতাকে বড় ধরনের অশনিসংকেত হিসেবে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে টেকনাফ সীমান্তে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর দুটি অহস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আদনান চৌধুরী বলেন, যেসব রোহিঙ্গা রাতের আঁধারে ঢুকে পড়ছে, তাদের অনেকে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘যৌথ বাহিনী যেহেতু অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, তাই রোহিঙ্গা-সংক্রন্ত এই বিশেষ পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে টেকনাফে সেনাবাহিনী-নৌবাহিনীর দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।’
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, টেকনাফ সীমান্তে অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির অবৈধ চোরাচালান ব্যবসা রয়েছে। এখন মিয়ানমারের যারা পালিয়ে আসছে, আগে থেকে পরিচিত ব্যবসায়ীরাই তাদের আশ্রয় দিচ্ছে। তারা সরাসরি কাজ না করলেও, তাদের লোকজনের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের চট্রগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় থাকার সুযোগ করে দিচ্ছেন।
টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেন, সাত বছর আগে রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করে সরাসরি ক্যাম্পে চলে গেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন। আগে থেকে মিয়ানমারের সঙ্গে টেকনাফের যেসব চোরাকারবারির যোগাযোগ রয়েছে, তারা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছে। তাদের (রোহিঙ্গাদের) চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ছত্রছায়ায় রাখছে। তাই সীমান্তে রোহিঙ্গা প্রতিরোধের পাশাপাশি আশ্রয় দেওয়া স্থানীয় প্রভাবশালীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। অন্যথায় রোহিঙ্গা ঠেকানো সম্ভব হবে না।