London ০৬:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রোজা রেখে কাঁচা ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা যাবে?

অনলাইন ডেস্ক

রোজা অবস্থায় কাঁচা ও শুকনো সব রকম ডাল দিয়েই মিসওয়াক করা যাবে। তবে কাঁচা ডাল দিয়ে মিসওয়াক করলে সতর্ক থাকতে হবে যেন এর রস গলায় চলে না যায়।

মিসওয়াক নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অত্যন্ত প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। এটি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। আবু বকর সিদ্দীক (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা এবং রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯)

ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেয়া হয়েছে। আমার আশঙ্কা হতে লাগল, না জানি তা আমার উপর ফরজ করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ১৬০০৭)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মতের উপর আমি যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে প্রত্যেক নামাজের আগে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (সহিহ বুখারি: ৮৮৭)

রোজাহীন অবস্থায় মিসওয়াক যেমন সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ, রোজা অবস্থায়ও মিসওয়াক করা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজার বিকল্প হিসেবে মিসওয়াক করা উচিত। তাহলে মুখের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি মিসওয়াক করার সওয়াবও লাভ হবে।

রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহারের বিধান

রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা অন্য কোনো মাজন ব্যবহার করে দাঁত মাজলে রোজা ভেঙে যায় না, তবে রোজা অবস্থায় এগুলো ব্যবহার করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। তাই রোজার দিন টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত মাজতে চাইলে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগেই সেটা করে ফেলা উচিত। আর সাহরির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর দাঁত মাজতে চাইলে শুধু ব্রাশ অথবা মিসওয়াক ব্যবহার করা উচিত।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:৫০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
১৭
Translate »

রোজা রেখে কাঁচা ডাল দিয়ে মিসওয়াক করা যাবে?

আপডেট : ০৪:৫০:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

রোজা অবস্থায় কাঁচা ও শুকনো সব রকম ডাল দিয়েই মিসওয়াক করা যাবে। তবে কাঁচা ডাল দিয়ে মিসওয়াক করলে সতর্ক থাকতে হবে যেন এর রস গলায় চলে না যায়।

মিসওয়াক নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) অত্যন্ত প্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। এটি আল্লাহ তাআলার নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভের মাধ্যম। আবু বকর সিদ্দীক (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, মিসওয়াক মুখের পবিত্রতা এবং রবের সন্তুষ্টির মাধ্যম। (সুনানে ইবনে মাজাহ: ২৮৯)

ওয়াসিলা ইবনুল আসকা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, আমাকে মিসওয়াকের আদেশ দেয়া হয়েছে। আমার আশঙ্কা হতে লাগল, না জানি তা আমার উপর ফরজ করে দেয়া হয়। (মুসনাদে আহমাদ: ১৬০০৭)

আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, আমার উম্মতের উপর আমি যদি কষ্টকর মনে না করতাম, তবে তাদেরকে প্রত্যেক নামাজের আগে মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (সহিহ বুখারি: ৮৮৭)

রোজাহীন অবস্থায় মিসওয়াক যেমন সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ, রোজা অবস্থায়ও মিসওয়াক করা সুন্নত ও ফজিলতপূর্ণ আমল। তাই রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট, মাজন ইত্যাদি দিয়ে দাঁত মাজার বিকল্প হিসেবে মিসওয়াক করা উচিত। তাহলে মুখের পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি মিসওয়াক করার সওয়াবও লাভ হবে।

রোজা রেখে টুথপেস্ট ব্যবহারের বিধান

রোজা অবস্থায় টুথপেস্ট বা অন্য কোনো মাজন ব্যবহার করে দাঁত মাজলে রোজা ভেঙে যায় না, তবে রোজা অবস্থায় এগুলো ব্যবহার করা মাকরুহ বা অপছন্দনীয়। তাই রোজার দিন টুথপেস্ট বা মাজন দিয়ে দাঁত মাজতে চাইলে সাহরির সময় শেষ হওয়ার আগেই সেটা করে ফেলা উচিত। আর সাহরির সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর দাঁত মাজতে চাইলে শুধু ব্রাশ অথবা মিসওয়াক ব্যবহার করা উচিত।