London ১১:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড রান তাড়া করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় অস্ট্রেলিয়ার

অনলাইন ডেস্ক

অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে হতভম্ব করে পাড়ি দিয়েছে রান পাহাড়। একগাঁদা রেকর্ডের ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে নোঙর ফেলেছে জয়ের বন্দরে। জশ ইংলিশের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সদের।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) লাহোরে আসরের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বোচ্চ ৩৫১ রান করে থ্রি লায়ন্সরা। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া।

এই জয়ে হলুদ জার্সধারীরা প্রথম ম্যাচেই নিজেদের শক্তির জানান দিলো। পুরো শক্তির দল না হলেও তারা যে দুর্বল নয়, তাই যেন বলতে চাইল। কে বলবে এই দলটার নিয়মিত ৫ ক্রিকেটার নেই এবারের আসরে!

অথচ আসর শুরুর আগে তুলনামূলক দুর্বল ভাবা হচ্ছিল তাদের। আগে ব্যাট করে ইংলিশরা সাড়ে তিন শ’ রান তুলার পর সেই ভাবনা আরো পোক্ত হয়। সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৭ রানে ২ হারায় অজিরা।

দলের সেরা দু’ ব্যাটার ট্রাভিস হেড ৬ ও স্টিভেন স্মিথ ৫ রানে ফেরার পর ইংল্যান্ডের জয় অবধারিতই মনে হচ্ছিল। তবে সেখান থেকেই অজিদের ম্যাচে ফেরার শুরু। ম্যাথু শর্ট ও লাবুশানে মিলে দলকে পৌঁছে দেন ১২২ রানে।

লাবুশানে ৪৫ বলে ৪৭ করে আউট হোন। ১৪ রান যোগ হতেই ফেরেন থিতু হওয়া শর্টও, ৬৬ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। তাদের বিদায়ে যখন মনে হচ্ছিল হয়তো ম্যাচে ফিরতে পারে ইংল্যান্ড, তখন মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ইংলিশ।

এলেক্স ক্যারির সাথে গড়লেন ম্যাচ ঘুরানো ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটি। ৬৩ বলে ৬৯ করে ক্যারি যখন ফেরেন, তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫০ বলে ৭০ রান। সেই সমীকরণ সহজেই মেলান ম্যাক্সওয়েল ও ইংলিশ।

মাত্র ৩৬ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন জয়। ইংলিশ। মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ বলে ১২০ রানে। ম্যাক্সওয়েল করেন ১৫ বলে অপরাজিত ৩২ রান।

এর আগে, বল হাতে শুরুটা ভালো ছিল অজিদের। ৪৩ রানে ২ উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ডের। ফিলিপ সল্ট ১০ ও জেমি স্মিথ আউট হন ১৫ রান করে। তবে বেন ডাকেট ও জো রুট মিলে ধরেন হাল। শুরুর চাপ সামলে এগিয়ে নেন দলকে।

দু’জনের ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের জুটি ভাঙে ৩১ ওভারে এসে। ততক্ষণে দু’ শতাধিক রান উঠে গেছে স্কোরবোর্ডে। ৭৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন রুট। তবে তিন অঙ্কে পৌঁছান ডাকেট। তুলে নেন সেঞ্চুরি।

এদিকে হ্যারি ব্রুক (৩) দ্রুত ফিরলে অধিনায়ক বাটলারের সাথে হয় তার ৪২ বলে ৬১ রানের জুটি। ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন বাটলার। তবে আগ্রাসী হয়ে উঠে ডাকেটের ব্যাট। লিভিংস্টোন ফেরেন থিতু হবার আগেই, ১৪ রানে।

৪৭.২ ওভারে দলীয় ৩২২ রানে এসে থামেন ডাকেট। লাবুশানের শিকার হবার আগে ১৪৩ বলে খেলেন ১৬৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসেরও ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।

এরপর জফরা আর্চার ১০ বলে ২১ রান তুললে সাড়ে তিন শ’ পেরোয় ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে বেন ডর্সিস ৩, এডাম জাম্পা ও লাবুশানে নেন দু’টি করে উইকেট।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১১:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

রেকর্ড রান তাড়া করে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য জয় অস্ট্রেলিয়ার

আপডেট : ১১:১৬:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিলো অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডকে হতভম্ব করে পাড়ি দিয়েছে রান পাহাড়। একগাঁদা রেকর্ডের ম্যাচে রেকর্ড রান তাড়া করে নোঙর ফেলেছে জয়ের বন্দরে। জশ ইংলিশের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫ উইকেটে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সদের।

শনিবার (২২ জানুয়ারি) লাহোরে আসরের অন্যতম উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড। যেখানে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সর্বোচ্চ ৩৫১ রান করে থ্রি লায়ন্সরা। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছেছে অস্ট্রেলিয়া।

এই জয়ে হলুদ জার্সধারীরা প্রথম ম্যাচেই নিজেদের শক্তির জানান দিলো। পুরো শক্তির দল না হলেও তারা যে দুর্বল নয়, তাই যেন বলতে চাইল। কে বলবে এই দলটার নিয়মিত ৫ ক্রিকেটার নেই এবারের আসরে!

অথচ আসর শুরুর আগে তুলনামূলক দুর্বল ভাবা হচ্ছিল তাদের। আগে ব্যাট করে ইংলিশরা সাড়ে তিন শ’ রান তুলার পর সেই ভাবনা আরো পোক্ত হয়। সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৭ রানে ২ হারায় অজিরা।

দলের সেরা দু’ ব্যাটার ট্রাভিস হেড ৬ ও স্টিভেন স্মিথ ৫ রানে ফেরার পর ইংল্যান্ডের জয় অবধারিতই মনে হচ্ছিল। তবে সেখান থেকেই অজিদের ম্যাচে ফেরার শুরু। ম্যাথু শর্ট ও লাবুশানে মিলে দলকে পৌঁছে দেন ১২২ রানে।

লাবুশানে ৪৫ বলে ৪৭ করে আউট হোন। ১৪ রান যোগ হতেই ফেরেন থিতু হওয়া শর্টও, ৬৬ বলে ৬৩ রান করেন তিনি। তাদের বিদায়ে যখন মনে হচ্ছিল হয়তো ম্যাচে ফিরতে পারে ইংল্যান্ড, তখন মোড় ঘুরিয়ে দিলেন ইংলিশ।

এলেক্স ক্যারির সাথে গড়লেন ম্যাচ ঘুরানো ১১৬ বলে ১৪৬ রানের জুটি। ৬৩ বলে ৬৯ করে ক্যারি যখন ফেরেন, তখনও জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫০ বলে ৭০ রান। সেই সমীকরণ সহজেই মেলান ম্যাক্সওয়েল ও ইংলিশ।

মাত্র ৩৬ বলে ৭৪ রানের জুটি গড়ে নিশ্চিত করেন জয়। ইংলিশ। মাত্র ৭৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ৮৬ বলে ১২০ রানে। ম্যাক্সওয়েল করেন ১৫ বলে অপরাজিত ৩২ রান।

এর আগে, বল হাতে শুরুটা ভালো ছিল অজিদের। ৪৩ রানে ২ উইকেট তুলে নেয় ইংল্যান্ডের। ফিলিপ সল্ট ১০ ও জেমি স্মিথ আউট হন ১৫ রান করে। তবে বেন ডাকেট ও জো রুট মিলে ধরেন হাল। শুরুর চাপ সামলে এগিয়ে নেন দলকে।

দু’জনের ১৫৫ বলে ১৫৮ রানের জুটি ভাঙে ৩১ ওভারে এসে। ততক্ষণে দু’ শতাধিক রান উঠে গেছে স্কোরবোর্ডে। ৭৮ বলে ৬৮ রান করে আউট হন রুট। তবে তিন অঙ্কে পৌঁছান ডাকেট। তুলে নেন সেঞ্চুরি।

এদিকে হ্যারি ব্রুক (৩) দ্রুত ফিরলে অধিনায়ক বাটলারের সাথে হয় তার ৪২ বলে ৬১ রানের জুটি। ২১ বলে ২৩ রান করে আউট হন বাটলার। তবে আগ্রাসী হয়ে উঠে ডাকেটের ব্যাট। লিভিংস্টোন ফেরেন থিতু হবার আগেই, ১৪ রানে।

৪৭.২ ওভারে দলীয় ৩২২ রানে এসে থামেন ডাকেট। লাবুশানের শিকার হবার আগে ১৪৩ বলে খেলেন ১৬৫ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। যা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসেরও ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস।

এরপর জফরা আর্চার ১০ বলে ২১ রান তুললে সাড়ে তিন শ’ পেরোয় ইংল্যান্ড। অজিদের হয়ে বেন ডর্সিস ৩, এডাম জাম্পা ও লাবুশানে নেন দু’টি করে উইকেট।