London ০৫:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে আওয়ামী দোষরদের অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ও বিতর্কিত কমিটি বাতিলের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলতাব মালিথার শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাজমিস্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, খুনিদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফাঁসির ৯ জনসহ সব আসামি খালাস কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ নীলফামারীতে যুবককে মারধর, থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে হামলার শিকার ১৭বছর আওয়ামী সরকার আমলে ভোট-ভাতের অধিকার হরণ করেছিলেন, জিলানী শাবান মাসে রোজা রাখার গুরুত্ব ভারতের খেলার টিকেট বিক্রি শেষ তিন ছাত্রকে ছাড়িয়ে নিতে উত্তরায় থানায় হামলা

রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা এখন সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: নাহিদ

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামফাইল ছবি: বাসস

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এ প্রশ্নটি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটা একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’ সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে জানিয়ে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই সেটআপ নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্ম্যূল্যায়ন করছি।’

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চাইছেন অনেকে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং এর মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। তবে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সবাইকে শান্ত থাকার ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে।’

পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারীরা যেন কোনো সুবিধা না নিতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্র–জনতার পক্ষ থেকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাহিদ বলেন, সরকার আলোচনা করছে। এর মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে। যা রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:০৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪
৩৫
Translate »

রাষ্ট্রপতির থাকা না থাকা এখন সাংবিধানিক নয়, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত: নাহিদ

আপডেট : ১২:০৪:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামফাইল ছবি: বাসস

তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি থাকবেন কি থাকবেন না, এ প্রশ্নটি এ মুহূর্তে বাংলাদেশে কোনো আইনি বা সাংবিধানিক প্রশ্ন নয়। এটা একেবারেই একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।’ সরকার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করছে জানিয়ে তিনি সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বুধবার রাজধানীর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘একটি গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে জনগণের সমর্থনে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা সে সময় বিদ্যমান সংবিধান ও রাষ্ট্রপতিকে রেখেই সরকার গঠন করেছিলাম। কিন্তু আমাদের যদি মনে হয়, এই সেটআপে অন্তর্বর্তী সরকারের রাষ্ট্র পরিচালনা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে অথবা জনগণ এই সেটআপে অসন্তুষ্ট, তাহলে এই সেটআপ নিয়ে আমরা ভাবব এবং পুনর্ম্যূল্যায়ন করছি।’

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে সরকারের ওপর চাপ তৈরি হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র ইস্যুতে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ চাইছেন অনেকে। রাষ্ট্রপতি নিজে থেকে পদত্যাগ করবেন, নাকি সরকার এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে—এটাই মূল আলোচনা। রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সমাবেশ ও বিক্ষোভ হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা নাহিদ বলেন, রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা যেতে পারে। বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে আলোচনা চলছে এবং এর মাধ্যমে একটি সিদ্ধান্ত আসবে। তবে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সরকার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সবাইকে শান্ত থাকার ও অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, ‘বঙ্গভবন বা অন্য কোথাও বিক্ষোভ বা আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। জনগণের মেসেজ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে যেতে হবে।’

পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, অভিযোগ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, দেশি–বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে এবং সেই ষড়যন্ত্রকারীরা যেন কোনো সুবিধা না নিতে পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেন তিনি।

রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্র–জনতার পক্ষ থেকে আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে নাহিদ বলেন, সরকার আলোচনা করছে। এর মাধ্যমে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে যাওয়া যাবে। যা রাষ্ট্র ও জনগণের পক্ষে যাবে।