London ০৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
বৃষ্টিতে ভিজে জ্বরের আতঙ্কে আছেন? জেনে নিন বাঁচার উপায় ‘ভারতের বি দলকে হারাতেও কষ্ট হবে পাকিস্তানের’ যুক্তরাষ্ট্রে ৫০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে অ্যাপল সুইজার‌ল্যান্ড থেকে ৩৬ টাকা কেজিতে গম কিনছে সরকার নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে জামায়াতের একাত্মতা সূর্যমুখীর হাসিতে বদলে গেলো ময়লার ভাগাড় ইউক্রেনে শান্তি আলোচনায় ইউরোপকে প্রয়োজন হবে: পুতিন ছাত্র আন্দোলনে যুগান্তরের ভূমিকা ছিল অতুলনীয় – মুনীর চৌধুরী চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি মূলহোতা আলমগীর ৬, তার ভাই রাজীব ৫ দিনের রিমান্ডে মিষ্টি জান্নাত প্রেম করতে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার গাড়ি অফার করেছিল

রমজানের রোজা সম্পর্কে যে তিনটি বিষয় জেনে রাখতে পারেন

অনলাইন ডেস্ক

রমজান মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। তাকওয়া অর্জনের জন্য আল্লাহ তায়ালা রোজা বিধান দিয়েছেন। রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার বিষয়টি সহজ। শিশু বৃদ্ধের জন্য তুলনামূলক কঠিন। এখানে পবিত্র রমজান মাস সম্পর্কিত চারটি প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হলো—

শিশু, বৃদ্ধদেরও কি রোজা রাখতে হবে?

রোজার বিধান প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। শিশু, অতি বৃদ্ধ, গর্ভবতী এবং সন্তানকে দুধ পান করান এমন নারীদের জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। এই মানুষদের পাশাপাশি যারা সফর, ভ্রমণে বের হন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। শিশু ছাড়া বাকিদের রমজানের পরে অন্য সময়ে এই রোজার কাজা করতে হবে।

তবে শিশুদের ওপর রোজা ফরজ না হলেও অনেক সময় শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হতে রমজান মাসে আংশিক রোজা রাখেন।

রোজা রেখে ভুলে পানাহার করে ফেললে করণীয় কী?

রোজা রেখে কেউ ভুলে পানাহার করলে তার রোজা ভাঙবে না। এরপর রোজা না ভেঙ্গে পুরো দিন রোজা রাখতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন সামনে আর এমন ভুল না হয়।

আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙলে অথবা পানাহার করলে তাকে পরবর্তীতে এই রোজার কাজা আদায় করে নিতে হবে এবং ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙ্গার কারণে কাফফারাও দিতে হবে।

রমজানের দিনগুলোতে পানাহার না করেও কীভাবে স্বাভাবিক থাকেন মুসলমানরা?

রমজানে রোজা রাখার জন্য মুসলমানেরা রাতের শেষ প্রহরে সুবহে সাদিকের আগে সেহরিতে খাবার গ্রহণ করেন এবং সূর্যাস্তের সময় ইফতার গ্রহণ করেন।

তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখার চেষ্টা করেন। এটি তাদের শারীরিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি তারা শারীরিক শক্তি ক্ষয় হয় এমন কাজ এড়িয়ে চলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ০৪:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
Translate »

রমজানের রোজা সম্পর্কে যে তিনটি বিষয় জেনে রাখতে পারেন

আপডেট : ০৪:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রমজান মাসে প্রাপ্ত বয়স্ক নারী পুরুষের জন্য রোজা রাখা ফরজ। তাকওয়া অর্জনের জন্য আল্লাহ তায়ালা রোজা বিধান দিয়েছেন। রোজা রাখার জন্য সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থাকতে হয়।

প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার বিষয়টি সহজ। শিশু বৃদ্ধের জন্য তুলনামূলক কঠিন। এখানে পবিত্র রমজান মাস সম্পর্কিত চারটি প্রশ্নের উত্তর তুলে ধরা হলো—

শিশু, বৃদ্ধদেরও কি রোজা রাখতে হবে?

রোজার বিধান প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য। শিশু, অতি বৃদ্ধ, গর্ভবতী এবং সন্তানকে দুধ পান করান এমন নারীদের জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। এই মানুষদের পাশাপাশি যারা সফর, ভ্রমণে বের হন এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ তাদের জন্য রোজা রাখার প্রয়োজন নেই। শিশু ছাড়া বাকিদের রমজানের পরে অন্য সময়ে এই রোজার কাজা করতে হবে।

তবে শিশুদের ওপর রোজা ফরজ না হলেও অনেক সময় শিশুরা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার আগেই রোজায় অভ্যস্ত হতে রমজান মাসে আংশিক রোজা রাখেন।

রোজা রেখে ভুলে পানাহার করে ফেললে করণীয় কী?

রোজা রেখে কেউ ভুলে পানাহার করলে তার রোজা ভাঙবে না। এরপর রোজা না ভেঙ্গে পুরো দিন রোজা রাখতে হবে। তবে সতর্ক থাকতে হবে যেন সামনে আর এমন ভুল না হয়।

আর কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা ভাঙলে অথবা পানাহার করলে তাকে পরবর্তীতে এই রোজার কাজা আদায় করে নিতে হবে এবং ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙ্গার কারণে কাফফারাও দিতে হবে।

রমজানের দিনগুলোতে পানাহার না করেও কীভাবে স্বাভাবিক থাকেন মুসলমানরা?

রমজানে রোজা রাখার জন্য মুসলমানেরা রাতের শেষ প্রহরে সুবহে সাদিকের আগে সেহরিতে খাবার গ্রহণ করেন এবং সূর্যাস্তের সময় ইফতার গ্রহণ করেন।

তালিকায় পুষ্টিকর খাবার রাখার চেষ্টা করেন। এটি তাদের শারীরিক স্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি তারা শারীরিক শক্তি ক্ষয় হয় এমন কাজ এড়িয়ে চলেন।