London ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম:
ড. মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিন এমবিই’র দিকনির্দেশনামূলক সুপারিশ: আগামীর উন্নত জাতি গঠনের রূপরেখা নাটোর বিএনপির প্রার্থী ও ভোটের রাজনীতি রাজশাহীতে হত্যা মামলার মুল আসামি গ্রেপ্তার অবহেলিত জনগণের সেবা করতে চাই — সাটিয়াজুরীতে আলহাজ্ব সৈয়দ মোঃ ফয়সল কালিয়াকৈরে মিথ্যা-ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার প্রতিবাদে সাবেক মেয়রের সংবাদ সম্মেলন কসবায় অগ্রভাগীয় সাহিত্য সংগঠন (সি.টি.এল.) এর ২৪৭তম আর্থিক ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সম্পন্ন দুর্গাপুর সাংবাদিক সমিতির আহ্বায়ক কমিটি গঠিত দুর্গাপুরে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী উৎসব অনুষ্ঠিত ট্রাক চাপায় মোটরসাইকেল আরহি নিহত কালিয়াকৈরে ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি অনুষ্ঠিত

যে কারণে ‘অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে’ চায় কানাডা

কানাডা ২০২৫ সালে তিন লাখ ৯৫ হাজার, ২০২৬ সালে তিন লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে তিন লাখ ৬৫ হাজার নতুন স্থায়ী অভিবাসী নেবে বলে দেশটির সরকারি একটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্য ২০২৫ সালে ৩০ হাজার কমবে বলেও সূত্রটি উল্লেখ করেছে।

দেশটির পত্রিকা দ্য ন্যশনাল পোস্ট সবার আগে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কানাডা দীর্ঘদিন ধরে নতুন অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক দেখা গেছে। এর অন্যতম কারণ সেখানে ঘরবাড়ির মূল্যবৃদ্ধি। 

দুই বছর আগে সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় কানাডার অনেক মানুষ ঘরবাড়ি কিনতে পারছেন না। একই সময়ে অভিবাসীদের ঢল দেশটির জনসংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ঘর-বাড়ির চাহিদা এবং দাম দুটোই অনেক বেড়ে গেছে।

কানাডার রাজনীতিতে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনেও এটির প্রভাব পড়তে পারে।

সমীক্ষা জানাচ্ছে কানাডার বাসিন্দাদের মধ্যে এই ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে যে দেশটিতে অনেক বেশি অভিবাসী রয়েছে।

কানাডা সরকারের নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে মাইগ্রেন্ট রাইটস নেটওয়ার্ক সেক্রেটারিয়েটের মুখপাত্র সাঈদ হোসেন বলেন,‘আমরা অভিবাসীদের অধিকার ইস্যুতে কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য পশ্চাৎপসরণ দেখতে পাচ্ছি। স্থায়ী অভিবাসীর সংখ্যা কমানোটা অভিবাসীদের উপর সরাসরি আঘাত। এটি তাদেরকে অস্থায়ী থাকতে বা অনিবন্ধিত হতে বাধ্য করবে যা তাদেরকে আরেও শোষণমূলক চাকরি করতে বাধ্য করবে।’

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কার্যালয় থেকে অবশ্য এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত আগস্টে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছিলেন যে কানাডার নাগরিকরা এমন কোনো অভিবাসন পদ্ধতি চান না যেটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে ও রয়টার্স।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information
আপডেট : ১২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
৭৬
Translate »

যে কারণে ‘অভিবাসীর সংখ্যা কমাতে’ চায় কানাডা

আপডেট : ১২:০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

কানাডা ২০২৫ সালে তিন লাখ ৯৫ হাজার, ২০২৬ সালে তিন লাখ ৮০ হাজার এবং ২০২৭ সালে তিন লাখ ৬৫ হাজার নতুন স্থায়ী অভিবাসী নেবে বলে দেশটির সরকারি একটি সূত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে। পাশাপাশি অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্য ২০২৫ সালে ৩০ হাজার কমবে বলেও সূত্রটি উল্লেখ করেছে।

দেশটির পত্রিকা দ্য ন্যশনাল পোস্ট সবার আগে এই তথ্য প্রকাশ করেছে। কানাডা দীর্ঘদিন ধরে নতুন অভিবাসীদের স্বাগত জানিয়ে আসছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিবাসন নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে বিতর্ক দেখা গেছে। এর অন্যতম কারণ সেখানে ঘরবাড়ির মূল্যবৃদ্ধি। 

দুই বছর আগে সুদের হার বেড়ে যাওয়ায় কানাডার অনেক মানুষ ঘরবাড়ি কিনতে পারছেন না। একই সময়ে অভিবাসীদের ঢল দেশটির জনসংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ঘর-বাড়ির চাহিদা এবং দাম দুটোই অনেক বেড়ে গেছে।

কানাডার রাজনীতিতে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব পাচ্ছে। আগামী ২০২৫ সালের অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনেও এটির প্রভাব পড়তে পারে।

সমীক্ষা জানাচ্ছে কানাডার বাসিন্দাদের মধ্যে এই ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে যে দেশটিতে অনেক বেশি অভিবাসী রয়েছে।

কানাডা সরকারের নতুন পরিকল্পনার বিষয়ে মাইগ্রেন্ট রাইটস নেটওয়ার্ক সেক্রেটারিয়েটের মুখপাত্র সাঈদ হোসেন বলেন,‘আমরা অভিবাসীদের অধিকার ইস্যুতে কানাডার ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্য পশ্চাৎপসরণ দেখতে পাচ্ছি। স্থায়ী অভিবাসীর সংখ্যা কমানোটা অভিবাসীদের উপর সরাসরি আঘাত। এটি তাদেরকে অস্থায়ী থাকতে বা অনিবন্ধিত হতে বাধ্য করবে যা তাদেরকে আরেও শোষণমূলক চাকরি করতে বাধ্য করবে।’

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কার্যালয় থেকে অবশ্য এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত আগস্টে দেশটির অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার জানিয়েছিলেন যে কানাডার নাগরিকরা এমন কোনো অভিবাসন পদ্ধতি চান না যেটা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।

সূত্র : ডয়চে ভেলে ও রয়টার্স।